শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫, ০৭:৫৪ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
বাহুবল নিউ ভিশন কেজি এন্ড মডেল হাই স্কুলে চাকুরির বিজ্ঞপ্তি পাগলা কুকুরের তান্ডব, শিশু কিশোর যুবক যুবতিসহ আহত ২০ কুয়েত, বাহরাইন, আমিরাতের আকাশপথ আবার সচল যুদ্ধবিরতি ঘোষণার মধ্যেই ইসরায়েলে ইরানের ‘ক্ষেপণাস্ত্র বৃষ্টি’, নিহত ৩ ঢাকা থেকে মধ্যপ্রাচ্যের সব ফ্লাইট বাতিল, আকাশসীমা বন্ধ চার দেশের বাহুবলে প্রান্তিক জনগোষ্ঠী মাঝে ফ্রী চিকিৎসা সেবা দিলেন ডাঃ শারমিন আক্তার বাহুবলে অপহরণ করে কিশোরীকে রাতভর ধর্ষণ : শালা-দুলাভাই গ্রেফতার গভীর রাতে টিলাধসে একই পরিবারের ৪ জনের মৃত্যু শেখ হাসিনার বিচার ট্রাইবুনাল থেকে সরাসরি সম্প্রচার হবে রবিবার টানা বৃষ্টিতে সিলেটে জলাবদ্ধতা, জনজীবন বিপর্যস্ত

আজ ৬ ই ডিসেম্বর নবীগঞ্জ মুক্ত দিবস

প্রতীকী ছবি

উত্তম কুমার পাল হিমেল,নবীগঞ্জ(হবিগঞ্জ) : আজ ৬ই ডিসেম্বর নবীগঞ্জ মুক্ত দিবস।১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের বীরত্ব গাথা দিনগুলোর মধ্যে একটি দিন হল নবীগঞ্জ মুক্ত দিবস। সেদিন পূর্বাকাশের সুর্যোদয়ের সাথে সাথেই মুক্তিযোদ্ধারা পাকবাহিনীদের হটিয়ে দিয়ে মুক্ত করেছিলেন নবীগঞ্জ শহরকে।

তিনদিনের সন্মুখ যুদ্ধের পর সেদিন সুর্যোদয়ের কিছুক্ষন আগে নবীগঞ্জ থানা সদর হতে পাকহানাদার বাহিণীকে সম্পূর্ণরূপে বিতাড়িত করে মুহর্মুহ গুলি ও জয় বাংলা শ্লোগানের মধ্যে বীরদর্পে এগিয়ে আসে কয়েক হাজার মুক্তিকামী জনতা। এ সময় মাহবুবুর রব সাদীর নেতৃত্বে থানা ভবনে উত্তোলন করা হয় বাংলাদেশের পতাকা। পরে স্থানীয় নবীগঞ্জ ডাকবাংলো সন্মুখে হাজার হাজার জনতার আনন্দে উদ্বেলিত ভালবাসায় সিক্ত মাহবুবুর রব সাদী আবেগজড়িত কন্ঠে স্বাধীনতার মূল উদ্দেশ্য বর্ননা করেন এবং ঐদিন বিকালে বাহিনীসহ সিলেট রওয়ানা দেন।

৬ ই ডিসেম্বর নবীগঞ্জ মুক্ত হওয়ার পূর্ব থেকেই মুক্তিযুদ্ধারা বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করেন। বিভিন্ন সময় পাকবাহিনীর উপর গেরিলা হামলা চালিয়ে তাদের ভীত সন্ত্রস্থ করে রাখে মুক্তি সেনারা। কৌশলগত কারনে নবীগঞ্জ গুরুত্বপূর্ণ হওয়ায় মুক্তিযুদ্ধারা নবীগঞ্জ থানা দখলের সিদ্ধান্ত নেয়। নবীগঞ্জে পাক বাহিনীর অন্যতম ক্যাম্প নবীগঞ্জ থানাকে লক্ষ্য করে তিনদিকে মুক্তিযুদ্ধারা অবস্থান নেয়। ৩রা ডিসেম্বর রাত থেকে ক্ষনে ক্ষনে গুলি বিনিময় চলে উভয়ের মধ্যে। মুক্তিযোদ্ধারা কৌশলগত কারনে ও আত্মরক্ষার্থে কখনোও পিছু হটা, আবার কখনোও আক্রমন চালিয়ে পাক বাহিনীকে নাস্তানাবুদ করতে থাকে। সারাদেশে পাকবাহিনীর অবস্থান খারাপ হওয়ায় নবীগঞ্জেও তাদের খাদ্য এবং রসদ সরবরাহ কমে যায়।

অন্যদিকে মুক্তিবাহিনী একেক সময়ে একেক দিক দিয়ে আক্রমন চালিয়ে যায়। ৪ ঠা ডিসেম্বর রাতে থানা ভবনের উত্তর দিকে রাজনগর গ্রামের নিকট থেকে মুক্তিযোদ্ধা রশিদ বাহিনী পাকবাহিনীর উপর প্রচন্ড আক্রমন চালায়। এ যুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম বীর কিশোর বয়সী মুক্তিযোদ্ধা ধ্রুব ৪ঠা ডিসেম্বর শহীদ হন এবং কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা আহত হন।

পরদিন ৫ ডিসেম্বর রাতে নবীগঞ্জ থানায় অবস্থিত পাকবাহিনী ক্যাম্পে মুক্তিযোদ্ধারা চরগাঁও ও রাজাবাদ গ্রামের মধ্যবর্তী শাখা বরাক নদীর দক্ষিণ পাড়ে অবস্থান নেয়। প্রায় ৩ ঘন্টা ব্যাপী প্রচন্ড যুদ্ধের পর শক্র বাহিনী পালিয়ে যায়।

পরদিন ৬ ই ডিসেম্বর ভোর রাতে পাকবাহিনীর নিকট থেকে কোন বাধা না আসায় মুক্তিবাহিনী বীরদর্পে জয়বাংলা শ্লোগানের মধ্য দিয়ে নবীগঞ্জ থানা প্রাঙ্গণে প্রবেশ করে এবং বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করে নবীগঞ্জ উপজেলাকে পাকিস্তানমুক্ত ঘোষণা করেন।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন

ওয়েবসাইটের কোন কনটেন্ট অনুমতি ব্যতিত কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Design & Developed BY ThemesBazar.Com