মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:২৪ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :

হবিগঞ্জ-২ : লড়াই হবে হাড্ডাহাড্ডি

ছবি: এডভোকেট আব্দুল মজিদ খান ও ডা:সাখাওয়াত হাসান জীবন

রায়হান উদ্দিন সুমন, বানিয়াচং (হবিগঞ্জ) : একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদীয় আসন হবিগঞ্জ-২ (বানিয়াচং-আজমিরীগঞ্জ) এর ভোটার সংখ্যা নারী পুরুষ মিলে ৩ লক্ষ ৬ হাজার ৪শ ১৬ জন।

এই আসনে আওয়ামী লীগ ও ঐক্যফ্রন্ট মনোনীত দুই প্রার্থীই হেভিওয়েট। তারা হলেন আওয়ামী লীগের চুড়ান্তভাবে মনোনীত বর্তমান সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব এডভোকেট আব্দুল মজিদ খান ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপির)’র কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সাংগঠনিক সম্পাদক (সিলেট বিভাগ) ২০ দলীয় (বর্ধিত ২৩দলীয়) জোট ঐক্যফ্রন্টের সমর্থিত প্রার্থী ডা:সাখাওয়াত হাসান জীবন।

স্বাধীনতা যুদ্ধের পর থেকেই আসনটি আওয়ামী লীগের দুর্গ হিসেবে খ্যাত। এই পর্যন্ত ১০টি সংসদীয় নির্বাচনের মধ্যে ৮টি নির্বাচনেই আওয়ামী লীগ জয়লাভ করেছে। একবার জাতীয়পার্টি আর একবার বিএনপি।

এবারের নির্বাচনে এলাকায় দুজনেই কারো চেয়ে কেউ কম নয়। দুজনেই প্রভাশালী নেতা। তাই এই আসনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে বলে ধারণা করছেন এলাকার ভোটাররা। সকলেই প্রত্যাশ করছেন অবাধ,সুষ্টু,নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য গণতান্ত্রিক নির্বাচনের।

এদিকে বর্তমান সাংসদ আব্দুল মজিদ খান স্থানীয়ভাবে জনপ্রিয়তার তুঙ্গে রয়েছেন। বিভিন্ন উন্নয়ন ও সেবার মাধ্যমে  আসনটির সাধারণ মানুষের মন জয় করতে পেরেছেন বলে দাবি সংশ্লিষ্টদের। দুইবারের এমপি আব্দুল মজিদ খান আগামীতে জয়লাভ করে তৃতীয়বারের মতো এই সংসদীয় আসনের নৌকার কান্ডারি হতে চান।

অপরদিকে ডা: সাখাওয়াত জীবন কেন্দ্রীয়ভাবেও প্রভাবশালী এবং এলাকার তৃণমূলে রয়েছে আলাদা গ্রহণযোগ্যতা। সম্প্রতি ১১টি মামলায় জেল খেটে জামিনে বেড়িয়ে এসে এই আসনের প্রয়াত এমপিদের কবর জিয়ারত করে তার আনুষ্টানিক নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। এককথায় ধানের শীষের পক্ষে আটঘাট বেঁধে নেতাকর্মীরা কাজে নেমে পড়েছেন বলে দাবি করছেন ডা: জীবন। তিনি বিগত ২০০৮ সালের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। তারপরের নির্বাচনে অংশগ্রহন করেননি ডা:জীবন।

গত রোববার এই দুই হেভিওয়েট প্রার্থীর মনোননয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে বৈধ বলে জানিয়েছেন রিটার্নিং অফিসার। এরপর থেকেই দুই প্রার্থীর শিবিরের নেতাকর্মীরা বিভিন্ন এলাকায় নিজনিজ প্রার্থীদের পক্ষে ভোটারদের কাছে গিয়ে ভোট প্রার্থনা করছেন।

বানিয়াচং সদর নতুন বাজারের ব্যবসায়ী মোস্তাকিম মিয়া জানান,যারাই প্রার্থী হোকে আমরা চাই সুষ্টু ভোট। তাহলে নিজেদের পছন্দমতো প্রার্থীকে ভোট দিতে পারব। এতে যে কোনো দল ক্ষমতায় আসুক আমাদের আপসোস থাকবেনা।
শেষ পর্যন্ত এ আসনে জোটগত নির্বাচন হলে এবং বিদ্রোহী প্রার্থী না থাকলে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে মহাজোট ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীর মধ্যে।

এককথায় এই দুই প্রার্থীর মধ্যে তুমূল একটা প্রতিদ্বন্দ্বিতাপুর্ণ লড়াই হবে বলে আশংকা করছে বানিয়াচং আজমিরীগঞ্জ নির্বাচনী আসনের ভোটার ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন

ওয়েবসাইটের কোন কনটেন্ট অনুমতি ব্যতিত কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Design & Developed BY ThemesBazar.Com