শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ০৩:১৮ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
জনগণ যাকে ভালবাসবে, দায়িত্ব দিতে চাইবে, তাকেই দেবে- জেলা প্রশাসক বাহুবলে বিয়ের আনন্দ-ফুর্তি চলাকালে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে যুবতীর মুত্যু বাহুবল উপজেলা নির্বাচন : ২০ প্রার্থীর মাঝে নির্বাচনী প্রতীক বরাদ্দ বাহুবল উপজেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত বাহুবলে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২ বাহুবল হাসপাতালের নতুন ব্যবস্থাপনা কমিটি প্রথম সভা বাহুবলে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের বাছাইয়ে দুই প্রার্থীর মনোনয়নপত্র অবৈধ বাহুবল উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ২০ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র দাখিল শিশুদের বিবাদের জেরে আজমিরীগঞ্জে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ৩৫ দেশবাসীকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর

আগাম বন্যার ঘোষণা, শ্রমিক সংকটে দিশেহারা কৃষক

ফাইল ছবি।

নিজস্ব প্রতিবেদক : গেলো টানা তিন বছর অকাল বন্যার কারণে ফসলের মাঠ ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় হতাশা এখনো কাটিয়ে উঠতে পারেননি কৃষকরা। এরই মধ্যে পানি উন্নয়ন বোর্ড দিয়েছে আরো এক অশনি সংকেত। এবারো অকাল বন্যার আশঙ্কায় জানিয়ে ফসল কেটে ঘরে তোলার অনুরোধ জানিয়েছে সরকারি এই দপ্তর।

একদিকে করোনা ভাইরাসের থাবা আর অন্যদিকে পুরোদমে ধান কাটা শুরু হওয়ার পূর্বেই অকাল বন্যার আশঙ্কায় কৃষকদের মধ্যে দেখা দিয়েছে অজানা আতঙ্ক। এবারও যদি মাঠের ফসল তলিয়ে যায় তাহলে পরিবার-পরিজন নিয়ে না খেয়ে থাকতে হবে বলে জানিয়েছেন তারা।

এদিকে শ্রমিক সংকট নিরসনে হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসন বিশেষ প্রণোদনা ঘোষণা করেছে। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান বলেন, ‘বিভিন্ন স্কুলে বাইরে থেকে আসা শ্রমিকদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রত্যেককে ১০ কেজি চাল, তিন-চার কেজি আলু, এক লিটার তেল, একটি সাবান ও আধা কেজি ডাল দেওয়া হবে।’

তবে হবিগঞ্জের বানিয়াচং ও নবীগঞ্জ উপজেলার কৃষকরা ধান ঘরে তোলা নিয়ে অনিশ্চয়তার মধ্যে আছেন। তাঁরা বলছেন, প্রতিবছরই পাবনা, সিরাজগঞ্জসহ উত্তরাঞ্চলের কয়েকটি জেলার শ্রমিক বানিয়াচং ও নবীগঞ্জের হাওরগুলোতে আসেন। কিন্তু এবার আসতে সমস্যা হচ্ছে। কিছু শ্রমিক নৌকায় করে আসার সময় পুলিশের চেকপোস্টে আটকে পড়েছেন। সড়কপথেও আসতে পারছেন না।

হবিগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মোহন লাল সৈকত জানান, বাংলাদেশ ও ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী আগামী ১৭ থেকে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত মেঘালয় এবং ভারত অববাহিকায় ১৫০-২৫০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশের অভ্যন্তরেও উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বৃষ্টিপাত হতে পারে। এতে করে হবিগঞ্জ, সুনামগঞ্জ, সিলেট, নেত্রকোনা ও কিশোরগঞ্জ জেলার হাওর অঞ্চলের প্রধান নদীসমূহের পানি সমতল অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়ে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। কোনো কোনো এলাকায় নদীর পানি বিপদসীমাও অতিক্রম করতে পারে।

তিনি আরো বলেন, হবিগঞ্জ জেলার হাওর অঞ্চলের বোরো ধান অতি দ্রুত কাটার সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে বিশেষভাবে অনুরোধ করা হয়েছে। একইসঙ্গে ডুবন্ত বাঁধের কাজ বাস্তবায়নের সঙ্গে মাঠপর্যায়ে সবাইকে নিজ অধিক্ষেত্রে অবস্থান পূর্বক বাঁধের নিবিড় মনিটরিং জোরদার নিশ্চিত করার জন্য বলা হয়েছে।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন

ওয়েবসাইটের কোন কনটেন্ট অনুমতি ব্যতিত কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Design & Developed BY ThemesBazar.Com