শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৫২ অপরাহ্ন
রায়হান উদ্দিন সুমন, বানিয়াচং (হবিগঞ্জ) : গত ১৭ অক্টোবর বানিয়াচং উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্থানীয় বড়বাজারের মুক্তিযোদ্ধা চত্বর থেকে অবৈধ দোকানপাট উচ্ছেদ করার পর কিছুদিন যেতে না যেতেই আবারো বেদখল হয়ে যাচ্ছে এই চত্বরটি। তবে এবার কোনো দোকানপাট নয় সেখানে জিপ, টমটম, ঠেলাগাড়ি এমনকি ট্রাক পর্যন্ত রাখা হচ্ছে সবসময়।
লাল কাপড় দিয়ে সীমানা নির্ধারণ করে দেয়ার পরও এসবের তোয়াক্কা না করে একধরণের অতি লোভী ব্যক্তিরা যানবাহন রাখার জন্য জায়গা করে দিয়ে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন বলে জানা গেছে। যানবাহন না রাখার জন্য ভূমি অফিসের তহশিলদার বারবার মৌখিকভাবে যানবাহন মালিকদের নিষেধ করার পরও আইনের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গলী দেখিয়ে যত্রতত্রভাবে গাড়ি রেখে তাদের কাজ করে যাচ্ছেন।
সরেজমিনে মঙ্গলবার (৫অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টায় গিয়ে দেখা যায়, চত্বরের তিনপাশেই বিভিন্ন ধরণের গাড়ি রাখা হয়েছে। ফলে পুরনো আগের চেহারায় ই ফির গেছে মুক্তিযোদ্ধা চত্বর। এদিকে এই চত্বরটি আবারো দখলে চলে যাওয়ায় ক্ষোভ জানিয়েছেন স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা। এই বিষযে যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা শেখ নমীর আলী জানান, আমি ব্যক্তিগতভাবে তহশিলদারের সাথে পুনরায় দখল হওয়া চত্বর নিয়ে কথা বলেছি। সে আমাকে আশ্বস্থ করেছেন অচিরেই গাড়ি মালিকদের জানিয়ে দেয়া হবে তাদের গাড়িগুলো সরানোর জন্য। কিন্তু অদ্যবধি পর্যন্ত প্রশাসনের কেনো ব্যক্তি এসে তাদেরকে কোনো কিছু বলেননি। এখন যদি এই চত্বরে যানবাহন রেখে গাড়ির স্ট্যান্ড বানানো হয় তাহলে আগে যারা এখানে ছোটখাটো ব্যবসাপাতি করতো তাদের কি দোষ ছিল। তাহলে তারা ই তো আবার এসে ব্যবসা করতে পারে। এটা মেনে নেয়া যায়না।
তাই প্রশাসনের কাছে অনুরোধ মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি সম্মান দেখিয়ে এই জায়গাটি খালি করে একটি স্থায়ী সীমানা দেয়ার জন্য। নতুবা মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দেয়া হবে।
এই বিষয়ে কথা হয় সহকারি কমিশনার (ভূমি) মতিউর রহমান খানের সাথে। তিনি জানিয়েছেন সরকারি লাল নিশান দেয়ার পরও যারা সরকারের এই আদেশ অমান্য করে চত্বরে প্রবেশ করেছে তাদের বিরুদ্ধে আমরা অ্যাকশনে যাবো।