বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৪২ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :

নির্যাতিত নারীর জবানবন্দি নেবেন শুধু নারী হাকিমরা

তরফ নিউজ ডেস্ক : সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের স্বার্থে ধর্ষণ, যৌন নির্যাতনের শিকার নারী বা শিশুদের জবানবন্দি নেওয়ার দায়িত্ব নারী ম্যাজিস্ট্রেটকে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।

সাম্প্রতিক বেশ কয়েকটি নারী নির্যাতনের ঘটনা এবং ফেনীর কলেজছাত্রী নুসরাত জাহান রাফির জবানবন্দি নিয়ে ওসির বিরুদ্ধে অসদাচরণের অভিযোগ ওঠার মধ্যে বিচারাঙ্গনে এই নির্দেশনা এল।

প্রধান বিচারপতির নির্দেশে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. জাকির হোসেন চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটদের প্রতি সোমবার এ নির্দেশনা পাঠান।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সুপ্রিম কোর্টের হাই কোর্ট বিভাগের বিশেষ কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইফুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সুপ্রিম কোর্টের ‘স্পেশাল কমিটি ফর জুডিশিয়াল রিফর্মস’র সভার সিদ্ধান্ত মাননীয় প্রধান বিচারপতির কাছে উপস্থাপন করলে প্রধান বিচারপতি সেটি অনুমোদন করার পর সোমবার সার্কুলার হিসেবে জারি করেছেন সুপ্রিম কোর্টের মাননীয় রেজিস্ট্রার জেনারেল।”

সার্কুলারে বলা হয়েছে, “নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০ এ বর্ণিত অপরাধ সংঘটনে ওয়াকিবহাল ব্যক্তির জবানবন্দি উক্ত আইনের ২২ ধারা অনুযায়ী লিপিবদ্ধ করা হয়। অপরাধের তদন্ত ও বিচারের স্বার্থে লিপিবদ্ধকৃত উক্ত জবানবন্দি অত্যন্ত গুরুত্ব বহন করে।

বর্তমানে বেশ কিছু ক্ষেত্রে ধর্ষণ বা যৌন নির্যাতনের শিকার নারী বা শিশুদের জবানবন্দি পুরুষ ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক নেওয়ার বিষয়টি ‘স্পেশাল কমিটি ফর জুডিশিয়াল রিফর্মস’ জানতে পেরেছে বলে সার্কুলারে বলা হয়।

এতে বলা হয়, “একজন পুরুষ ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট নারী বা শিশু ভিক্টিম ধর্ষণ বা যৌন নির্যাতনের বর্ণনা দিতে সংকোচ বোধ করে। ফলে এরূপ নির্যাতনের শিকার শিশু বা নারী ঘটনার প্রকৃত বিবরণ দিতে অনেক সময় ইতস্তত বোধ করে।

“এ ধরনের পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য ধর্ষণ বা যৌন নির্যাতনের শিকার নারী বা শিশুদের জবানবন্দি একজন নারী ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক লিপিবদ্ধ করা আবশ্যক।”

তবে সংশ্লিষ্ট জেলায় বা মহানগরীতে নারী ম্যাজিস্ট্রেট না থাকলে অন্য কোনো যোগ্য ম্যাজিস্ট্রেটকে এ দায়িত্ব দেওয়া যেতে পারে বলে মনে করে সুপ্রিম কোর্ট।

এ নির্দেশনা অনুসরণের ক্ষেত্রে কোনো সমস্যা বা অসুবিধা দেখা দিলে তা সুপ্রিম কোর্টের নজরে আনতেও অনুরোধ হয়েছে সার্কুলারে।

ইউএনডিপি’র বিচার বিভাগ সম্পর্কিত প্রকল্পের সহযোগিতায় ২০১০ সালে `স্পেশাল কমিটি ফর জুডিশিয়াল রিফর্মস’ গঠন করা হয়।

এর চেয়ারপারসন হলেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলী। কমিটির সদস্যরা হলেন, আপিল বিভাগের বিচারপতি জিনাত আরা, হাই কোর্টের বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ, বিচারপতি মো. মইনুল ইসলাম চৌধুরী, বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, বিচারপতি মো. রেজাউল হাসান ও বিচারপতি মো. আবু জাফর সিদ্দিকী।

এই কমিটি বিচার বিভাগকে শক্তিশালী করতে এবং বিচারিক সমস্যা সমস্য দূর করতে পর্যালোচনা, পর্যবেক্ষণ তুলে ধরে সুপ্রিম কোর্টের কাছে।

তথ্য সূত্র : বিডিনিউজ২৪

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন

ওয়েবসাইটের কোন কনটেন্ট অনুমতি ব্যতিত কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Design & Developed BY ThemesBazar.Com