সোমবার, ২২ জুলাই ২০২৪, ০৭:৪০ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
বৃহস্পতিবার সারা দেশে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ ঘোষণা চট্টগ্রামে ছাত্রলীগের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষে নিহত ৩ কলম্বিয়াকে হারিয়ে দ্বিতীয়বার কোপা আমেরিকার চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা বাহুবলে স্মার্ট এনআইডি কার্ড বিতরণের জন্য জনবল নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি বাহুবলে দুই মাস ধরে নিখোঁজ রবিউলের সন্ধান চায় পরিবার যে কারণে ব্যারিস্টার সুমনকে হত্যার হুমকি দেয় সোহাগ ব্যারিস্টার সুমনকে হত্যার হুমকিদাতা গ্রেপ্তার পিএসসির প্রশ্নফাঁস: দায় স্বীকার করে ৭ জনের জবানবন্দি, ১০ জন কারাগারে দেশের সম্পদ বেচে মুজিবের মেয়ে ক্ষমতায় আসে না: প্রধানমন্ত্রী ব্যারিস্টার সুমনকে হত্যার হুমকি, প্রতিবাদে বাহুবলে মানববন্ধন

বাহুবলে পল্লী বিদ্যুতের ভেলকিবাজিতে অতিষ্ঠ জনজীবন

নিজস্ব প্রতিবেদক : পবিত্র রমজান মাসেও বাহুবল উপজেলায় পল্লী বিদ্যুতের ভেলবিবাজি থামছে না। রমজানের প্রথম দিকে সহনীয় পর্যায়ে থাকলেও অতিস¤প্রতি পল্লী বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে গ্রাহকরা। প্রায় সারাদিনই থাকছে লোডশেডিং। আর সন্ধ্যা নামার সাথে সাথেই শুরু হয় থেমে থেমে লোডশেডিং, চলে রাতভর। প্রচন্ড ভ্যাপসা গরমের মধ্যে বিদ্যুৎ না থাকায় রোজাদার মুসলি­দের নাভিশ্বাস উঠেছে। সব মিলিয়ে পল্লী বিদ্যুতের এই ভেলকিবাজিতে হবিগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি অধিনস্থ বাহুবল সাব-স্ট্রেশন আওতাধীন প্রায় বত্রিশ হাজার গ্রাহক।

লোডশেডিং, টেকনিক্যাল সমস্যা, ওভার লোড ও লো-ভোল্টেজ ছাড়াও রয়েছে ঘন ঘন ট্রিপ ও সোর্স লাইন রক্ষণাবেক্ষণের কাজ। সর্বপরী বর্ষা মওসুমে আকাশে মেঘজমতে দেখলেই শুরু হয় লোডশেডিং। আর একটু-আধটু বৃষ্টি হলে তো আর কয়েক ঘন্টার জন্য বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ থাকবেই। সেটা যেন নিয়মেই পরিণত হয়েছে।

অন্যদিকে বিদ্যুৎ থাক বা না থাক মাস শেষে মোটা অংকের বিদ্যুৎ বিল ধরিয়ে দিতে ভুল করেনা বিদ্যুৎ বিভাগ। অভিযোগ রয়েছে বিদ্যুৎ সরবরাহ ঠিক না থাকলে বিদ্যুৎ বিল বেড়েই চলেছে। আবার এক মাস অথবা সর্বোচ্চ দু’মাস বিদ্যুৎ বিল বকেয়া পড়লেই সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে খুবই ওস্তাদ বিদ্যুৎ বিভাগের লাইনম্যানেরা।

বাহুবলে প্রায় বত্রিশ হাজার গ্রাহক পল্লী বিদ্যুতের ভেলকিবাজি নিয়ে পড়েছেন মহাবিপাকে। প্রতিদিন রুটিন করে লোডশেডিং যেন নিয়মে পরিণত হয়েছে। যেমন প্রতিদিন সেহরি, ইফতার বা তারাবি নামাজ চলাকালীন সময়ে লোডশেডিং যেন রুটিন ওয়ার্ক। দিনের বেলায় কমপক্ষেও ৭/৮ বার বিদ্যুৎ যাওয়া-আসা করে। গত কয়েক দিন ধরে তো দিনের বেশির ভাগ সময়ই বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ দেখা যাচ্ছে। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠছে গ্রাহকরা। এর মাঝে আবার উপজেলা সদরে একটু-আধটু বিদ্যুৎ চালু থাকলেও গ্রাম-গঞ্জে দিনের পর দিন বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখছে কর্তৃপক্ষ। রমজান মাসের প্রচন্ড দাপদাহে বিদ্যুৎ না থাকায় মানুষজন হাঁপিয়ে উঠছেন। এমন অবস্থায় ব্যবসা-বানিজ্যেও মান্দা ভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে। উপজেলার ডুবাঐ, পুটিজুরী, দিগাম্বর, স্নানঘাট, মিরপুর লামাতাসি বা রশিদপুর অঞ্চলের একাধিক লোকজনের সাথে কথা বললে তারা জানান, ঐ অঞ্চলগুলোতে একটু-আধটু ঝড়-তোপান হলেই বিদ্যুৎ চলে যায়। বৃষ্টিপাতের ২/৪ দিন অতিবাহিত হলেও আর বিদ্যুৎ ফিরে না। কোন কোন অঞ্চলে সপ্তাহ ফিরলেও বিদ্যুতের দেখা মিলে না। ঐসব অঞ্চলের লোকজনকে প্রায়ই মোবাইল কিংবা টর্চ লাইট চার্জ করতে চার্জার নিয়ে শহরের দৌড়াতে দেখা যায়।

এ ব্যাপারে বাহুবল সাব-স্ট্রেশনের ইঞ্জিনিয়ার সোরাব পাটুয়ারী বলেন, শাহজীবাজার বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে পর্যাপ্ত সরবরাহ না থাকায় বিদ্যুৎ বন্ধ রাখতে হচ্ছে। অনেক চেষ্টা তদবির করেও পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ পাচ্ছি না। পাশাপাশি পাঁচ হাজার মিটার থেকে বেড়ে সেটা বত্রিশ হাজারে পৌছার পরও সেই পূর্বের জনবলই রয়েছে। এতো অল্প সংখ্যক জনবল দিয়ে কোন ভাবেই পুরো উপজেলায় দ্রুত সময়ে বিদ্যুৎ পৌছে দেয়া সম্ভব নয়। এ কারণে বৃষ্টি বা বজ্রপাতের পর দূর্গম এলাকায় বিদ্যুৎ চালু করতে সময় লেগে যায়। যদি কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নজরে নিয়ে জনবল বৃদ্ধি করেন তবে দ্রুততার সহিত বিদ্যুৎ পৌছে দিতে পারব।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন

ওয়েবসাইটের কোন কনটেন্ট অনুমতি ব্যতিত কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Design & Developed BY ThemesBazar.Com