বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:১০ পূর্বাহ্ন

বাহুবলে ব্রি-ধান ৮৯ জাতের মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি : বাংলাদেশ ধান গবেষনা ইনস্টিটিউ কর্তৃক উদ্ভাবিত ব্রি ধান ৮৯ জাতের ধানের মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে। “জাপান ফান্ড ফর গ্লোবাল এনভায়রনমেন্ট”এর সহযোগিতায় এসেড হবিগঞ্জ কর্তৃক বাস্তবায়িত “ক্লাইমেট চেঞ্চ এ্যাডাপটিভ এগ্রিকালচার ইন হাওর এরিয়া প্রকল্প-র আওতায় বাহুবল উপজেলার মিরপুর ও স্নানঘাট ইউনিয়নের কৃষকের মাঝে ব্রি ধান ৮৮, ব্রি ধান ৮৯, ব্রি ধান ৯২, ব্রি হাইব্রিড ধান ২ ও ব্রি হাইব্রিড ধান ৩ জাতের বীজ চলতি বোরো মৌসুমে বিতরণ করা হয়েছিল।

সোমবার (২৬ এপ্রিল) সোমবার দুপুরে বাহুবল উপজেলার মিরপুর হাওরে এ মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ধান গবেষনা ইনস্টিটিউ এর হবিগঞ্জ আঞ্চলিক কার্যালয়ের প্রধান ড. মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক, বাহুবল উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নিলুফার ইয়াসমিন, বাহুবল উপজেলা কৃষি অফিসার আব্দুল আওয়াল, এসেড হবিগঞ্জ এর প্রধান নির্বাহী জাফর ইকবাল চৌধুরীসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও কৃষকগণ।

মাঠ দিবসে কৃষক কর্তৃক চাষকৃত ব্রি ধান ৮৯ কর্তন ও মারাই করে সকলের উপস্থিতিতে পরিমাপ করা হয়। ব্রি ধান ৮৯ বিঘাপ্রতি ২৮ মন ফলন পাওয়া যায়।

মাঠ দিবসে কৃষকের সম্মুখে বাহুবল উপজেলার উপজেলা কৃষি অফিসার আব্দুল আউয়াল বলেন, কৃষকরা বাজার থেকে ৪শ টাকা মূল্যের হাইব্রিড ধানের বীজ কিনে চাষ করে। অথচ ব্রি কর্তৃক উদ্ভাবিত অনেক জাত বাজার থেকে কেনা হাইব্রিড জাতের সমান ফলন দেয়। ঐ জাতগুলোর বীজ কৃষকরা নিজেই রাখতে পারে। এতে কৃষকের বীজ কেনার দায় কমে যায়।

বাহুবল উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নিলুফার ইয়াসমিন তার বক্তব্যে বলেন, কৃষকদের বীজ সংরক্ষণের বিষয়ে প্রচুর প্রশিক্ষণ প্রদান করা দরকার। বর্তমান কৃষি বান্ধব সরকার কৃষিতে প্রচুর ভর্তূকী প্রদান করছে।

এসেড হবিগঞ্জ এর প্রধান নির্বাহী জাফর ইকবাল চৌধুরী বলেন,হবিগঞ্জের বেশীর ভাগ কৃষক সারা বছরে একটি মাত্র ফসল হিসেবে শুধু বোরো চাষ করে। তাও আবার বাজার থেকে কেনা হাইব্রিড ধান চাষে কৃষকরা বেশী আগ্রহী। ব্রি কর্তৃক উদ্ভাবিত স্বল্প ও মধ্যম জীবন কালের অনেক জাত রয়েছে যেগুলো চাষ করলে কৃষকের কৃষি ব্যয় হ্রাস পাবে, তুলনামূলক বেশী ফসল পাবে এবং দূর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস পাবে। কৃষকদের এই বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে ব্রি জাতের ধান চাষে মনোযোগী হতে হবে।

বাংলাদেশ ধান গবেষনা ইনস্টিটিউ এর হবিগঞ্জ আঞ্চলিক কার্যালয়ের প্রধান ড. মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক বলেন, ব্রি ৮৯ জাতের ধান অধিক ফলনসীল প্রমানিত হয়েছে। এই অধিক ফলনের ফলে কৃষকের ধানচাষে আয় বেড়ে যাবে অন্যদিকে ব্যয় কমে আসবে। কৃষকরা বেশি বেশি করে এ জাতের ধান চাষ করবেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

স্থানীয় কৃষকরা জানিয়েছেন ব্রি-৮৯ জাতের ধান অধিক ফলন হওয়ায় আগামীতে এ জাতের ধান চাষে কৃষকরা আগ্রহী হয়ে উঠছে।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন

ওয়েবসাইটের কোন কনটেন্ট অনুমতি ব্যতিত কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Design & Developed BY ThemesBazar.Com