শনিবার, ২০ জুলাই ২০২৪, ০৯:২০ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
বৃহস্পতিবার সারা দেশে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ ঘোষণা চট্টগ্রামে ছাত্রলীগের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষে নিহত ৩ কলম্বিয়াকে হারিয়ে দ্বিতীয়বার কোপা আমেরিকার চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা বাহুবলে স্মার্ট এনআইডি কার্ড বিতরণের জন্য জনবল নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি বাহুবলে দুই মাস ধরে নিখোঁজ রবিউলের সন্ধান চায় পরিবার যে কারণে ব্যারিস্টার সুমনকে হত্যার হুমকি দেয় সোহাগ ব্যারিস্টার সুমনকে হত্যার হুমকিদাতা গ্রেপ্তার পিএসসির প্রশ্নফাঁস: দায় স্বীকার করে ৭ জনের জবানবন্দি, ১০ জন কারাগারে দেশের সম্পদ বেচে মুজিবের মেয়ে ক্ষমতায় আসে না: প্রধানমন্ত্রী ব্যারিস্টার সুমনকে হত্যার হুমকি, প্রতিবাদে বাহুবলে মানববন্ধন

‘শ্রমিক দিবস’ কী তা জানে না হবিগঞ্জের ইটভাটা শ্রমিকরা

নিজস্ব সংবাদদাতা : প্রতি বছর ১ মে বিশ্বব্যাপী পালন করা হয় আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস বা মে দিবস। বাংলাদেশে দিবসটি পালন করা হচ্ছে ১৯৭২ সাল থেকে। শ্রমিকের অধিকার আদায়ের পাশাপাশি এ দিবস পালনের মূলে রয়েছে শ্রমিক শোষণ বন্ধ করা। কিন্তু দিবসটি সম্পর্কে এখনো অন্ধকারেই রয়ে গেছেন হবিগঞ্জের ইটভাটা শ্রমিকরা। অধিকার আদায় তো দূরের কথা, এমনকি তারা এদিন সরকার ঘোষিত ছুটিও পাচ্ছেন না।

হবিগঞ্জে শতাধিক ইটভাটায় কাজ করছেন প্রায় ২০ হাজার শ্রমিক, যার মধ্যে শিশু শ্রমিকের সংখ্যাও নেহাত কম নয়। শ্রম আইন অনুযায়ী দৈনিক ৮ ঘণ্টার স্থানে তাদের কাজ করতে হচ্ছে ১৬ ঘণ্টা। খুব ভোরে শুরু হওয়া কাজ শেষ হয় সন্ধ্যার পর। দেশের অন্য জেলার অধিকাংশ ইটভাটা শ্রমিকের মতো তাদেরও দেয়া হয় না কোনো নিয়োগপত্র। দেয়া হয় না ওভারটাইম মজুরি। সাপ্তাহিক কিংবা কোনো ধরনের ছুটি ছাড়াই কাজ করতে হয় টানা পাঁচ-ছয় মাস। ভাটা এলাকায় নেই থাকার জন্য উপযুক্ত আবাসস্থল। অথচ এসব শ্রমিকের অধিকাংশই বিভিন্ন জেলা থেকে এখানে এসে কাজ করেন।

শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মে দিবস বা শ্রমিক দিবস কী, তারা তা জানেন না। জানেন না এদিনের তাত্পর্য কিংবা ছুটির বিষয়েও। প্রতিদিনের মতো এ দিনটিতেও তাদের যথানিয়মে কাজ করে যেতে হয়।

মেঘনা ব্রিকস নামে এক ইটভাটার ম্যানেজার রাসেল মিয়া বলেন, মে দিবসের ছুটির বিষয়ে তিনি জানেন না। দিবসটি সম্পর্কেই তার কোনো ধারণা নেই। এ ভাটায় কর্মরত এক শ্রমিক শরীয়তপুর থেকে আসা আবুল হাশিম বলেন, একাবার কাজে ঢুকলে ছয় মাসের মধ্যে কোনো ছুটি নেই। হবিগঞ্জ ইটভাটা শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান মাসুম বলেন, আমরা শ্রমকিদের ছুটির বিষয়ে মালিকদের সঙ্গে কথা বলেছিলাম। উল্টো সংগঠন করার দায়ে তারা অনেক শ্রমিককে বিনা নোটিস ও বেতনে চাকরিচ্যুত করেছে। তবে আমরা শ্রমিকদের অধিকার আদায়ে কাজ করে যাব।

উল্লেখ্য, ১৮৮৬ সালের ৪ মে যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগোর হে মার্কেটে জড়ো হয়েছিলেন কয়েক হাজার শ্রমিক। তাদের দাবি ছিল, প্রতিদিনের শ্রমঘণ্টা ৮ ঘণ্টা করা হোক। তাদের এ সমাবেশের ওপর পুলিশ গুলি চালালে নিহত হন বেশ কয়েকজন। অধিকার আদায়ে শ্রমিকদের এ আত্মত্যাগের স্মরণে ১৮৮৯ সালে প্যারিসে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক শ্রমিক সম্মেলনে ১ মে ‘মে দিবস’ হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত হয়।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন

ওয়েবসাইটের কোন কনটেন্ট অনুমতি ব্যতিত কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Design & Developed BY ThemesBazar.Com