বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ০৮:২৮ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
ইউএনও তাহমিলুর রহমানকে বাহুবল মডেল প্রেস ক্লাব-এর বিদায় সংবর্ধনা বাতিল হতে পারে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শনিবারের ছুটি মাছ ধরতে গিয়ে জেলের পায়ুপথ দিয়ে পেটের ভিতর কুঁচিয়া, তারপর… বিদ্যুৎস্পৃষ্টে একই পরিবারের ৫ জনের মৃত্যু সিলেটে টেস্টে ৩৮২ রানে হারলো বাংলাদেশ পেটে অসহ্য যন্ত্রণা, অস্ত্রোপচার করতেই বেরিয়ে এলো ১২ ইঞ্চির জ্যান্ত ইল মাছ! বাহুবল সদর কেন্দ্র স্থানান্তরের প্রস্তাব; জনমনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া বাহুবলে সর্বজনিন পেনশন স্কীম অবহিতকরণ সভায় অনুষ্ঠিত পেঁয়াজ রপ্তানিতে অনির্দিষ্টকালের নিষেধাজ্ঞা ভারতের গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবে চীন-রাশিয়ার ভেটো

ফেনীতে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উড়ে ৬ ডিসেম্বর

ফেনীর শহরের রাজাঝির দীঘির পাড়ে শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে নির্মিত মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভ।

ফেনী সংবাদদাতা: ৬ ডিসেম্বর ফেনী মুক্ত দিবস। ১৯৭১ এর এই দিনে বীর মুক্তিযোদ্ধারা পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করে ফেনীর মাটিতে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উড়িয়েছিলো। দীর্ঘ নয় মাসের রক্তক্ষয়ী সংগ্রামে হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসর রাজাকার-আলবদর বাহিনীর নৃশংস বর্বরতায় ক্ষত-বিক্ষত ফেনী শহরে স্বাধীনতাকামী বাঙালিরা সেদিন বিজয়ের নিশান ওড়ায়।

ফেনী অঞ্চলের মুক্তিবাহিনীর অধিনায়ক লে. কর্নেল (অব.) জাফর ইমাম বীরবিক্রম ভারতের বিলোনিয়া ও তৎসংলগ্ন অঞ্চল থেকে ১০ ইস্টবেঙ্গল রেজিমেন্টের হয়ে অভিযান চালিয়ে বিলোনিয়া, পরশুরাম, মুন্সিরহাট, ফুলগাজী হয়ে এগুতে থাকলে পর্যদুস্ত হয়ে হানাদার বাহিনীর একটি অংশ নোয়াখালীর সোনাইমুড়ি হয়ে কুমিল্লা সেনানিবাসের রাস্তায় এবং অপর অংশ শুভপুর ব্রিজের উপর দিয়ে চট্টগ্রামের দিকে পালিয়ে যায়।

অপরদিকে মুজিব বাহিনীর (বিএলএফ) ফেনী মহকুমা কমান্ডার, সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক জয়নাল আবদীনের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা দাগনভূইয়া, রাজাপুর, সিন্দুরপুর হয়ে শহরের দিকে এগুতে থাকে। মুক্তিযোদ্ধাদের তুমুল আক্রমণে দিশেহারা হয়ে হানাদাররা ৫ ডিসেম্বর রাতে কুমিল্লার দিকে পালিয়ে গেলে ৬ ডিসেম্বর ফেনী হানাদার মুক্ত ঘোষণা করা হয়। জেলাবাসী লাল-সবুজের বিজয় নিশান নিয়ে ফেনী শহর ও গ্রামগঞ্জে আনন্দ উল্লাসে মেতে ওঠে।

অবিস্মরণীয় দিনটি ফেনীর বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন নানা উৎসবমুখর পরিবেশে প্রতি বছর পালন করে আসছে।

৭১’র বীর সেনানী লে. কর্নেল (অব.) জাফর ইমাম বীরবিক্রম বলেন, আমরা ফেনীর চারিদিকে ডিফেন্স ও অবস্থান নিয়ে ৯ মাস মরণপণ যুদ্ধ করেছিলাম। তারই ধারাবাহিকতায় ৬ ডিসেম্বর ফেনী মুক্ত হয়।

মুক্তিযোদ্ধা মো. শাহজাহান বলেন, অমর শহীদদের স্মৃতির ভাস্কর হিসেবে শহরের জেল রোডের পাশে বীর শহীদদের নামের তালিকা সম্মিলিত মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হলেও বর্তমানে স্মৃতিস্তম্ভে মুক্তিযোদ্ধাদের নাম অস্পষ্ট হয়ে মুছে গেছে।

ফেনী জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মীর আবদুল হান্নান বলেন, একাত্তরের শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের চিহ্নিত বধ্যভূমিগুলো সংরক্ষণের প্রক্রিয়া চলছে এবং সহসাই এগুলো সংরক্ষণের কাজ শুরু হবে।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন

ওয়েবসাইটের কোন কনটেন্ট অনুমতি ব্যতিত কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Design & Developed BY ThemesBazar.Com