শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:১২ অপরাহ্ন
তরফ নিউজ ডেস্ক : চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজিসহ নানা রকম অপকর্মের অভিযোগে যুবলীগে চলছে শুদ্ধি অভিযান। যে অভিযানের শুরুটা হয়েছিল ঢাকা মহানগর দক্ষিণকে ঘিরেই। প্রথম দিনের অভিযানে গ্রেফতার হন সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া। কিন্তু এখনও ধরা-ছোঁয়া বাইরে রয়ে গেছেন গডফাদার খ্যাত ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট। তার বিরুদ্ধে রয়েছে সবচেয়ে বেশি অভিযোগ। সম্রাটের বাসভবন বা কাকরাইলের সুরক্ষিত অফিসটিতে এখন পর্যন্ত কোনও অভিযান চালানো হয় নি। এ নিয়ে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠেছে- তবে কি ধরা-ছোঁয়ার বাইরে থাকবেন সম্রাট?
জানা গেছে, সাবেক যুবলীগ নেতা বর্তমানে তিনি একজন সংসদ সদস্য- এমন এক ডাকসাইটে নেতার আশ্রয়ে-প্রশয়ে বহাল তবিয়তে আছেন ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট।
প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার নির্দেশে ছাত্রলীগের পর শুদ্ধি অভিযান শুরু হয় যুবলীগে। অভিযানের প্রথম দিনে বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানীর গুলশানের বাসা থেকে খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে আটক করা হয়। পরে তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তাকে ৭ দিনের রিমান্ড দিয়েছে আদালত
অভিযান শুরুর প্রথম দিনে গুঞ্জন ছিল যে কোনও সময় সম্রাট গ্রেফতার হতে পারেন। এমন সংবাদের মধ্যেই সম্রাট নেতা-কর্মীদের নিয়ে কাকরাইলের অফিসেই অবস্থান করেন রাতভর। এরপর থেকে আর তার অবস্থান শনাক্ত করা যায় নি। তবে গুঞ্জন রয়েছে, সম্রাটের অপরাধ সাম্রাজ্য থেকে মহানগর যুবলীগে প্রবেশের সহায়তাকারী এক সংসদ সদস্যের আশ্রয়ে আছেন তিনি। অভিযান শুরুর পরের দিনই কাকরাইল থেকে সটকে পড়ে আশ্রয় নেন ওই সংসদ সদস্যের ছায়াতলে।
কাকরাইলের আলোচিত সম্রাটের ৬ তলা ভনটিতে যাতায়াত ছিল-এমন একাধিক যুবলীগ নেতা দৈনিক জাগরণকে জানান, ভবনটির ৬ তলার ছাদের ওপরে স্টিলে স্ট্রাকচার দিয়ে তৈরি করা বিশেষ ফ্লোরটিতে বসতো ক্যাসিনো ও জুয়ার আসর। এ আসরে অংশ নিতেন দেশের ক্ষমতাধর ব্যবসায়ী ও ঠিকাদাররা। ৪ ও ৫ তলায় রয়েছে সম্রাটের বিলাসবহুল অফিস। ৩ তলায় মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের নেতা-কর্মীদের বসার স্থান। দ্বিতীয় তলায় গুদাম আর নিচতলায় যুবলীগের লাইব্রেরি। এক বছর আগে এই লাইব্রেরির উদ্বোধন করেছিলেন যুবলীগ কেন্দ্রীয় সভাপতি ওমর ফারুক চৌধুরী।
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে যুবলীগের ভেতরে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর শুদ্ধি অভিযান শুরুর পরও এর বাতাস লাগে নি অপরাধ সাম্রাজ্যের গডফাদার খ্যাত ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটের পালে। শুদ্ধি অভিযানের শুরু থেকে যারা এ অভিযানকে সমর্থন জানিয়ে আসছিলেন, তারাই এখন সম্রাটের গ্রেফতারের বিষয়ে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কোনও তৎপরতা না থাকায় সমালোচনা শুরু করে দিয়েছেন। তারা মনে করছেন, পেছনের গডফাদারদের ক্ষমতার দাপটে সম্রাট সেফসাইডে চলে গেছেন।
সূত্র: দৈনিক জাগরণ।