বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ১২:০৫ অপরাহ্ন

প্রাণঘাতী দাহ্য পদার্থের ব্যবসাই আগুনের উৎস

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা :

  • সেই আড্ডাস্থলে এখন শুধু পোড়া গন্ধ
  • দাহ্য পদার্থের গোডাউন সরানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

২২ ফেব্রুয়ারি: মাত্র একদিন আগেও রাজধানী ঢাকার চকবাজারের যে চুড়িহাট্টা ছিল স্থানীয়দের আড্ডার স্থল সেই চুড়িহাট্টাই এখন পুড়ে ছাই। দু’দিন আগের প্রাণচঞ্চল্যে ভরা সেই চুড়িহাট্টায় এখন আর আড্ডা নেই, তবে লোকারণ্য, শোকের মাতম। বাতাসে পোড়া গন্ধ আর প্রিয়জনকে হারানোর বেদনা।

শুক্রবার সরেজমিনে দেখা যায়, ওয়াহেদ ম্যানশনের আশপাশের মোট পাঁচটি ভবন পুড়ে গেছে। এর বাইরেও কয়েকটি ভবনের নিচতলায় বিভিন্ন দোকান পুড়ে গেছে। পুড়ে যাওয়া কয়লার স্তূূপে এখনো সাক্ষী হয়ে আছে সর্বনাশা দাহ্য পদার্থ। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন, কালবিলম্ব না করে পুরান ঢাকা থেকে কেমিক্যাল গোডাউন সরানোর নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুক্রবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে পুরান ঢাকার চকবাজারের অগ্নিকান্ডে আহতদের দেখতে গিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান। সিলিন্ডার ব্যবহারের বিষয়ে সরকারের কোনো নির্দেশনা আছে কি না- জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, সিলিন্ডারের ব্যাপারে আমার মন্ত্রণালয়ের সচিবকে পরামর্শ দিয়েছি, বিআরটিএকে একটা সমাধানে পৌঁছার জন্য। আমি এটাও বলেছি, সিলিন্ডার যেহেতু এত বিপজ্জনক অবস্থানে পৌঁছেছে সুতরাং এ সিলিন্ডার ব্যবহার না করাই ভালো। কাজেই এ সিলিন্ডার বন্ধ করার ব্যাপারে সচিবকে পরামর্শ দিয়েছি। এটা আমার মনে হয় অচিরেই একটা ব্যবস্থা হবে।

স্থানীয় বাসিন্দা জাফর আহমেদ বলেন, চুড়িহাট্টার এই মোড়টি ছিল এলাকার সবার আড্ডাখানা। কাউকে ফোন দিয়ে কোথায় আছে জানতে চাইলেই বলতো, চুড়িহাট্টা মোড়ে আছি। সবাই সারাদিন কাজ-কর্ম শেষ করে এখানে এসে মিলিত হতেন। এখানে হোটেল-চা দোকানগুলো ছিল একেকটা আড্ডাখানা। আর মুহূর্তের মধ্যেই পুরো এলাকাটা মৃত্যুপুরী হয়ে গেলো।

পুড়ে যাওয়া পাঁচটি ভবনে সতর্কবার্তাসহ সাইনবোর্ড টাঙিয়েছে ফায়ার সার্ভিস। লাল ফিতা দিয়ে ভবনগুলো কর্ডন করে রাখা হয়েছে। ব্যানারে লেখা রয়েছে, ‘ঝুকিপূর্ণ ভবন’। ভবনটি ব্যবহার না করার জন্য সকলকে বিশেষভাবে অনুরোধ করা হলো’।

শুক্রবার সিটি করপোরেশনের ১১ সদস্যের কমিটি ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ৫ সদস্যের কমিটি ভবনগুলো পরিদর্শন করেন। ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা জানান, অগ্নিকান্ডের সূত্রপাতের বিষয়টি তদন্তসাপেক্ষ ব্যাপার। তবে দ্রুত আগুন ছড়িয়ে যাওয়া ও আগুনের দীর্ঘস্থায়িত্বের কারণ বিভিন্ন রকমের দাহ্য পদার্থ। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া ওয়াহেদ ম্যানশনের দ্বিতীয় তলার পুরোটাতেই গোডাউন ছিল। এখানে গ্যাস লাইটার রিফিল পদার্থ, বডি স্প্রে রিফিল, রঙের তারফিন, প্লাস্টিক পণ্যসহ বিভিন্ন দাহ্য পদার্থ ছিল। যে কারণে তাৎক্ষণিকভাবে আগুন নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি হয়ে পড়ে কষ্টসাধ্য। এছাড়া, সরু গলি ও জলের স্বল্পতার কারণটিও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের ভুগিয়েছে বেশ। ন্যূনতম জায়গা ছেড়ে না দেওয়া ও আবাসিক ভবনে বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে রাসায়নিক মজুদের মূল্য দিতে হয়েছে অর্ধ শতাধিক প্রাণের বিনিময়ে।

ক্ষতিগ্রস্ত চুড়িহাট্টা মোড়ের সড়ক পরিষ্কারে ব্যস্ত থাকতে দেখা গেছে সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নকর্মীদের। স্থানীয় এক বাসিন্দা আবদুর রহমান বলছিলেন, সবকিছু পরিষ্কার করার কাজ দেখে মনে হচ্ছে যেন সেদিনের ভয়াবহতা আর শোক দ্রুত কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করা হচ্ছে। তিনি বলছিলেন, ক্ষতিগ্রস্ত ভবন ভেঙে হয়তো নতুন ভবন হবে, সামনের সড়ক আবার আগের মতো হবে কিন্তু এই ঘটনায় যাঁরা স্বজন হারিয়েছেন কিংবা যাঁরা আহত হয়েছেন, তাঁদের মনের মধ্যে যে ক্ষত তৈরি হলো, তা দূর হবে কীভাবে?

ঘটনাস্থলে দেখা গেল, চুড়িহাট্টা মসজিদের সামনে জল ছিটিয়ে ও ঝাড়ু দিয়ে রাস্তা পরিষ্কার করছেন পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা। সিটি করপোরেশনের বড় একটি ট্রাকে পানি এনে রাস্তা ও আশপাশ পরিষ্কার করা হচ্ছে। এর মধ্যে নন্দকুমার দত্ত সড়কের ক্ষতিগ্রস্ত একটি ভবনের নিচতলা থেকে পুড়ে যাওয়া একটি শিশুর হাতের খন্ডিাংশ খুঁজে পান এক ব্যক্তি। এরপর সেদিকে ঘিরে ধরে লোকজন। এ সময় অনেকে মন ভার করে দীর্ঘশ্বাস ছাড়ছিলেন আর আফসোস করছিলেন।

চুড়িহাট্টার যে ভবনগুলোতে আগুন লেগেছে তার মাঝে একটি গোল চত্বর আছে। গোল চত্বরের একপাশে জড়ো করে রাখা হয়েছে আগুনে পুড়ে যাওয়া গাড়ি, মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন যানবাহনের অবকাঠামো। ঠিক তার পাশে গণমাধ্যমকর্মীসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা লোকজনের ভিড়। পুরান ঢাকা ও ঢাকার বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা এসব মানুষ গত বুধবার রাতের আগুনের ভয়াবহতা দেখতে এসেছেন। সবার চোখেই বিস্ময় আর শোকের চিহ্ন।

স্থানীয় শিক্ষার্থী মো. নাজিব শাহরিয়ার চুড়িহাট্টা এলাকায় একটি মেসে থাকেন। তিনি বলছেন, পুরান ঢাকার বেশির ভাগ বাড়ির নিচে বিভিন্ন ধরনের গোডাউন ভাড়া দেওয়া। এসবের পেছনে অন্যতম কারণ হচ্ছে, বাসা ভাড়া বা মেস ভাড়া দিলে গ্যাস-পানির সংযোগ দিতে হয়। গোডাউন ভাড়া দিলে এসবের ঝামেলা থাকে না এবং ভাড়াও বেশি পাওয়া যায়।

চুড়িহাট্টা এলাকা চকবাজারের মধ্যে হওয়ায় সেখানে অনেক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান আছে। তবে এই এলাকা থেকে একটু ভেতরে গিয়েও বিভিন্ন ভবনে বিভিন্ন নামে গোডাউন দেখা গেছে।

এই কথার প্রমান পাওয়া যায় পুড়ে যাওয়া ওয়াহিদ ম্যানশ্যান দেখেই। রীতিমত তাজ্জব হওয়ার বিষয়। যে বাড়িতে আগুনে পুড়ে ৭০ জন ছাই হল সেই বাড়ির বেজমেন্টের গোডাউনেই দাহ্য পদার্থের মজুদ রয়েছে। কিন্তু সেখানে বাতাল চলাচলের ব্যবস্থা না থাকায় বড় ধরণের ক্ষতি থেকে রক্ষা হয়। এলাকার অনেকেই এই গোডাউনটির বিষয়ে জানতেন না। বেজমেন্টে আগুন ছড়িয়ে পড়লে আশপাশে আরও কয়েকটি বাড়িতে আগুন ধরে যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা।

শুক্রবার সরেজমিন ভবনটিতে গিয়ে দেখা গেল এর চারতলার পুরোটাই পুড়ে ছাই। দ্বিতীয় তলায় ছিল বিভিন্ন কেমিক্যাল আর প্লাস্টিকের দানার গোডাউন। তবে ফায়ার সার্ভিসের তৎপরতার কারণে আগুন সেই বেজমেন্ট পর্যন্ত ছড়ায়নি।

ফায়ার সার্ভিসের একজন কর্মকর্তা জানান, এটি পার্কিংয়ের জায়গা তবে এখানে বিভিন্ন লিকুইড কেমিক্যালে ভর্তি ড্রাম ও বস্তা উদ্ধার করা হয়েছে। যদি এখানে কোনোভাবে আগুন ছড়িয়ে যেত তাহলে পরিণতি আরও ভয়াবহ হতো। আব্দুর রাজ্জাক সাঁই নামে স্থানীয় একজন ব্যক্তি বলেন, আমরা বাইরে থেকে দেখতাম ভবনে টেইলার্স, ফার্মেসি, হোটেল আর ডেকোরেটরের দোকান। মাঝে মাঝে কিছু কেমিক্যাল ভেতরে নিতে দেখতাম। কিন্তু বেজমেন্টের অবস্থা যে এই তা কখনো ভাবতে পারিনি।

ঘটনাস্থলে এসে বাংলাদেশ বিস্ফোরক পরিদফতরের প্রধান বিস্ফোরক পরিদর্শক শামসুল আলম জানান, নিমতলী অগ্নিকান্ডের পর থেকে ওই এলাকায় কেমিক্যাল ব্যবসার জন্য একটি লাইসেন্সও দেয়া হয়নি। ওই এলাকায় বিস্ফোরক পরিদফতরের লাইসেন্সধারী কোনো গুদামও নেই। যে ভবনটিতে আগুন লেগেছিল সেটিতেও রাসায়নিক দ্রব্য ও দাহ্য পদার্থ রাখার অনুমতি ছিল না।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ও ঝুঁকিপূর্ণ ভবন চিহ্নিত করে পরবর্তী করণীয় সম্পর্কে সুপারিশ করার জন্য ১১ সদস্যর কমিটি গঠন করেছে। এই কমিটি শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ সময় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের তদন্ত কমিটির সদস্য ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মেহেদী আহমেদ আনসারী ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে বলেন, ওয়াহেদ ম্যানশনের নিচতলা ও দ্বিতীয় তলার বিম ও কলাম ক্ষতিগ্রসত হয়েছে। ভবনের সাপোর্ট ধরে রাখতে পারবে কি না, তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য আরও কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা প্রয়োজন।

এদিকে, চকবাজারের চুড়িহাট্টায় আগুনের ঘটনায় যে ৬৭টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে, তার মধ্যে ২১টির পরিচয় এখনও শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। এসব মরদেহ শনাক্ত করার জন্য স্বজনদের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। সকাল ১১টায় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) বিশেষ পুলিশ সুপার রুমানা আখতারের নেতৃত্বে এসব নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে। সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজের (ঢামেক) ফরেনসিক বিভাগের মর্গে চলছে স্বজনদের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহের এই কার্যক্রম।

নমুনা সংগ্রহের দায়িত্বে থাকা রুমানা আখতার বলেন, ৪৬টি লাশ শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। বাকি ২১টি লাশ শনাক্ত করার জন্য ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, যদি সব স্যাম্পল ঠিক থাকে, তাহলে সাত থেকে ১০ দিনের মধ্যে ডিএনএ পরীক্ষার ফল পাওয়া সম্ভব। সব স্বজন উপস্থিত হলে আজকের মধ্যেই ডিএনএ পরীক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় সব নমুনা সংগ্রহ করা সম্ভব হবে বলে জানান তিনি। ডিএনএ নমুনা সংগ্রহের প্রক্রিয়ায় শুরুতে নিখোঁজ ব্যক্তিদের স্বজনদের নামের তালিকা তৈরি করা হয়। এ পর্যন্ত ২১ জন দাবিদারের নামের তালিকা হয়েছে। দুপুর দেড়টা নাগাদ ১৩ জন স্বজন উপস্থিত ছিলেন। এর মধ্যে ছয় জনের ডিএনএ নমুনা হিসেবে রক্ত সংগ্রহ করা হয়। সবমিলিয়ে হাজী ওয়াহেদ ম্যানসনে আগুনের ঘটনায় উদ্ধার করা ৬৭টি মরদেহের মধ্যে ৪৬টি শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছে ঢামেক কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে ৪৫টি মরদেহ এরই মধ্যে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

গত বুধবার (২০ ফেব্রুয়ারি) রাতে পুরান ঢাকার চকবাজারের চুড়িহাট্টায় ওয়াহেদ ম্যানশনে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। ফায়ার সার্ভিসের ৩৭টি ইউনিট অনেক চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় শুক্রবার সকাল পর্যন্ত মোট ৬৭ জন নিহত হবার খবর পাওয়া গেছে। আহত ও দগ্ধ অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৪১ জন। এদের মধ্যে দুইজনকে নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র-আইসিইউতে রাখা হয়েছে। বাকিদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।

অগ্নিকান্ডের কারণ উদঘাটনসহ দুর্ঘটনার সার্বিক বিষয় তদন্তের জন্য সুরক্ষাসেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (অগ্নি অনুবিভাগ) প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তীকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। কমিটিকে সাত দিনের মধ্যে রিপোর্ট প্রদান করতে বলা হয়েছে। দোষীদের চিহ্নিত করতে ১১ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি)। এ ছাড়া অগ্নিকান্ডের কারণ অনুসন্ধান, প্রাথমিক ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ এবং অগ্নিদুর্ঘটনা পুনরাবৃত্তিরোধে সুপারিশ দেওয়ার জন্য শিল্প মন্ত্রণালয় ১২ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।

চুড়িহাট্টায় গত বুধবার রাতে আগুনের ঘটনায় ৬৭ জনের লাশ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন ঢাকার অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার সেলিম রেজা। এর আগে শিল্প মন্ত্রণালয়ের প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদনে নিহতের সংখ্যা ৭৮ জন উল্লেখ করা হয়। এ ছাড়া ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে আহতের সংখ্যা জানানো হয়েছে ৪১ জন। ঘটনাস্থলে এখনো ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট পর্যবেক্ষণের কাজ করছে।

 

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন

ওয়েবসাইটের কোন কনটেন্ট অনুমতি ব্যতিত কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Design & Developed BY ThemesBazar.Com