বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১০:০৮ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
বাহুবল হাসপাতালের নতুন ব্যবস্থাপনা কমিটি প্রথম সভা বাহুবলে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের বাছাইয়ে দুই প্রার্থীর মনোনয়নপত্র অবৈধ বাহুবল উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ২০ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র দাখিল শিশুদের বিবাদের জেরে আজমিরীগঞ্জে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ৩৫ দেশবাসীকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর কেএনএফের প্রধান সমন্বয়ক বান্দরবানের বাসা থেকে গ্রেপ্তার ফেনীতে ট্রেন-ট্রাকের সংঘর্ষে নিহত ৬ ফিলিস্তিনি শিশু দিবস: গাজায় প্রতি ঘণ্টায় মরছে ৪ শিশু বাহুবলে বাংলা নববর্ষ ও ঈদ-উল-ফিতর উদযাপন উপলক্ষ্যে প্রস্তুতিমূলক সভা বাহুবল মডেল প্রেস ক্লাবের উদ্যোগে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

আধা ঘণ্টার ঝড়ে লণ্ডভণ্ড গাইবান্ধা, নিহত ৬

তরফ নিউজ ডেস্ক: গাইবান্ধা সদরসহ চার উপজেলায় কালবৈশাখী ঝড় বয়ে গেছে। প্রায় আধা ঘণ্টার মতো চলা ঝড়ে বহু ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। ভেঙে পড়েছে অনেক গাছপালা। উড়ে গেছে টিনের চালা। এছাড়া আমের মুকুল, লিচু ও জমির ধানের গাছসহ বিভিন্ন জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বৈদ্যুতিক খুঁটি ভেঙে পড়ায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন পুরো জেলা। ঝড়ে ভেঙে পড়া গাছের নিচে চাপা পড়ে প্রাণ হারিয়েছেন ছয়জন। এছাড়া আতঙ্কে মারা গেছেন একজন।

রবিবার বিকাল তিনটার দিকে হঠাৎ করে এ ঝড় শুরু হয়। সঙ্গে ছিল দমকা বাতাস ও গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি। প্রায় ৩০ মিনিটের এই ঝড়ে বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।

ঝড়ে গাছের নিচে চাপা পড়ে যাদের মৃত্যু হয়েছে তারা হলেন পলাশবাড়ি উপজেলার বেতকাপা ইউনিয়নের মোস্তাফুর ও ডাকেরপাড়া গ্রামে গোফফার রহমান এবং জাহানারা বেগম, সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় ময়না বেগম (৪০), ফুলছড়ি উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নে শিমুলী আক্তার, ফুলছড়ির এরেন্দাবাড়ি ইউনিয়নের হারেছ উদ্দিন, গাইবান্ধা সদরের উত্তর হরিণসিংহা এলাকার হিরু মিয়ার ছেলে শিশু মনির। এছাড়া আতঙ্কে মারা গেছেন সাদুল্ল্যাপুর উপজেলার আব্দুস সালাম সরদার। তিনি একজন ব্যবসায়ী।

চারজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা প্রশাসক আবদুল মতিন জানান, হঠাৎ করেই জেলায় বয়ে যাওয়া দমকা হাওয়ায় কোথাও কোথাও কিছু বাড়িঘর ও গাছপালা ভেঙে পড়াসহ বিভিন্ন এলাকার ধানের জমি এবং ফসলের ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া বাতাসে গাছ ভেঙে পড়ায় সুন্দরগঞ্জ ও পলাশবাড়ী উপজেলাতে তিন নারীসহ চারজনের মৃত্যু হয়েছে। নিহত প্রত্যেক পরিবারকে ১০ হাজার টাকা করে আর্থিক সহযোগিতা করা হয়েছে। বাতাসে বিভিন্ন সড়কে ভেঙে পড়া গাছ অপসারণে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা কাজ করছেন। তবে তাৎক্ষণিক তিনি ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানাতে পারেননি।

জেলা প্রশাসকের বক্তব্য নেয়ার পর আরও দুইজন মারা যায়। গাইবান্ধা থেকে রংপুর মেডিকেলে নেয়ার পথে তাদের মৃত্যু হয়। তারা হলেন ফুলছড়ির এরেন্দাবাড়ি ইউনিয়নের হারেছ উদ্দিন এবং গাইবান্ধা সদরের উত্তর হরিণসিংহা এলাকার হিরু মিয়ার ছেলে শিশু মনির। গাইবান্ধা থেকে রংপুরে নেয়ার পথে তাদের মৃত্যু হয়।

জেলা ত্রাণ কর্মকর্তা ইদ্রিস আলী বলেন, ঝড়ে গাইবান্ধা জেলার অসংখ্য কাঁচা ঘরবাড়ি ও গাছপালার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তাৎক্ষণিকভাবে তিনি জানাতে পারেননি।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন

ওয়েবসাইটের কোন কনটেন্ট অনুমতি ব্যতিত কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Design & Developed BY ThemesBazar.Com