বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:৩৬ পূর্বাহ্ন

ভোলায় চরাঞ্চল প্লাবিত

ভোলা :ঘূর্ণিঝড় ‘ফণি’র প্রভাবে ভোলায় শুরু হয়েছে ভারী বৃষ্টিপাত। সেই সঙ্গে জেলার বিচ্ছিন্ন চরাঞ্চলগুলো প্লাবিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আজ সকাল থেকে কয়েক দফায় বৃষ্টি হলেও দুপুরের পর থেকে ভারী বর্ষণ ও সঙ্গে ধমকা হাওয়া বয়ে যাচ্ছে। আকাশ ক্রমান্ময়ে মেঘাচ্ছন্ন হয়ে গেছে।

এছাড়াও ভোলার বিচ্ছিন্ন চর পাতিলা, ঢালচর, কলাতলীর চরসহ বিভিন্ন চরাঞ্চলের জোয়ারের পানি প্রবেশ করছে। এতে করে ওই এলাকার লোকজন আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। এদিকে চরাঞ্চলগুলো থেকে লোকজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে নেয়া হচ্ছে। অতি জোয়ারে পুরো এলাকা প্লাবিত হয়েছে। বেশিরভাগ বিস্তীর্ণ এলাকা দুই ফুট পানির নিচে।

চরফ্যাশন বন বিভাগের বিট অফিসার মো. সাইফুল ইসলাম জানান, অতি জোয়ারে কুকরী-মুকরী বাঁধের বাইরের বেশ কিছু এলাকা প্লাবিত হয়েছে।

চরফ্যাশন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুহুল আমিন বলেন, ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে বিচ্ছিন্ন দ্বীপ ঢালচর প্লাবিত হয়েছে। আমরা লোকজনদের আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে বলেছি। পাশাপাশি নৌ-পথে অনেক মানুষকে মূল ভূখণ্ডে আনার কাজ চালিয়ে যাচ্ছি।

অপরদিকে সকাল থেকে ভোলায় রোদ থাকলেও দুপুরের পর থেকে পুরো আকাশ মেঘে ডেকে যায়। শুরু ভারী বর্ষণ ও ধমকা হাওয়া।

জেলা প্রশাসক মো. মাসুদ আলম সিদ্দিক জানান, ঘুর্ণঝড় ফণী মোকাবেলায় জেলার সকল সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। খোলা হয়েছে ৮ টি কন্ট্রোল রুম, স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে ৯২টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কয়েক দফায় ঘুর্ণিঝড় প্রস্তুতি সভা করা হয়েছে। এছাড়ারও দুর্যোগকালীন সময়ের জন্য ২ হাজার ৫শ’ প্যাকেট শুকনো খাবার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ইতোমধ্যে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে নগদ পাঁচ লাখ টাকা ও দুই শ’ মেট্রিকটন চাল।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন

ওয়েবসাইটের কোন কনটেন্ট অনুমতি ব্যতিত কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Design & Developed BY ThemesBazar.Com