শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৯:৪১ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
বৃহস্পতিবার সারা দেশে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ ঘোষণা চট্টগ্রামে ছাত্রলীগের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষে নিহত ৩ কলম্বিয়াকে হারিয়ে দ্বিতীয়বার কোপা আমেরিকার চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা বাহুবলে স্মার্ট এনআইডি কার্ড বিতরণের জন্য জনবল নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি বাহুবলে দুই মাস ধরে নিখোঁজ রবিউলের সন্ধান চায় পরিবার যে কারণে ব্যারিস্টার সুমনকে হত্যার হুমকি দেয় সোহাগ ব্যারিস্টার সুমনকে হত্যার হুমকিদাতা গ্রেপ্তার পিএসসির প্রশ্নফাঁস: দায় স্বীকার করে ৭ জনের জবানবন্দি, ১০ জন কারাগারে দেশের সম্পদ বেচে মুজিবের মেয়ে ক্ষমতায় আসে না: প্রধানমন্ত্রী ব্যারিস্টার সুমনকে হত্যার হুমকি, প্রতিবাদে বাহুবলে মানববন্ধন

নবীগঞ্জে কলেজছাত্রী তন্নী হত্যা মামলায় একমাত্র আসামীর মৃত্যুদণ্ড

কলেজ ছাত্রী তন্নীর ফাইল ছবি

নিজস্ব প্রতিবেদক: হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে কলেজছাত্রী তন্নী রায় (১৯) হত্যা মামলায় একমাত্র আসামি রানু রায় (২৫) কে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন বিচারক। এছাড়া তাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা ও ২০১ ধারায় আরো তিন বছরের কারাদণ্ড, অনাদায়ে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

সোমবার (৭ জানুয়ারি) দুপুরে সিলেটের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক রেজাউল করিম এ রায় দেন। দণ্ডপ্রাপ্ত আমামি রানু রায় হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার জয়নগর গ্রামের কানু রায়ের ছেলে।

আদালতের পিপি কিশোর কুমার কর এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, একই উপজেলার শিবপাশা শ্যামলী আবাসিক এলাকার বিমল রায়ের কলেজপড়ুয়া মেয়ে তন্নী রায়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলেন রানু।

এরপর ২০১৬ সালের ১৭ থেকে ২০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে কোনো এক সময় তাকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যার পর তন্নীর মরদেহ স্থানীয় আকরমপুর গ্রামের গরমুল্লা ব্রিজের নিচে ফেলে যায়। ২০ সেপ্টেম্বর পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে।

এ ঘটনায় নিহতের বাবা বাদি হয়ে নবীগঞ্জ থানায় রানুকে একমাত্র আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় রানুকে পুলিশ গ্রেফতার করে। বিগত ২০১৬ সালের ৪ অক্টোবর আসামি রানু হবিগঞ্জের ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নিজেকে জড়িয়ে খুনের ঘটনা স্বীকার করেন।

মামলাটি তিন দফা তদন্ত কর্মকর্তা পরিবর্তন হয়ে হবিগঞ্জ জেলা গোয়েন্দা শাখায় তদন্ত ন্যস্ত হলে ওই বছরের ১৯ ডিসেম্বর হবিগঞ্জ দায়রা জজ আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন জেলা গোয়েন্দা শাখার পরিদর্শক কে এম আজমিরুজ্জামান।

২০১৭ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর আদালতে রানুর বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে বিচার কার্য শুরু হয়। ২০১৮ সালের ১৪ জানুয়ারি মামলাটি বিচার কার্যের জন্য সিলেট দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়।

দীর্ঘ শুনানিতে ৩১ সাক্ষীর মধ্যে ২০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ আদালত একমাত্র আসামি রানুর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার নির্দেশ দেন।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন

ওয়েবসাইটের কোন কনটেন্ট অনুমতি ব্যতিত কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Design & Developed BY ThemesBazar.Com