মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১১:২১ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :

বাহুবলে কিশোরীকে গণধর্ষণ, গ্রেফতারকৃত ২ যুবকের দায় স্বীকার

বাহুবল (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি : বাহুবলে এক ১৭ বছরের কিশোরীকে জোরপূর্বক গণধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত বুধবার (০৬ অক্টোবর) বিকাল ৪টার দিকে উপজেলার উত্তর ভবানীপুর এলাকা থেকে ঐ কিশোরীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে সিলেটে নিয়ে গিয়ে দুই যুবক পালাক্রমে ধর্ষণ করে। পরে শুক্রবার গতকাল (০৮ অক্টোবর) ধর্ষিতার মা বাদী হয়ে বাহুবল মডেল থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ অভিযান চালিয়ে সিলেট থেকে দুই ধর্ষক জুয়েল খাঁ (২২) ও জুনেদ মিয়া (২৬) কে গ্রেফতার করেন। ঐ দিনই ধর্ষিতা কিশোরীকে মেডিকেল পরীক্ষা শেষে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অন্যদিকে শনিবার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সুলতান উদ্দিন প্রধানের আদালতে জুয়েল ও জুনেদকে হাজির করলে তারা ধর্ষণের বিষয়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।

মামলা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার পুটিজুরী ইউনিয়নের উত্তর ভবানীপুর গ্রামের জনৈক ব্যক্তির কিশোরী কন্যা (১৭) সাথে নবীগঞ্জ উপজেলার পানিউমদা ইউনিয়নের বরকান্দি গ্রামের মৃত দুধ মিয়ার পুত্র জুয়েল খাঁ (২২) মোবাইল ফোনে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলেন। প্রেমের এক পর্যায়ে গত ০৬ অক্টোবর বিকালে জনৈক কিশোরীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে সিলেট যেতে বলে। পরে জুয়েলের পরামর্শমতে কিশোরী প্রথমে সিএনজি পানিউমদা ও পরে হবিগঞ্জ এক্সপ্রেস যোগে সিলেট কদমতলী পৌছায়। সেখানে পূর্ব থেকে অবস্থান করা জুয়েল ও জুনেদ কিশোরীকে সিএনজি যোগে তালতলাস্থ সুফিয়া আবাসিক হোটেলে নিয়ে যায়। হোটেলের দ্বিতীয় তলার ১টি কক্ষে কিশোরীকে প্রথমে জুয়েল খাঁ ও পরে জুনেদ মিয়া পালাক্রমে রাতভর ধর্ষণ করে। পরে বৃহস্পতিবার (০৭ অক্টোবর) ১২টার দিকে ধর্ষণকারীরা ধর্ষিতা কিশোরীকে সিলেট থেকে নিয়ে এসে পানিউমদা বাজার বাসস্ট্যান্টে নামিয়ে দেয়। এ সময় ধর্ষিতা কিশোরী স্থানীয় লোকদের সহযোগিতায় বাড়িতে ফিরে এসে ঘটনার বিস্তারিত জানায়।

ধর্ষিতার কিশোরী মা জানান, আমি একজন দিনমজুর। আমার চার ছেলে ও ছয় মেয়ে। ধর্ষিতা কিশোরী আমার ছোট মেয়ে। সে সহজ-সরল থাকার সুবাধে জুয়েল খাঁ তাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ফুসলিয়ে সিলেট নিয়ে তার বন্ধু জুনেদ মিয়াকে নিয়ে পালাক্রমে গণধর্ষণ করেছে। আমি এ ঘটনার সাথে জড়িত জুয়েল, জুনেদসহ সকল আসামীদের কঠোর শাস্তি দাবি জানাই।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বাহুবল মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আলমগীর কবীর জানান, মামলার সূত্র ধরে অত্যান্ত গোপণীয়তার সহিত বিভিন্ন তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে আসামিদের অবস্থান শনাক্ত করে শুক্রবারেই তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। পরে শনিবার তাদেরকে আদালতে হাজির করলে দুই আসামি ঘটনার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন

ওয়েবসাইটের কোন কনটেন্ট অনুমতি ব্যতিত কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Design & Developed BY ThemesBazar.Com