শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৫৬ অপরাহ্ন
তরফ নিউজ ডেস্ক: টানা এক ঘণ্টার অভিযানে কলাবাগান ক্রীড়াচক্র ক্লাব ভবন থেকে অস্ত্র, ইয়াবা, জুয়া খেলার সরঞ্জাম (কয়েন এবং ৫৭২ টি প্লেয়িং কার্ড সেট) উদ্ধার করেছে র্যাব। এসব সরঞ্জাম ক্লাবটির সভাপতি শফিকুল আলমের অফিস কক্ষ থেকে পাওয়া যায়। উদ্ধার হওয়া বিদেশি পিস্তলটি অবৈধ ও এর কোনো লাইসেন্স নেই।
র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট গাউসুল আজমের নেতৃত্বে এই অভিযান চালানো হয়।
শুক্রবার রাত পৌনে নয়টার দিকে অভিযান শেষে ক্লাব প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের এ কথা জানান র্যাব-২ এর অধিনায়ক লে কর্নেল আশিক বিল্লাল। এর আগে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে সভাপতি শফিকুল আলমকে সঙ্গে নিয়ে এ অভিযান শুরু হয়।
কর্নেল আশিক বিল্লাল বলেন, রাজধানীতে অবৈধ ক্যাসিনো, জুয়ার আড্ডা ও বারের বিরুদ্ধে যে অভিযান চালানো হচ্ছে, এরই চলমান প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে কলাবাগান ক্লাবে অভিযানটি চালানো হয়। অভিযানে বেশ কিছু জুয়া খেলার কয়েন, প্লেয়িং কার্ডের ৫৭২টি সেট, আটশো ভিন্ন ধরনের ইয়াবা, একটি বিদেশি পিস্তল, তিনটি গুলি, একটি ম্যাগাজিন উদ্ধার করা হয়। ক্যাসিনোর সরঞ্জাম এখানে ছিল না। তবে ক্যাসিনোতে ব্যবহার করা হয় এমন কয়েন পাওয়া গেছে।
কর্নেল আশিক বলেন, উদ্ধার হওয়া ইয়াবাগুলো হলুদ রঙের। এগুলো প্রচলিত ইয়াবা থেকে আলাদা ধরনের। এর কোনো গন্ধ নেই। অস্ত্র ও ইয়াবাগুলো ক্লাবটির সভাপতি শফিকুল আলমের অফিস কক্ষ থেকে পাওয়া গেছে। ক্লাব থেকে হারুন, আনোয়ার, হাফিজুল ও লিটন নামে আরও চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এঁরা ক্লাবের স্টাফ। এঁদের বিরুদ্ধে ধানমন্ডি থানায় অস্ত্র ও মাদক আইনসহ একাধিক মামলা করা হবে।
গ্রেপ্তারকৃতদের রাজনৈতিক পরিচয় জানতে চাইলে র্যাব-২ এর অধিনায়ক বলেন, এদের রাজনৈতিক পরিচয় ওপেন সিক্রেট। এটি মনে হয় সবাই জানেন।
অভিযানে শুরু আগে আজ দুপুরে ক্লাবের সভাপতি শফিকুল আলমকে ক্লাব থেকে র্যাব-২ এর কার্যালয়ে নেওয়া হয়। কয়েক ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করে তাঁকে নিয়ে ক্লাবে অভিযান শুরু হয়।
কলাবাগান ক্লাব সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার দুপুর বেলায় ক্লাবটি ঘিরে রাখেন র্যাব সদস্যরা। দুপুরে জুমার নামাজের পর ক্লাব থেকে সভাপতি শফিকুল আলমকে নিয়ে যাওয়া হয়।