শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ০৬:৪০ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
জনগণ যাকে ভালবাসবে, দায়িত্ব দিতে চাইবে, তাকেই দেবে- জেলা প্রশাসক বাহুবলে বিয়ের আনন্দ-ফুর্তি চলাকালে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে যুবতীর মুত্যু বাহুবল উপজেলা নির্বাচন : ২০ প্রার্থীর মাঝে নির্বাচনী প্রতীক বরাদ্দ বাহুবল উপজেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত বাহুবলে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২ বাহুবল হাসপাতালের নতুন ব্যবস্থাপনা কমিটি প্রথম সভা বাহুবলে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের বাছাইয়ে দুই প্রার্থীর মনোনয়নপত্র অবৈধ বাহুবল উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ২০ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র দাখিল শিশুদের বিবাদের জেরে আজমিরীগঞ্জে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ৩৫ দেশবাসীকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর

শ্রীমঙ্গলের পর্যটন স্পটগুলোতে ভ্রমন পিপাসুদের উপচে পড়া ভীড়

নিজস্ব প্রতিবেদক : পর্যটন নগরী খ্যাত চায়ের রাজধানী মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের পর্যটন স্পট গুলোতে বেড়েই চলেছে পর্যটকদের ভীড় । ঈদের দিন বুধবার থেকে স্পট গুলোতে বৃষ্ঠির কারনে লোক সমাগম কিছুটা কম দেখা গেলেও ঈদের পরদিন বৃহস্পতিবার থেকে আজ শুক্রবার দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে আসা ভ্রমন পিপাসুদের ভীড় ছিল লক্ষনীয়।

দুপুর থেকেই শ্রীমঙ্গল পর্যটকের ভিড়ে লোকারন্য হয়ে পড়ে। শহর ও শহরতলীর আবাসিক হোটেল- কটেজ- রিসোর্ট গুলো হয়ে উঠেছে জমজমাট।

মৌলভীবাজার জেলায় অনেকগুলো আকর্ষনীয় স্পট থাকায় এমনিতে বারো মাসই দেশী বিদেশী পর্যটকদের ভিড় লেগেই থাকে।এছাড়া বছরের বিশেষ দিনগুলোতে বেড়ে যায় অতিরিক্ত পর্যটকের চাপ।

লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান, শ্রীমঙ্গলের বিভিন্ন চা বাগান, বিজিবি ক্যাম্প সংলগ্ন বধ্যভুমি ’৭১, সাতকালার চা, রামনগর মনিপুরি কাপড়ের দোকান, মিনি চিড়িয়াখানা (বন্যপ্রানী সেবাশ্রম), বাংলদেশ টি রিসোর্ট, চা জাদুঘর, গ্রান্ড সুলতান টি রিসোর্ট এন্ড গলফ, ভাড়াউড়া লেক, চা-কন্যা ভাস্কর্য, এসব নয়নাভিরাম ভ্রমনীয় স্থানে উপচে পড়া পর্যটকের ভিড় ছিল লক্ষ করার মতো।

বধ্যভুমি ’৭১এ কথা হয়, রাজধানী থেকে বেড়াতে আশা ভ্রমন পিপাসু এক ব্যবসায়ী দম্পতির সাথে তারা জানান, প্রত্যেক ঈদে তারা দেশের কোন না কোন ভ্রমনীয় স্থানের সন্ধানে বেরিয়ে পড়েন। তারা জানান, শ্রীমঙ্গলে এবার নিয়ে তারা তিনবার ভ্রমন করেছেন। শ্রীমঙ্গল বেড়াতে কেমন লাগে জানতে চাইলে ব্যবসায়ী রিয়াজুল বলেন, শ্রীমঙ্গল শহর আর ভ্রমনীয় স্পট গুলো তাদের কছে খুবই ভালো লগে তাই তারা বারবার সোজোগ পেলেই ছুটে আসেন শ্রীমঙ্গলে, বিশেষ করে সবুজে আচ্ছাদিত চায়ের বাগানগুলো তাদের বেশী আকর্ষীত করে।

চট্রগ্রাম থেকে ঘুরতে আশা বিশ্ববিদ্যালয় পডুয়া আমিনুল ইসলাম জানান, বছরে একবার হলেও তিনি সিলেটে আসেন, শাহজালাল ও শাহপরান মাজার জিয়ারত করে একদিনের জন্য হলেও শ্রীমঙ্গলের সৌন্দর্য অবলোকন করে যান। তিনি বলেন, শ্রীমঙ্গলে বেড়ানো অন্যান্য স্থানের চেয়ে খরচ তোলনামুলক কম, কারণ অধিকাংশ ভ্রমনীয় স্পটগুলো শহরের কাছাকাছি অবস্থিত হওয়ায় অল্প খরচে ঘুরে দেখা যায়। তিনি জানান, আজ বিকেল ২টা থেকে বেশ কয়েকটি স্পট ঘুরে দেখে সন্ধ্যায় টমটমের ড়াড়া মিটিয়েছেন পাঁচশত টাকা।

শ্রীমঙ্গল আসলে শহরের বিভিন্ন মানের আবাসিক হেটেল আছে সিংগেল রুম ভাড়া ২০০ থেকে ৪০০টাকা, ডাবল রুমের ভাড়া ৪০০ থেকে ৮০০-১০০০টাকার ভেতর পাওয়া যায়। এর চেয়েও ভালা মানের হোটেল আছে। আছে সাধ্যের মধ্যে গেস্টহাউজ। খাবার দাবারের মুল্যও নাগালের ভেতর। তাই প্রকৃতির কাছাকাছি পৌছাতে প্রকৃতি প্রেমিরা বারবার ছুটে আসেন শ্রী আর মঙ্গলে ভরা শ্রীমঙ্গলে।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন

ওয়েবসাইটের কোন কনটেন্ট অনুমতি ব্যতিত কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Design & Developed BY ThemesBazar.Com