মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৪, ০৫:০০ পূর্বাহ্ন
তরফ নিউজ ডেস্ক: গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা আক্রান্ত হয়ে আরও ২২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে দেশে ১২ হাজার ২৩৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
এর আগে, গত ১১ এপ্রিল এ পর্যন্ত একদিনে সর্বোচ্চ ২৩০ জন মারা গিয়েছিল। গতকাল করোনায় ২১০ জন, গত পরশু ২০৩ জন ও তার আগের দিন ২২০ জন মারা গিয়েছিল।
আজ ২২৬ জনসহ দেশে এ পর্যন্ত ১৭ হাজার ২৭৮ জন করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।
আজকের শনাক্তসহ দেশে এ পর্যন্ত ১০ লাখ ৭১ হাজার ৭৭৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। গত ১২ এপ্রিল দেশে একদিনে সর্বোচ্চ ১৩ হাজার ৭৬৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছিল।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে দেওয়া সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, বুধবার সকাল ৮টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় অ্যান্টিজেন ও আরটি-পিসিআর পদ্ধতিতে ৪৪ হাজার ৯৪১টি নমুনা পরীক্ষা করে আরও ১২ হাজার ২৩৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ২৭ দশমিক ২৩ শতাংশ।
আজ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ২২৬ জনের মধ্যে ১৪০ জন পুরুষ ও ৮৬ জন নারী। বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে তাদের মধ্যে একজনের বয়স ১০ বছরের কম এবং দুই জনের বয়স ১০০ বছরের বেশি।
এছাড়া, ১১-২০ বছরের মধ্যে একজন, ২১-৩০ বছরের মধ্যে ছয় জন, ৩১-৪০ বছরের মধ্যে ১২ জন, ৪১-৫০ বছরের মধ্যে ৩৬ জন, ৫১-৬০ বছরের মধ্যে ৪৯ জন, ৬১-৭০ বছরের মধ্যে ৫০ জন, ৭১-৮০ বছরের মধ্যে ৪৪ জন, ৮১-৯০ বছরের মধ্যে ২২ জন ও ৯১-১০০ বছরের মধ্যে তিন জন মারা গেছেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৭৪ জনের মৃত্যু হয়েছে ঢাকা বিভাগে। এরপর খুলনা বিভাগে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৫২ জনের মৃত্যু হয়েছে। সিলেট বিভাগে এ সময়ে সবচেয়ে কম পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া, চট্টগ্রাম বিভাগে ৪২ জন, রাজশাহী বিভাগে ২৪ জন, রংপুর বিভাগে ১৩ জন, বরিশাল বিভাগে ছয় জন ও ময়মনসিংহ বিভাগে ১০ জন মারা গেছেন।
২৪ ঘণ্টায় ঢাকা বিভাগে সর্বোচ্চ পাঁচ হাজার ২৩৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এছাড়া, চট্টগ্রাম বিভাগে দুই হাজার ৪৭ জন, খুলনা বিভাগে এক হাজার ৬৩৯ জন, রাজশাহী বিভাগে এক হাজার ২৬৯ জন, রংপুর বিভাগে ৫১১ জন, বরিশাল বিভাগে ৫০০ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ৪৯৮ জন ও সিলেট বিভাগে ৫৩৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
একই সময়ে দেশে সুস্থ হয়েছেন আট হাজার ৩৯৫ জন। মোট সুস্থ হয়েছেন নয় লাখ পাঁচ হাজার ৮০৭ জন।
বিজ্ঞপ্তির তথ্য অনুযায়ী, দেশে এখন পর্যন্ত মোট পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৫ শতাংশ। মোট শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৪ দশমিক ৫১ শতাংশ ও মৃত্যুর হার এক দশমিক ৬১ শতাংশ।