বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:০২ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :

ছাগলের বিভিন্ন রোগ ও প্রতিকার : প্রথম পর্ব

ফাইল ছবি

অন্যান্য গৃহপালিত পশুর মতো ছাগলও বিভিন্ন ধরনের রোগে আক্রান্ত হয়। এই রোগ জীবাণু (ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস, মাইকোপ্লাজমা ইত্যাদি), পরজীবী (কৃমি, প্রোটোজোয়া, উঁকুন, আঠালি ইত্যাদি), অপুষ্টি, বংশগত অস্বাভাবিকতা, বিপাকীয় সমস্যা এবং বিষাক্ত পদার্থের কারণে হতে পারে।

নিম্নে ছাগলের ব্যাকটেরিয়াজনিত বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রোগ, এদের লক্ষণ, চিকিৎসা এবং প্রতিরোধের উপায় আলোচনা করা হলো-

১. তড়কা বা অ্যানথ্রাক্স
গ্রীষ্ম প্রধান দেশে তড়কা ছাগলের একটি মারাত্মক রোগ। স্যাঁতস্যাঁতে পরিবেশে ছাগল এই রোগে বেশি আক্রান্ত হয়। রোগটি এতই মারাত্মক যে, তড়কার জীবাণু ছাগলে প্রবেশ করার ১২-১৮ ঘণ্টার মধ্যেই লক্ষণ প্রকাশ পায়। এমনকি লক্ষণ দেখা দেওয়ার আগেই ছাগল মারা যেতে পারে। ব্যাসিলাস অ্যানথ্রাসিস নামক জীবাণু দ্বারা রোগটি হয়ে থাকে।

লক্ষণসমূহ
প্রবল জ্বর হয়। ক্ষুধা থাকে না এবং জাবর কাটে না। পশু অস্থির হয়ে ওঠে এবং পেট ব্যথা আরম্ভ হয়। বার বার রক্ত মিশ্রিত পায়খানা হয়। রোগাক্রান্ত ছাগল খুব তাড়াতাড়ি অজ্ঞান হয়ে পড়ে এবং মারা যায়।

প্রতিরোধ
পালের কোন ছাগল হঠাৎ মারা গেলে বা তড়কা হয়েছে বলে সন্দেহ হলে অন্য ছাগলকে দ্রুত শুষ্ক ও উঁচু স্থানে সরিয়ে ফেলতে হবে। আক্রান্ত ছাগলের দ্রুত মৃত্যু হলে কোন নির্জন স্থানে ৬ ফুট গভীর গর্ত করে মৃতদেহ ও অন্যান্য জিনিসপত্র মাটিতে পুঁতে ফেলতে হবে।

প্রতিকার
তড়কা হয়েছে বুঝতে পারলে ৫ লাখ প্রোকেইন পেনিসিলিন রানের মাংসে বা ৫ মিলিলিটার টেরামাইসিন মাংসপেশীতে ইনজেকশন করতে পারলে উপকার পাওয়া যায়।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন

ওয়েবসাইটের কোন কনটেন্ট অনুমতি ব্যতিত কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Design & Developed BY ThemesBazar.Com