বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১১:৫০ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
ইউএনও তাহমিলুর রহমানকে বাহুবল মডেল প্রেস ক্লাব-এর বিদায় সংবর্ধনা বাতিল হতে পারে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শনিবারের ছুটি মাছ ধরতে গিয়ে জেলের পায়ুপথ দিয়ে পেটের ভিতর কুঁচিয়া, তারপর… বিদ্যুৎস্পৃষ্টে একই পরিবারের ৫ জনের মৃত্যু সিলেটে টেস্টে ৩৮২ রানে হারলো বাংলাদেশ পেটে অসহ্য যন্ত্রণা, অস্ত্রোপচার করতেই বেরিয়ে এলো ১২ ইঞ্চির জ্যান্ত ইল মাছ! বাহুবল সদর কেন্দ্র স্থানান্তরের প্রস্তাব; জনমনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া বাহুবলে সর্বজনিন পেনশন স্কীম অবহিতকরণ সভায় অনুষ্ঠিত পেঁয়াজ রপ্তানিতে অনির্দিষ্টকালের নিষেধাজ্ঞা ভারতের গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবে চীন-রাশিয়ার ভেটো

বাড়ির ছাদে সবুজের সমারোহ

নিজস্ব প্রতিবেদক : আজকাল ইট-পাথরের সভ্যতার শহরগুলো থেকে হারিয়ে যাচ্ছে সবুজ। তবে কিছু সৌখিন মানুষ এখনও সেই সবুজকে ধরে রাখতে বাড়ির ছাদে তৈরি করছেন বাগান।

তাদেরই একজন হবিগঞ্জ জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলেয়া আক্তার।

তিনি নিজের ছাদ, বাড়ির আঙিনা এবং জানালার পাশে তিন শতাধিক জাতের ফুল, ফল আর ওষুধি গাছ লাগিয়ে বাড়িটিতে সবুজের সমারোহ করেছেন। এ ছাড়াও ছাদে রয়েছে দেশীয় মোরগ-মুরগি পালনের জন্য একটি ছোট্ট ঘর। এতে সব সময় ২০/২৫টি মোরগ- মুরগি পালন করেন তিনি।

আলেয়া আক্তার হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মো. আবু জাহিরের সহধর্মিনী।

তাদের হবিগঞ্জ শহরের টাউন হল রোডের বাসাটির সামনে গেলেই দেখা মেলে টবে লাগানো হরেক রকমের ফুলের গাছ। বাসার ষষ্ঠ তলার ছাদে রয়েছে, দেশি বেগুন, বরবটি, শিম, লেবু, মাল্টা, ডালিম, আম, জাম, টমেটো, বরই, পেয়ারা, সফেদা, কাঁচা মরিচ, কামরাঙা, আমড়া, পেঁপে, ঝিঙা, শশা, ড্রাগন, আখ, জলপাই, অড়বড়ই, বড়ই, আপেল, আঙুর, বেল, খেজুর, বিলিম্বি, কাঁঠাল, কদবেল, তেঁতুল, মিষ্টি লাউ ও ভেষজ নানা রকম গাছ। রয়েছে বেশ কিছু বিদেশি সবজি, ফল ও ফুলগাছও।

আলেয়া আক্তারের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তার ছোটবেলা থেকেই শখ ছিল বাগান করার। এখন রাজনীতি ও সাংসারিক কাজে পুরোপুরিভাবে ব্যস্ত। তবে রাজনীতি আর পরিবারের শত ব্যস্ততাও ভোলাতে পারেনি ছোট বেলার সেই শখের কথা। তাই তো ব্যস্ততার মধ্যেও ছাদ এবং বাড়ির আঙিনায় তিন শতাধিক রকমের ফল, ফুল আর ওষুষি গাছ লাগিয়ে বাড়িটিতে সবুজের সমারোহ ঘটিয়েছেন।

আলেয়া আক্তার জানান, ২০১০ সালে ছাদে বাগান করা শুরু করেছেন। এখন বাগানটিতে তিন শতাধিক গাছ রয়েছে। গাছগুলো থেকে এখন প্রতিদিনই ফল ও শাক-সবজি এনে পরিবারের সবাই খেতে পারেন। বাসায় অতিথি এলে অনেকেই নিজের হাতে বিষমুক্ত ফল ও সবজি নিয়ে যান।

তিনি বলেন, বাগানটি পরিচর্চায় পরিবারের অন্য সদস্যরাও অংশ নেন। যেহেতু বাগানে রাসায়নিক সার ব্যবহার করা হয় না, তাই জৈব সার তৈরিতে বিভিন্ন উপকরণ বাইরে থেকে আনতে পরিবারের সদস্যরা আমাকে সহযোগিতা করেন।

এ ছাড়া ছাদের ছোট্ট ঘরে পালন করা মুরগিগগুলো ডিম দেয় এবং সেখানে বাচ্চা তোলা হয়।

আলেয়া আক্তার বলেন, ভবিষ্যতে ছাদ ছাড়াও আমার আরেকটি বাগান করার ইচ্ছে রয়েছে। নিজের বাড়িতে জায়গা থাকলেই সবাই যেন বেশি বেশি গাছ লাগান, সেজন্য আমার আশপাশের সবাইকে অনুরোধ জানাই।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন

ওয়েবসাইটের কোন কনটেন্ট অনুমতি ব্যতিত কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Design & Developed BY ThemesBazar.Com