শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১২:২৪ পূর্বাহ্ন
উত্তম কুমার পাল হিমেল, নবীগঞ্জ (হবিগঞ্জ) : নবীগঞ্জে বিভিন্ন এলাকাজুড়ে আমন ধানের বাম্পার ফসলের দৃশ্য দেখে কৃষক-কৃষানীরা মহাখুশী। আমনের বাম্পার ফলনে চারিদিকে সোনালীর সমারোহ চোঁখে পড়ছে। মাঠে পাকা ধানের মৌ মৌ গন্ধ। ফসলের এমন মাঠ দেখে কৃষক-কৃষাণী মহাখুশি। উৎসব মুখর পরিবেশে চলছে সোনালী ধান কাটার কাজ।
নবীগঞ্জে আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। আমন ধানের এমন ফলনে এ বছর কৃষকের চোখে মুখে হাঁসি ফুটেছে। লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করে প্রতি হেক্টরে এবার সাড়ে ৪ থেকে ৫ টন ধান উৎপাদিত হবে। জানা যায়, আবহাওয়া অনুকূল থাকায় ও কৃষি কর্মকর্তাদের সঠিক পরামর্শে চতুরদিকে আমনের সোনালি ক্ষেত আর ক্ষেত। উপজেলার বিভিন্ন হাওর ও মাঠে সবুজ আর সোনালী ছোপ, বিকালে হালকা বাতাস, সকালে শিশির ভেজায় দূলছে রোপা আমন ধান। সেই সাথে দূলছে কৃষক-কৃষানীর মন। খুশির আনন্দে ঢেউ আছড়ে পড়ছে মাঠে ও গ্রামে। কৃষকদের চোখের কোণে খুশির ঝিলিক ও সোনালী স্বপ্ন দেখা যাচ্ছে। সচ্ছলতার সোপানে দ্রুত পাল্টে যাওয়ার আগমনী বার্তা সু সময়ের হাতছানি। দেশের কৃষকদের এগিয়ে নিতে কৃষিবান্ধব সরকারের সামগ্রীক সহযোগিতায় কৃষকরা উদ্বেলিত। একদিকে কৃষক-কৃষানীরা স্বপ্নের ফসল ঘরে তুলতে প্রচন্ড ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে। কেউ কেউ ধানের গোলা তৈরি করে নতুন ধান ঘরে তুলছেন। আবার অনেকেই ইতিমধ্যে সোনালি ধান কাটা ও তোলা শেষ করেছেন।
সরজমিন উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, কিছু কিছু এলাকায় কৃষক পাকা ধান কেটে আঁটি বেঁধে নিয়ে আসছেন। কেউ কেউ মাড়াইয়ের কাজ করছেন। আবার অনেকে ধান সিদ্ধ দিচ্ছেন। ঘাম ঝরানো কৃষকরা জানান, এ বছর বেশি বৃষ্টি হওয়াতে ও যথাসময়ে জমিতে সার দিতে পারায় ধানের ফলন আগের তুলনায় অনেক বেশি হয়েছে। এবার আমন ধানের ফলন ভাল হওয়ায় ধান চাষ লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করেছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আমনের এমন বাম্পার ফলন হয়েছে বলে জানিয়েছে কৃষি অধিদপ্তর।
নবীগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দুলাল উদ্দিন জানান, উপজেলায় এ বছর ১০ হাজার ২শত হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছিলো। কিন্তু লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ফলন ভাল হওয়ায় এবার ১১ হাজার ২ শত ৫০ হেক্টর লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়েছে। প্রতি হেক্টরে সাড়ে ৪ থেকে ৫ টন ধান উৎপাদিত হয়েছে। এবার আশার চেয়ে ফলন অনেক ভাল হয়েছে।