রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৪৩ পূর্বাহ্ন
তরফ নিউজ ডেস্ক : সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ বাস্তবায়নে সব মহলের সহযোগিতা চেয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, এ আইনটি গত ১ নভেম্বর থেকে কার্যকর শুরু হলেও মূলত এ আইনটি বাস্তবায়ন শুরু হচ্ছে আজ থেকে।
তিনি বলেছেন, এ আইন কাউকে শাস্তি দিতে নয়, সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে এবং দুর্ঘটনা কমাতে কার্যকর করা হবে। তবে সহনীয় পর্যায়ে কার্যকর করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
সোমবার (১৮ নভেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সড়ক পরিবহন আইন কার্যকর করার বিষয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
সেতুমন্ত্রী বলেন, সড়ক পরিবহন আইন বাস্তবায়ন বাড়াবাড়ি না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রেখেই আইন বাস্তবায়ন করা হবে। সকলকে মনে রাখতে হবে এ আইন সড়ক নিরাপদ করতে।
শ্রমিক নেতাদের আন্দোলনের প্রস্তুতির বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, এ আইন জাতীয় সংসদে পাস হওয়ার দীর্ঘ দিন পর কার্যকর করা হচ্ছে। এতে সব মহলের মতামত নেয়া হয়েছে। পাস হওয়া এ আইন অকার্যকর করার প্রক্রিয়া সফল হবে না। তিনি আন্দোলন-ধর্মঘটের চিন্তা ছেড়ে আইন মেনে গাড়ি চালাতে পরিবহন মালিক চালক, শ্রমিকদের প্রতি আহবান জানান।
সেতুমন্ত্রী বলেন, দুই সপ্তাহ সময় দিয়ে আজ থেকে সড়ক পরিবহন আইনটি পূর্ণাঙ্গভাবে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। আইনটি যাতে সকলে মেনে চলে সেজন্য রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে আজ থেকে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, নতুন সড়ক পরিবহন আইনে নতুন কিছু বিষয় যুক্ত করা হয়েছে, যা বাংলাদেশের এ সংক্রান্ত আইনে আগে ছিল না।
বিশ্বের উন্নত দেশের চালকদের কথা উল্লেখ করে বলেন, এখন থেকে চালকদের আইন অমান্য হলে পয়েন্ট কাটার পদ্ধতি রাখা হয়েছে। আবার এবারই প্রথম পরিবহন মালিকদের আইনের আওতায় আনা হয়েছে। দুর্ঘটনার শিকার পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দেওয়ার বিধান যুক্ত হয়েছে। ট্রাফিক ওজন সীমা নির্ধারনের পাশাপাশি পরিবেশ দূষণের বিষয়টি সম্পৃক্ত করা হয়েছে।
কাদের বলেন, দুরপাল্লার চালকদের গাড়ি চালানোর সময় সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে। সড়ক পরিবহন আইন আগের তুলনায় কঠোর হয়ছে। এর কারণ শাস্তি দেয়া নয়, সড়কে দুর্ঘটনা কমিয়ে শৃঙ্খলা আনা। সড়ক নিরাপদ করা।
তিনি আরো জানান, পরিবহনগুলোকে শৃঙ্খলা আনতে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি- বিআরটিএ দিন- রাত কাজ করে যাচ্ছে। আইন বাস্তবায়ন এখন একটি অনেক বড় চ্যালেঞ্জ।
মন্ত্রী বলেন, বিআরটিএতে নতুন করে জনবল নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। আরো জানান, যত্রতত্র পার্কিং রোধেও ডিটিসিএ’র সঙ্গে শিগগিরই বৈঠক করা হবে।
উল্লেখ্য, রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কে বাস চাপায় দুই কলেজ শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায়, দেশজুড়ে নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনের মুখে সরকার ২০১৮ সালে প্রণয়ন করা হয় সড়ক পরিবহন আইন। আইনটি সংসদে পাস হলেও পরিবহন মালিক শ্রমিকদের প্রভাবে তা গেল এক বছরে বাস্তবায়ন করা যায়নি। যা ১ নভেম্বর থেকে বাস্তবায়ন করছে সরকার।
সেতু মন্ত্রী জানান, শিগগিরই আইনটির আলোকে বিধি প্রণয়নের কাজ শেষ হবে।