রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:০৯ পূর্বাহ্ন
বাহুবল (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি: বাহুবলে ডাকাতি করতে গিয়ে দুটি পিস্তলসহ এক ডাকাত জনতার হাতে আটক হয়েছে। আটককৃত ডাকাতের অপর সহযোগীরা পরিবারের সদস্যদের মারধোর করে স্বর্ণালংকারসহ প্রায় ৩ লক্ষ টাকার মালামাল নিয়ে চম্পট দিয়েছে। ধৃত ডাকাতকে অস্ত্রসহ বাহুবল মডেল থানা পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। ডাকাত দলের সদস্যদের হামলায় আহত গৃহকর্তার দু’পুত্রকে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে উপজেলার মিরপুর ইউনিয়নের পশ্চিম জয়পুর গ্রামের ব্যবসায়ী হাজী মতিন মিয়ার বাড়িতে এ দুধর্ষ ডাকাতির ঘটনাটি ঘটে। আটক ডাকাত ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার খৈতলী গ্রামের ডালু মিয়ার পুত্র সবুজ মিয়া (৩০)।
এলাকাবাসী জানান, রাত দেড়টার দিকে ৭/৮ সদস্যের একটি সংঘবদ্ধ ডাকাত দল মতিন মিয়ার বাড়ির গ্রিল কেটে ঘরে প্রবেশ করে। এ সময় ডাকাতদলের সদস্যরা পরিবারের সদস্যদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে বেধে রেখে ঘরে থাকা স্বর্ণালঙ্কারসহ প্রায় তিন লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুট করে। ডাকাতদলের সদস্যরা পালিয়ে যাওয়ার সময় আহত জুনাব আলীর হাতের বাধন খুলে যাওয়ায় পিছন থেকে এক ডাকাতের উপর হামলা করে। এ সময় ডাকাতদলের সদস্যরা ফাঁকা গুলি ছুড়লে এলাকার লোকজন এগিয়ে আসেন। এক পর্যায়ে মসজিদের মাইকে ডাকাতির খবর প্রচার করা হলে গ্রামবাসী দুটি পিস্তলসহ এক ডাকাতকে হাতেনাতে আটক করে। অন্যান্য ডাকাতরা মালামাল নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে আটক ডাকাত সবুজ মিয়া (৩০) কে উত্তম-মধ্যম দিয়ে বাহুবল মডেল থানা পুলিশে সোপর্দ করা হয়। ডাকাতদের হামলায় আহত গৃহকর্তা মতিন মিয়ার ছেলে ব্যবসায়ী জুনাব আলী ও কামাল মিয়াকে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
খবর পেয়ে রাতেই বাহুবল সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার পারভেজ আলম চৌধুরী ও বাহুবল মডেল থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) আলমগীর হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং আহত ব্যক্তিদের হবিগঞ্জ হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে বাহুবল মডেল থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) আলমগীর হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন আটক ডাকাতকে প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করে আশংকাজনক অবস্থায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে তার সহযোগীদের গ্রেফতার করা হবে।
তিনি আরও বলেন উদ্ধারকৃত অস্ত্র দুটি সক্রিয় এবং ভিতরে আনুমানিক ৭/৮ রাউন্ড গুলি আছে। জেলা পুলিশ লাইন থেকে অস্ত্রাগারের লোকজনে এসে অস্ত্র থেকে গুলি বের করা হবে।