বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:৪৪ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :

এফ আর টাওয়ারের নকশা জাল ফাইল গায়েব

তরফ নিউজ ডেস্ক : আলোচিত এফ আর টাওয়ারের নথি খুঁজে পাচ্ছে না রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। নকশা অনুমোদনের এ ফাইলটি গায়েব হয়ে গেছে। এক যুগ ধরে খোঁজাখুঁজি করেও নকশার ফাইলটি পাওয়া যাচ্ছে না। ২৩ তলা ইমারত নির্মাণের নকশাটি জাল হওয়ার কারণেই এমনটা করেছে ডেভেলপার কোম্পানি রূপায়ণ হাউজিং এস্টেট লিমিটেড। এ বিষয়টি রাজউককে জানিয়েছেন খোদ লিজ গ্রহীতা এস.এম.এইচ.আই ফারুক।

রাজউকের চিঠির ভিত্তিতে ২০১০ সালের ২৫শে মে প্রতিষ্ঠানটির এস্টেট-১ শাখায় উপস্থিত হয়ে ফারুক লিখিতভাবে জানান, রূপায়ণ হাউজিং এস্টেটের সঙ্গে আমি ১৮ তলা ইমারত নির্মাণের জন্য চুক্তিবদ্ধ হই। কিন্তু আমমোক্তার গ্রহীতা রূপায়ণ নকশা জাল করে ২৩ তলা ইমারত নির্মাণের নকশা দাখিল করেন। এ বিষয়ে চিঠিতে বিস্তারিত উল্লেখ করে এ কাজের জন্য তিনি রূপায়ণকে দায়ী করেন এবং এ বিষয়ে তাদেরকে লিগ্যাল নোটিশ দেয়া হয়েছে বলে জানান।

২০১৩ সালের ২৭ শে এপ্রিল লিজ গ্রহীতা ফারুক রাজউকের কাছে  দেয়া এক আবেদনে রূপায়ণের বিক্রি করা স্পেসগুলো রাজউকের নিয়মনীতি মোতাবেক হয়েছে কিনা তা যাচাই করতে বলেন।

এদিকে নকশা গায়েবের সুযোগে বনানী বাণিজ্যিক এলাকার ১৭ নং রোডের ৩২ নং প্লটের বিভিন্ন নকশা দাখিল করেছে ডেভেলপার কোম্পানি রূপায়ণ হাউজিং এস্টেট লিমিটেড। মূলত ২০০৩ সালে পাওয়ার অব এটর্নি (আমমোক্তারনামা) নিয়োগ হওয়ার পর থেকেই এফআর টাওয়ার অবৈধভাবে অফিস স্পেস বানানোর নানা ফন্দিফিকির করে। এজন্য চার দফায় তিন ধরনের নকশা অনুমোদনের কপি জমা দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে ১৫ ও ১৮ তলা ভবন নির্মাণ করতে এষ্টেট শাখা থেকে নকশা অনুমোদনের ছাড়পত্র নেয়া হয়েছে। তবে ২৩ তলা ভবন নির্মাণে রাজউক থেকে কোন ছাড়পত্র নেয়নি ডেভেলপার কোম্পানিটি।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, সর্বোচ্চ নিলাম ডাককারি হিসেবে বনানী’র ১৭ নং রোডের ৩২ নং প্লটটি’র সাময়িক বরাদ্দপত্র পান এস.এম.এইচ.আই ফারুক। ১৯৮৫ সালের ১৮ই মে নিলাম ডাকে ওই প্লটটি’র জমির পরিমাণ ছিল ছয় কাঠা চার ছটাক। বরাদ্দ পাওয়ার পর নিয়ম অনুযায়ি জামানত ও প্রথম কিস্তি পরিশোধ করেন তিনি। এরপর একই বছরের ২৩শে জুন ফারুককে চূড়ান্ত বরাদ্দপত্র দেয় রাজউক। ২৪শে সেপ্টেম্বর বরাদ্দগ্রহীতাকে দখল হস্তান্তর করা হয়। দখল হস্তান্তরের সময় জমির পরিমাণ পাওয়া যায় আট কাঠা আট ছটাক ২২ বর্গফুট। জমির পরিমাণ বেশি হওয়ায় নিয়ম অনুযায়ি বরাদ্দগ্রহিতা বর্ধিত জমির মূল্য পরিশোধ করেন। ১৯৮৭ সালের ১৬ই মে প্লটের বিপরীতে সমূদয় কিস্তির টাকা পরিশোধ করেন তিনি। সমূদয় অর্থ পরিশোধের পর ১৯৮৯ সালের ২৫শে জুন লিজ দলিল রেজিস্ট্রি করে নেন ফারুক।

আবেদনের ভিত্তিতে ১৯৯০ সালের ৪ঠা অক্টোবর প্রথম বনানী ১৭ নং রোডের ৩২ নং প্লটের মালিক ফারুককে নকশার অনুমোদনের ছাড়পত্র দেয় রাজউকের এষ্টেট শাখা। এর ভিত্তিতে একই বছরের ৩০শে অক্টোবর ১৫ তলা ভবনের নকশা অনুমোদন করে নেন ফারুক। দ্বিতীয় দফা ১৯৯৬ সালের ১৬ই জানুয়ারি নকশা অনুমোদনের ছাড়পত্র দেয় রাজউক। ২০০১ সালের ৬ই আগস্ট এফ আর হোল্ডিংস লিমিটেডকে আমমোক্তার দেয়া হয়। তবে ওই আমমোক্তার গ্রহণ করেনি রাজউক। এরপর অনেকটা বাধ্য হয়ে লীজ গ্রহীতা ফারুক ২০০৩ সালের ২৭শে এপ্রিল বনানী ১৭ নং রোডের ৩২ নং প্লটের আমমোক্তার হিসেবে রূপায়ণ হাউজিং এস্টেট লিমিটেডকে নিয়োগ করেন। এটি গ্রহণ করতে একই বছরের ১৮ই মে রাজউকের কাছে আবেদন করেন বাণিজ্যিক প্লটের মালিক ফারুক। আমমোক্তার আবেদনটি ২০০৩ সালের ৪ঠা সেপ্টেম্বর রাজউক গ্রহণ করে নেয়।

আমমোক্তার গ্রহণের পর থেকেই এফআর টাওয়ার নিয়ে নানা ঘটনার জন্ম হতে থাকে। এরপর বিভিন্ন দফায় নকশা জমা করে আমমোক্তার গ্রহণকারি প্রতিষ্ঠানটি। ২০০৬ সালের ২৬শে জানুয়ারি এফআর টাওয়ারের ২০, ২১ ও ২২ তলা জিএসপি ফাইন্যান্স বাংলাদেশ লিমিটেডের কাছে বন্ধক রাখার অনুমতি চেয়ে রাজউকের কাছে আবেদন করে ডেভেলপার কোম্পানি রূপায়ণ। আবেদনের সঙ্গে ১৯৯৪ সালের ১২ই ডিসেম্বর ২৩ তলা ভবনের নকশা দাখিল করা করে তারা।

এর ভিত্তিতে বন্ধক অনুমতি দেয়া হয়। তবে ২০০৭ সালের ৭ই আগস্ট ‘ফিডিলিটি অ্যাসেটস এন্ড সিকিউরিটিজ কোম্পানি লিমিটেড’ এর কাছ থেকে বাণিজ্যিক ঋণ নিতে বন্ধক অনুমতি চেয়ে আবেদন করে রূপায়ণ। এ সময় তারা ২৩ তলার বদলে ১৮ তলা ইমারতের নকশা দাখিল করে। দুই দফায় ১৮ ও ২৩ তলার নকশা দাখিলের পর রাজউকের এষ্টেট শাখার সন্দেহ দেখা দেয়। এর ভিত্তিতে নকশা যাচাই করতে ২০০৭ সালের ২০শে আগস্ট এষ্টেট শাখা নকশা অনুমোদন শাখায় একটি চিঠি পাঠায়। ওই চিঠিতে এষ্টেট শাখা বনানী বাণিজ্যিক এলাকার ১৭ নং রোডের ৩২ নং প্লটে অনুমোদিত নকশা অনুযায়ি ইমারত নির্মাণ করা হয়েছে কিনা তা জানাতে এবং অনুমোদিত নকশা সরবরাহ করতে অনুরোধ জানায়।

একই বছরের ২৮শে আগস্ট নকশা অনুমোদন শাখা ফিরতি চিঠিতে জানায়, বনানী বাণিজ্যিক এলাকার ১৭ নং রোডের ৩২ নং প্লটের উপর নির্মিত ইমারতের অনুমোদিত নকশা রেকর্ডে পাওয়া যায়নি। ওই চিঠিতে এষ্টেট শাখা অনুমোদিত নকশা অনুযায়ি ইমারত নির্মাণ করা হয়েছে কিনা তা জানাতে এবং অনুমোদিত নকশা সরবরাহ করতে অনুরোধ জানায়। একই বছরের ২৮শে আগস্ট নকশা অনুমোদন শাখা ফিরতি চিঠিতে জানায়, ইমারতের অনুমোদিত নকশা রেকর্ডে পাওয়া যায়নি। কিন্তু ইস্যু রেজিস্ট্রারে দেখা যায়, ১৮ তলার নকশা অনুমোদিত হয়েছে। সরেজমিনে ইমারতটি ২২ তলা ডেভিয়েশনসহ নির্মাণ করা হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, নকশা অনুমোদন শাখা থেকে চিঠি পাওয়ার পর ২০০৭ সালের ১২ই সেপ্টেম্বর লিজ গ্রহিতা ফারুককে একটি চিঠি দেয় রাজউকের এষ্টেট শাখা। ওই চিঠিতে জানানো হয়, অনুমোদিত নকশার ব্যতয় ঘটিয়ে অননুমোদিতভাবে ইমারত নির্মাণ করা হয়েছে। তাই ঋণ গ্রহণের আবেদন বিবেচনা করার অবকাশ নেই। এ চিঠি’র একটি কপি পরিচালক (উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ)-কে দিয়ে বলা হয়, আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হল। রাজউকের এষ্টেট শাখার এক কর্মকর্তা জানান, পরিচালক (উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ)- এর কাছে চিঠি যাওয়ার পরই ফাইলটি গায়েব হয়ে যায়।

২০০৯ সালের ৭ই জুন লিজ গ্রহিতাকে মূল কাগজপত্র ও নকশাসহ হাজির হতে অনুরোধ করে রাজউক। এর ভিত্তিতে লীজ গ্রহিতা হাজির হয়ে ২৩তলা নকশা জাল বলে জানান। এফ আর টাওয়ারের ২০, ২১ ও ২২ তলার মালিক কাসেম ড্রাইসেল লিমিটেড তাদের নামে হস্তান্তর করার অনুমতি চেয়ে চিঠি দেয়। আবেদনের সঙ্গে তারা ২৩ তলা ইমারতের নকশা অনুমোদনের কপি জমা দেয়। ২০১৪ সালের ২রা এপ্রিল রাজউক কাসেম ড্রাইসেলকে জানায়, ২১, ২২ ও ২৩তম ফ্লোরগুলো হস্তান্তরের আবেদন বিবেচনার অবকাশ নেই। এরপর একই বছরের ৩রা ডিসেম্বর আবারও আবেদন করে কাসেম ড্রাইসেল লিমিটেড। তবে নকশা অনুমোদন শাখার সেন্ট্রাল  (কেন্দ্রীয়) ও মহাখালীর রেকর্ডরুম খুঁজেও এফআর টাওয়ারের ফাইলটি খুঁজে পাওয়া যায়নি। তাই কাসেম ড্রাইসেল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাসভীর উল ইসলামের আবেদনের জটিলতা নিষ্পত্তি হয়নি।

যা আছে এফ আর টাওয়ারে: এফ আর টাওয়ারের আশেপাশের সবকটি ভবনই বহুতল। পেছনের অংশে রয়েছে হোটেল সারিনা, এসএমসি টাওয়ার মীনা বাজারসহ আরো কয়েকটি বেসরকারি অফিস ও বিশ্ববিদ্যালয়। ২৩ তলা উচ্চতার এফ আর টাওয়ারের প্রতিটি ফ্লোর প্রায় ছয় হাজার বর্গফুটের। প্রতি ফ্লোরে চারটি করে ইউনিট আছে। ভবনটিতে মোট ২৯টি প্রতিষ্ঠানের অফিস রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে ডার্ড গ্রুপের পাঁচটি, কাশেম ড্রাইসেল এর তিনটি এবং আমরা টেকনোলজিসের চারটি অফিস।

ভবনের ৩, ১৩, ১৪, ১৭ ও ২০ তলায় রয়েছে ডার্ড গ্রুপের অফিস। ২১, ২২, ২৩ তলায় রয়েছে কাশেম ড্রাইসেলের অফিস। ৬, ১৮ ও ১৯ তলায় আমরা নেটওয়ার্কস লিমিটেডের অফিস। এছাড়া বিচ্ছিন্নভাবে আছে প্রথম ও দ্বিতীয় তলা ভাড়া দেয়া হয়েছে ভেরাইটিজ পণ্য, রেস্তোরা, ট্র্যাভেল এজেন্সি ছাড়াও আরো কিছু প্রতিষ্ঠানকে। সরজমিন দেখা যায়, ভবনটির প্রথম ও দ্বিতীয় তলা ভাড়া দেয়া হয়েছে প্রিতম রেস্টুরেন্ট, বুস্টার জুস, কিনড্রেড ক্যাফে, দ্বিতীয় তলার বাটার দ্য অফেল ক্যাফে, বোমা বার্গার, ফ্রাই রেঁস্তোরা। তৃতীয় তলায় রয়েছে রোজডেল ব্যানকুয়েট হল নামের একটি কনভেনশন সেন্টার। চার তলায় রয়েছে ডার্ড গ্রুপ। পঞ্চম তলায় ভিভিড গ্লোবাল ও ডেনটোটাল। ষষ্ঠ তলায় আমরা নেটওয়ার্কস লি.। অষ্টম তলায় এ আই ফেইব, টেক্সটাইল কোম্পানি স্পেক্ট্রা এস এন টেক্স। নবম তলায় এমপায়ার গ্রুপ, দশম তলায় আমরা টেকনোলজিস, একাদশ তলায় স্ক্যানওয়েল লজিস্টিকস, হেরিটেজ এয়ার এক্সপ্রেস ও আলপি ওয়ার্ল্ড ইন্টারন্যাশনাল ফ্রেইট ফরোয়ার্ডসের অফিস। ১২ তলায় জাপানি মালিকানাধীন একটি বায়িং কোম্পানির অফিস,  ইউরো গ্রুপের ট্র্যাভেল এজেন্সি, ইইউআর সার্ভিসের অফিস রয়েছে।  তের ও চৌদ্দ তলায় ডার্ড গ্রুপ, ১৫ তলার এফ আর প্রোপার্টিজ, চোরী কোম্পানী, ১৯ তলার এভার বেস্ট ও ২০ তলায় এ জেড বিজনেসের অফিস রয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী, অগ্নিকান্ডের পর ফায়ার সার্ভিসসহ বিভিন্ন সংস্থার পরিদর্শক টিমের কাছ থেকে জানা গেছে, আর এফ টাওয়ারের ভেতরের বেশিরভাগ অংশে কাঁচের ব্যবহার বেশি। বিভিন্ন অফিসের ডেকোরেশন, ভবনের দুই পাশের দেয়ালে কাঁচের ব্যবহার করা হয়েছে। ভবনের বৈদ্যুতিক লাইন, গ্যাস লাইন, ইন্টারনেট, টেলিফোন, সুয়ারেজের লাইন সব একসঙ্গে প্লাস্টিকের পাইপের ভেতরে রয়েছে। আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে সবকটি লাইন এক সঙ্গে নষ্ট হয়ে আগুন আরো বাড়িয়ে দিয়েছিল। জরুরি নির্গমনের জন্য ২৪ ইঞ্চির সিঁড়ি ছিল। যা দিয়ে দুজন মানুষ উঠানামা করা কঠিন। সিঁড়িটি সবসময় অন্ধকার থাকত।  বিভিন্ন ফ্লোরে সিঁড়ি বন্ধ করে রাখা হয়েছিল। চার তলায় সিঁড়ি কেটে বানানো হয়েছে একটি রুম। অগ্নিকান্ডের দিন সাত তলার সিঁড়িও বন্ধ ছিল। ভবনটির ছাদে নিরাপত্তাকর্মীদের থাকার ঘর ছিল। তাই ছাদে উঠার রাস্তাও বন্ধ ছিল।

এফ আর টাওয়ারের ১৬ তলায় ডার্ড গ্রুপের রিভান সিস্টেম লিমিটিডের সহকারি ব্যবস্থাপক আলী আনিক বলেন, আমরা জানতাম ভবনে ফায়ার এলার্ম আছে। কিন্তু ওই দিন কোন এলার্ম বাজে নাই। আগুন লাগার ২৫ মিনিট পরে আমরা খবর পেয়েছি। ততক্ষণে নিচে নামার কোন উপায় ছিল না। প্রথমে ছাদের গেটও বন্ধ ছিল। পরে কেউ খুলে দিয়েছিল। আমরা ছাদ দিয়ে অন্য ভবনে গিয়ে প্রাণে বাঁচি।  ডার্ড গ্রুপের আরেক কর্মী মো. মাসুদ রহমান বলেন, মৃত্যুকূপ হয়ে ছিল ভবনটি। এতগুলো মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এখানে কাজ করেছি। নাই ফায়ার ফাইটিং সিস্টেম, নাই ফায়ার এক্সিট। যদি কিছুটা নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকত তবে এতগুলো মানুষ মারা যেত না।

দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ফায়জুর রহমান বলেন, আগুন লাগার পর কোন এলার্ম বাজেনি। ভেতরের অনেকই বের হতে গিয়ে দেখেন জরুরি বর্হিগমন পথটিও সরু। কোন ফ্লোরে সেটি বন্ধ করে রাখা ছিল। তিনি বলেন, আমরা পুরো ভবন ঘুরে দেখেছি আগুন লাগার পর কোন তলায়ই হোস পাইপ ব্যবহার করা হয়নি। কোন কোন ফ্লোরে অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্রও ব্যবহার করা হয়নি।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন

ওয়েবসাইটের কোন কনটেন্ট অনুমতি ব্যতিত কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Design & Developed BY ThemesBazar.Com