মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ১১:৪১ পূর্বাহ্ন

“কুইক চিক” কোম্পানীর বর্জ্যে দুষিত হচ্ছে পরিবেশ, মাছির উপদ্রবে অতিষ্ট এলাকাসী

দিদার এলাহী সাজু, নিজস্ব প্রতিবেদক: হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল উপজেলার বিহারীপুর গ্রামস্থ “কুইক চিক” কোম্পানীর বর্জ্যে দুষিত হচ্ছে এলাকার পরিবেশ। কোম্পানীর বর্জ্য থেকে সৃষ্ট প্রচন্ড দুর্গন্ধে চরমভাবে অতিষ্ট হয়ে পড়েছেন এলাকাবাসী। পাশাপাশি এলাকায় বেড়েছে মশা-মাছির তীব্র উপদ্রব। আর এই মাশা-মাছির দ্বারা ছড়িয়ে পড়েছে নানান রোগ-জীবানু। এ নিয়ে এলাকার সচেতন মহলসহ সাধারণ মানুষ উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, প্রায় বছরখানেক পুর্বে উপজেলার ভাদেশ্বর ইউনিয়নের বিহারীপুর গ্রামের জনবসতিপুর্ণ স্থানে “কুইক চিক” নামে মোরগের বাচ্চা প্রতিপালনের একটি ফার্ম চালু করা হয়। এ ফার্ম চালুর পর থেকে মোরগের বিষ্টা অপরিকল্পিতভাবে সংরক্ষণ করার কারণে প্রচন্ড দুর্গন্ধ সৃষ্টি হয়ে আশপাশ এলাকায় ছড়িয়ে পড়ছে। পাশাপাশি ওইসব বিষ্টা থেকে প্রতিনিয়ত জন্মনিচ্ছে রোগ-জীবানু ছড়ানোর অন্যতম বাহক মশা-মাছি। ফলে এলাকার একাধিক গ্রামের বসতবাড়িতে ব্যাপক হারে বাড়ছে মশা-মাছির উপদ্রব। শুধু তাই নয়, দুর্গন্ধ আর মশা-মাছির কারণে এলাকার বয়স্ক ও শিশুরা শ^াসকষ্টজনিত রোগসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে জনস্বাস্থ্য মারাত্মক হুমকির মুখে পড়ছে।

এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ ইদ্রিস আলী বলেন, কোম্পানীটি লোকালয়ে হওয়াতে এখানকার একটি প্রাইমারী স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষর্থী ও বসবাসরত শতাধিক পরিবারের মানুষেরা দুর্গন্ধযুক্ত বাতাস থেকে জীবজাতীর অতি প্রয়োজনীয় অক্সিজেন গ্রহন করতে হচ্ছে। এর বিরুদ্ধে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন।

বিহারীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক সাহেনা খাতুন জানান, ফার্মের পাশ দিয়ে এই দুর্গন্ধের মধ্য দিয়েই আমাদের স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ এলাকার শতশত মানুষ প্রতিদিন যাতায়ত করছেন। ময়লা থেকে মশা-মাছি ওঠে স্কুলের ভিতরে ঢুকে পড়ছে। এতে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।

বিহারীপুর গ্রামের বাসিন্দা উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা যোবায়ের আহমেদ জানান, লোকালয়ে এ ধরনের প্রতিষ্ঠান স্থাপনে পরিবেশ ছাড়পত্র কি ভাবে দেয়া হল তা বোধগম্য নয়। দুর্গন্ধ আর মশা-মাছির উৎপাতে মানুষের নাভিশ্বাস হচ্ছে। তাই এই অবস্থা থেকে এলাকাসী রেহাই পেতে ইতিমধ্যে এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গসহ শতাধিক মানুষের স্বাক্ষরযুক্ত একটি আবেদন ইউএনও বরাবরে কাছে দেয়া হয়েছে।

জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহুয়া শারমিন ফাতেমা জানান, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

 

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন

ওয়েবসাইটের কোন কনটেন্ট অনুমতি ব্যতিত কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Design & Developed BY ThemesBazar.Com