রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৫৩ পূর্বাহ্ন
ক্রীড়া ডেস্ক : শঙ্কার মেঘ জমেছিল অনেক। তা খানিক কেটেছিল ভারতের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টি জয়ে। পরে তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে আক্ষেপ বাড়লেও হতাশ হতে হয়নি। কিন্ত হতে হলো প্রথম টেস্টে এসে। দুই ইনিংসের ছন্নছাড়া ব্যাটিং আর হতশ্রী বোলিংয়ে বাংলাদেশ ম্যাচ হেরেছে তিন দিনেই। তাও আবার ইনিংস ও ১৩০ রানের ব্যবধানে।
ভারতের বিপক্ষে টেস্ট জয়টা অমবস্যায় চাঁদের স্বপ্ন দেখার মতো। ছেঁড়া খাতায় শুয়ে সে স্বপ্নও দেখেওনি কেউ। তবে বোর্ড সভাপতির মতোই তো বাংলাদেশের সমর্থকদের প্রত্যাশা ছিল অন্তত দক্ষিণ আফ্রিকার চেয়ে ভালো খেলবে বাংলাদেশ। কিন্তু টেস্টের মাত্র তৃতীয় দিনে এসে হিসেব কষতে বসলে আক্ষেপের যন্ত্রণা বাড়বে আরও। চারপাশ থেকেই আওয়াজ আসবে তা আর হলো কই!
প্রথম ইনিংসে ব্যাটসম্যানদের অসহায় আত্মসমর্পন দিয়েই হয়েছিল শুরুটা। যেখানে দুইবার জীবন পেয়েও সর্বোচ্চ সংগ্রহ মুশফিকুর রহিমের রান ৪৩। আর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ অধিনায়ক মুমিনুল হকের ৩৭ রান। এছাড়া যে তিন জন দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছাতে পেরেছিলেন তারা হলেন, লিটন দাস ২১, মোহাম্মদ মিঠুন ১৩ ও মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ করেছেন ১০ রান। বাংলাদেশের সংগ্রহটাও তাই থেমেছে ১৫০ তে। ভারতের হয়ে তিন পেসারের মধ্যে শামি ৩ ও ইশান্ত শর্মা ও উমেশ যাদব পেয়েছেন ২টি করে উইকেট, আর বাকি দুইটি অশ্বিনের দখলে।
ভারত যখন প্রথম ইনিংসে খেলতে নামে তখন আগের দুই সেশনে বোলিং পিচটা হঠাৎ করেই যেন হয়ে ওঠে ব্যাটিং পিচ। ইমরুল কায়েসের কাছে জীবন পাওয়া মায়াঙ্কা আগারওয়াল করেন ২৪৩ রান। বাংলাদেশের পক্ষে যেটুকু প্রতিরোধ আবু জায়েদ রাহির, তিনি পান চার উইকেট। ৬ উইকেটে ৪৯৩ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করে ভারত।
তৃতীয় দিনে দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশ ব্যাটিংয়ে নামতেই আবারও হয়ে যায় বোলিং পিচ। এই ইনিংসেও একাধিক বার জীবন পেয়ে সর্বোচ্চ সংগ্রাহক মুশফিকুর রহিম। এই ইনিংসে ফিফটি ছাড়িয়ে তিনি করেছেন ৬৪ রান। শেষদিকে লিটনের ৩৫ রান ও মেহেদি হাসান মিরাজ করেন ৩৮ রান। তাতে এড়ানো যায়নি বাংলাদেশের ইনিংস ব্যবধানের হার।