বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:৪৬ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
বাহুবল হাসপাতালের নতুন ব্যবস্থাপনা কমিটি প্রথম সভা বাহুবলে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের বাছাইয়ে দুই প্রার্থীর মনোনয়নপত্র অবৈধ বাহুবল উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ২০ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র দাখিল শিশুদের বিবাদের জেরে আজমিরীগঞ্জে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ৩৫ দেশবাসীকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর কেএনএফের প্রধান সমন্বয়ক বান্দরবানের বাসা থেকে গ্রেপ্তার ফেনীতে ট্রেন-ট্রাকের সংঘর্ষে নিহত ৬ ফিলিস্তিনি শিশু দিবস: গাজায় প্রতি ঘণ্টায় মরছে ৪ শিশু বাহুবলে বাংলা নববর্ষ ও ঈদ-উল-ফিতর উদযাপন উপলক্ষ্যে প্রস্তুতিমূলক সভা বাহুবল মডেল প্রেস ক্লাবের উদ্যোগে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

সেই শিরিনের চিকিৎসার দায়িত্ব নিলেন অতিরিক্ত উপ-কমিশনার জেদান

নিজস্ব প্রতিবেদক : দক্ষিণ সুরমার আতিয়া মহলে জঙ্গিবিরোধী অভিযান চলাকালে বোমা বিস্ফোরণে আহত শিরিন মিয়ার চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছেন মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (মিডিয়া) জেদান আল মুসা। শিরিন মিয়া বর্তমানে ওসমানী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

বুধবার সন্ধ্যায় এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের যান জেদান আল মুসা।  তখন হাসপাতালের অর্থোপেডিক্স বিভাগে চিকিৎসাধীন শিরিনের চিকিৎসা ব্যয়ের পাশাপাশি একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান করে দেয়ারও প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।

এ প্রসঙ্গে পুলিশ কর্মকর্তা জেদান আল মুসা বলেন, ‘মানবিক বিষয়টি বিবেচনা করে শিরিন মিয়ার চিকিৎসায় সহযোগিতা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ব্যক্তিগত পক্ষ থেকে আমি তাকে এই সহযোগিতা করবো। তিনি সুস্থ হওয়ার পর তাকে একটি দোকান খুলে দেয়ারও চেষ্টা করবো।’

আহত শিরিন মিয়া বলেন, ‘কয়েকদিন পর পর স্প্লিন্টারের আঘাতে ক্ষতস্থানে ব্যাথা শুরু হয়। তখন আবার হাসপাতালে আসতে হয়। চিকিৎসকরা বলেছেন অস্ত্রপ্রচার করা লাগবে। কিন্তু টাকা পয়সা না থাকায় অপারেশন করাতে পারছিলাম না। এখন পুলিশ কর্মকর্তা জেদান আল মুসা পাশে দাঁড়ানোয় সাহস পাচ্ছি।’

প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের ২৫ মার্চ নগরীর দক্ষিণ সুরমার শিববাড়ীস্থ আতিয়া মহলে অপারেশন টোয়াইলাইট চলাকালে বোমা বিস্ফোরণে স্প্লিন্টারের আঘাতে আহত হন সুনামগঞ্জ জেলার দিরাইয়ের ভাটিপাড়া গ্রামের আব্দুল গণির ছেলে শিরিন মিয়া। ওই ঘটনার সময় তিনি নগরীর শিববাড়ির ড্রাইভার রেস্টুরেন্টে বাবুর্চি হিসেবে কর্মরত ছিলেন। স্প্লিন্টারের আঘাতে পঙ্গুত্ব বরণ করে প্রথম দফায় প্রায় চার মাস ওসমানী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি।

পরে চলাফেরা ও কাজ করতে না পারায় চাকরিও চলে যায় তার। অভাবের কারণে সন্তানকে নিয়ে তার স্ত্রী বাবার বাড়ি চলে যান। গত মাসের প্রথম সপ্তাহে দ্বিতীয় দফায় ফের হাসপাতালে ভর্তি হন শিরিন মিয়া। এখনও তিনি চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন

ওয়েবসাইটের কোন কনটেন্ট অনুমতি ব্যতিত কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Design & Developed BY ThemesBazar.Com