শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৪৫ অপরাহ্ন
তরফ নিউজ ডেস্ক: সন্ত্রাস, সাম্প্রদায়িকতা ও অনৈতিকতার বিরুদ্ধে শপথ নিলেন বুয়েটের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। বুধবার (১৬ অক্টোবর) দুপুর সাড়ে ১২টায় বুয়েট কেন্দ্রীয় অডিটরিয়ামে গণশপথগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. সাইফুল ইসলামসহ অন্য শিক্ষকরা অংশ নেন।
শুরুতে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। শপথবাক্য পাঠ করান বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থী রাফিয়া রিজওয়ানা।
শপথবাক্যে বলা হয়েছে-
‘আমি প্রতিজ্ঞা করছি যে, আজ এই মুহূর্ত থেকে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের একজন সদস্য হিসেবে, আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের সকলের কল্যাণ ও নিরাপত্তার নিমিত্তে, আমার উপর অর্পিত, ব্যক্তিগত ও সামষ্টিক, নৈতিক ও মানবিক সকল প্রকার দায়িত্ব সর্বোচ্চ সততা ও নিষ্ঠার সাথে পালন করব।’
‘এই বিশ্ববিদ্যালয়ের আঙিনায় আমার জ্ঞাতসারে হওয়া প্রত্যেক অন্যায়, অবিচার ও বৈষ্যমের বিরুদ্ধে আমি সর্বদা সোচ্চার থাকব। আমি আরও প্রতিজ্ঞা করছি যে, এই বিশ্ববিদ্যায়ের সকল প্রকার সন্ত্রাস ও সাম্প্রদায়িক অপশক্তির উত্থানকে আমরা সম্মিলিতভাবে রুখে দিব।’
‘নৈতিকতার সাথে অসামঞ্জস্যপূর্ণ সব ধরনের বৈষম্যমূলক অপসংস্কৃতি এবং ক্ষমতার অপব্যবহার- আমরা সমূলে উৎপাটিত করব। এই আঙিনায় যেন আর কোনো নিষ্পাপ প্রাণ ঝরে না যায়, আর কোনো নিরপরাধ যেন অত্যাচারের শিকার না হয় তা আমরা সবাই মিলে নিশ্চিত করব।’
গতকাল মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) বুয়েটের শিক্ষার্থীরা তাদের মাঠপর্যায়ের আন্দোলন বন্ধের ঘোষণা দিয়ে আজকে এ গণশপথ কর্মসূচি ঘোষণা করে। সন্ধ্যায় ক্যাম্পাসে এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এ ঘোষণা দেন।
ঘোষণায় বলা হয়, শিক্ষার্থীদের অধিকাংশ দাবি মেনে নেয়ায় এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কার্যক্রমে সন্তুষ্ট হয়ে মাঠের কর্মসূচির ইতি টানার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। শিক্ষার্থীরা অবশ্য জানিয়ে দেয়, আবরার হত্যা মামলায় চার্জশিটে যাদের নাম থাকবে তাদের স্থায়ী বহিষ্কার না করা পর্যন্ত বুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীরা কোনো ধরনের একাডেমিক কার্যক্রমে অংশ নেবে না।
তারা আরো বলেন, ১০ দাবির মধ্যে তিনটি ছিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর। আমরা দেখেছি, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা দ্রুত আসামিদের গ্রেফতার ও তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছেন। আমরা এজন্য ধন্যবাদ দিচ্ছি। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীকেও ধন্যবাদ, তিনি এই বিষয়ে সজাগ না থাকলে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হত না।
শিক্ষার্থীরা বলেন, বুয়েট প্রশাসনের কাছে আমাদের পাঁচটি দাবি ছিল। সেসব দাবির অধিকাংশ বাস্তবায়ন হয়েছে। এ কারণে আমরা বুয়েট প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানিয়ে মাঠ পর্যায়ের আন্দোলন প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। একইসঙ্গে সব শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা মিলে বুয়েট ক্যাম্পাসে উপস্থিত হয়ে গণশপথ নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।