শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০১:২৯ অপরাহ্ন
তরফ নিউজ ডেস্ক : রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ওলেমা মাশায়েখদের যুব সমাজের নিকট সত্যিকার ইসলামের ব্যাখ্যা প্রদান এবং উন্নত জীবন ও সমাজ গঠনে সহযোগিতা করার আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি যেসব স্বার্থান্বেষী মহল ধর্মের অপব্যাখ্যা দিয়ে সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি বিশেষ করে যুবসমাজকে ভুল পথে পরিচালিত করার অপচেষ্টা চালায়, আলেম সমাজকে সেসব অপতৎপরতার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান।
রাষ্ট্রপতি আজ বঙ্গভবনে ‘হজ ওলেমা-মাশায়েখ-২০১৯’-এর সম্মানে আয়োজিত নৈশভোজে বলেন, ‘কিছু স্বার্থান্বেষী মহল ধর্মের অপব্যাখ্যা দিয়ে সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি বিশেষ করে যুবসমাজকে ভুল পথে পরিচালিত করার অপচেষ্টা চালায়। আপনাদের এসব অপতৎপরতার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।’
রাষ্ট্রপ্রধান বলেন, ইসলাম শান্তির ধর্ম। ধর্ম মানুষকে আলোর পথ দেখায়, সমাজ থেকে অন্ধকার-কুসংস্কার দূর করে। কিন্তু কিছু স্বার্থান্বেষী মহল ধর্মের অপব্যাখ্যা দিয়ে যুবসমাজকে ভুল পথে পরিচালিত করে।
রাষ্ট্রপতি ওলেমা-মাশায়েখদের প্রতি ইসলামের আদর্শ- যা কখনো জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ সমর্থন করে না- তা সঠিকভাবে তুলে ধরার আহ্বান জানান।
রাষ্ট্রপতি ওলেমা-মাশায়েখদের মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সা.) এর জীবন ও আদর্শ সঠিকভাবে বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরার পরামর্শ দেন।
এ বছর সরকারি খরচে সৌদি আরবে অন্যান্য হজযাত্রীকে সহায়তা করতে দেশের প্রখ্যাত ওলেমা-মাশায়েখের ৫৭ সদস্যের একটি দল হজে যাচ্ছেন।
ওলেমা-মাখায়েখদের মধ্যে রয়েছেন : ঢাকার মওলানা আশারাফ আলী, পটিয়া মাদ্রাসার মওলানা আবদুল হালিম বোখারী, গোপালগঞ্জের মওলানা রুহুল আমীন, কিশোরগঞ্জের আল্লামা ফরিদ উদ্দিন মাসউদ, চট্টগ্রামে নানুপুরী পীর সাবেক মওলানা সালাহ উদ্দিন, বরিশালের চরমোনাই আলীয়া কামিল মাদ্রাসার মওলানা মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী ও মওলানা হাবিবুর রহমান যুক্তিবাদী।
হাজীদের বাংলাদেশের শুভেচ্ছা দূত অভিহিত করে রাষ্ট্রপতি সকল ক্ষেত্রে দেশের ভাবমূর্তি সমুন্নত রাখার আহ্বান জানান।
রাষ্ট্রপতি হামিদ বাংলাদেশ থেকে হজ ফ্লাইট ব্যবস্থাপনায় সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও হজ এজেন্সিজ অব বাংলাদেশ (হাব)কে তাদের নিরলস প্রচেষ্টার জন্য ধন্যবাদ জানান।
রাষ্ট্রপতি হজ ব্যবস্থাপনার সাথে সম্পৃক্ত যে কোনো অবহেলা, অনিয়ম ও দুর্নীতি কঠোরভাবে মোকাবেলা করার ওপর জোর দিয়ে এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট সকলকে সজাগ থাকার আহ্বান জানান।
তিনি হজ শেষে প্রত্যেকের নিরাপদ দেশে ফেরা কামনা করে বলেন, ‘বাংলাদেশী হাজী বা কোনো নাগরিকের আচার-আচরণ, কথা-বার্তায় কেউ যাতে কষ্ট না পায়, আমাদের সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণার সৃষ্টি না হয় সেদিকে বিশেষ খেয়াল রাখবেন।’
রাষ্ট্রপতি আনুষ্ঠানিক আলোচনার আগে বঙ্গভবনের দরবার হলে আলেমদের সঙ্গে এশার নামাজ আদায় করেন। নামাজ শেষে হাজীদের নিরাপদ যাত্রা এবং মহান আল্লাহ যেন পবিত্র হজ কবুল করেন তা কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
পরে রাষ্ট্রপতি হাজীদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন।
ধর্ম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী আলহাজ এডভোকেট শেখ মো. আবদুল্লাহ, বেসামরিক বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন ও সংশ্লিষ্ট সচিবগণ এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন।