মঙ্গলবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৫৭ পূর্বাহ্ন
তরফ নিউজ ডেস্ক : দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থারনত নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়েছে, যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘ফনী’।
শনিবার বিকাল নাগাদ ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশের ঊপকূল থেকে প্রায় দুই হাজার কিলোমিটার দক্ষিণে সাগরে অবস্থান করছিল।
ঘূর্ণিঝড়টি আরও ঘণীভূত ও উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে ভারতের অন্ধ্র উপকূলের দিকে অগ্রসর হতে পারে বলে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ঝড়ো হাওয়ার শঙ্কায় বাংলাদেশের সমুদ্রবন্দরগুলোতে ২ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সাগর তীরের আট দেশের আবহাওয়া দপ্তরের নির্ধারিত তালিকা থেকে এই অঞ্চলের ঝড়ের নাম দেওয়া হয়। বাংলাদেশের প্রস্তাবিত নাম থেকে এই ঘূর্ণিঝড়ের নাম হয়েছে ‘ফণী’।
আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, নিরক্ষীয় ভারত মহাসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণ বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি সামান্য উত্তর দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ছে।
এটি শনিবার বিকাল ৩টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১৯৩৫ কিলোমিটার দক্ষিণে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১৮৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণে, মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১৯২৫ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ১৮৮০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল।
ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের কাছে সাগর বিক্ষুব্ধ রয়েছে জানিয়ে আবহাওয়াবিদ কালাম বলেন, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
সর্বশেষ ডিসেম্বরে বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় ফেথাই, অক্টোবরে ঘূর্ণিঝড় ‘তিতলি’ ও নভেম্বরে ঘূর্ণিঝড় ‘গজ’ সৃষ্টি হয়েছিল।