সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৩৫ পূর্বাহ্ন
তরফ নিউজ ডেস্ক : ভোর ৬টা হতে টানা ৮ ঘণ্টা দুর্ভোগের পর দুপুর ২টায় অবরোধ তুলে নিয়েছে শ্রমিকরা। তারপর থেকেই ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোড থেকে শ্রমিকরা সরে যেতে শুরু করলে শুরু হয় ঢাকা-সিলেট ও ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কে যান চলাচল। তবে যান চলাচল শুরু হলেও গণপরিবহনের সঙ্কট রয়েছে। হাজার হাজার মানুষকে গণপরিবহনের জন্য অপেক্ষা করতে দেখা গেছে। কিছু জায়গায় যানজটেরও সৃষ্টি হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ শহর থেকেও শুরু হয় যান চলাচল। টানা ৮ ঘণ্টা অবরোধের কারণে লাখ লাখ মানুষকে চরম ভোগান্তি আর দুর্ভোগের শিকার হতে হয়।
বুধবার (২০ নভেম্বর) দুপুরে পুলিশ পরিবহন-শ্রমিকদের বুঝিয়ে শুনিয়ে মহাসড়ক থেকে চলে যেতে বললে, তারা অবরোধ তুলে নেয়।
সাইনবোর্ডে অবরোধকারীরা জানান, তারা তাদের দাবির প্রতি অবিচল। কিন্তু বুধবার মন্ত্রীদের সঙ্গে শ্রমিক নেতাদের বৈঠকের কারণে আপাতত সাময়িকভাবে অবরোধ প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছে। দাবি না মানলে প্রয়োজনে আবারও অবরোধ করা হবে।
এর আগে নারায়ণগঞ্জ থেকে ঢাকাগামী সকল পরিবহন বুধবারস (২০ নভেম্বর) সকাল থেকে বন্ধ ছিল। এতে করে ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ যাত্রীরা। ঘণ্টার পর ঘণ্টা বাসের জন্য দাঁড়িয়ে থেকেও না পেয়ে হাঁটতে শুরু করেন অনেকে। ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের সাইনবোর্ড এলাকায় এলোপাতাড়ি যানবাহন রেখে অবরোধ করে রাখে পরিবহন শ্রমিকরা। ফলে ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়কেও যানচলাচল বন্ধ ছিল।
নতুন সড়ক পরিবহন আইন স্থগিত রাখাসহ ৯ দফা দাবিতে বুধবার (২০ নভেম্বর) ভোর থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি ডাকে বাংলাদেশ ট্রাক-কাভার্ডভ্যান পণ্য পরিবহন মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদ। ওই কর্মবিরতিতে সংহতি প্রকাশ করে সারাদেশের মতো নারায়ণগঞ্জেও সকল ধরনের গণপরিবহন বন্ধ ছিল।
ভুক্তভোগীরা জানান, ভোর ৬টা থেকেই পরিবহন শ্রমিকেরা সাইনবোর্ড এলাকায় দাবি আদায়ে বিক্ষোভ শুরু করে। তখন ব্যক্তিমালিকাধীনসহ বেসরকারি গাড়ি চলাচল করছিল। পরে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের সাইনবোর্ড এলাকায় এলোপাতাড়ি যানবাহন ফেলে রেখে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের ঢাকামুখী রাস্তা বন্ধ করে দেয় শ্রমিকরা। এতে করে শিবু মার্কেট থেকেই এ সড়কে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। অতিষ্ট হয়ে যাত্রীরা যানবাহন থেকে নেমে হেঁটে যেতে শুরু করেন।
ঘণ্টার পর ঘণ্টা যাত্রীরা বাস টার্মিনালগুলোতে যানবাহনের জন্য অপেক্ষা করেন। যারা জরুরি প্রয়োজনে বের হয়েছেন তাদের কেউ কেউ হেঁটে রওনা হন কিংবা রিকশায়। সিএনজি অটোরিকশাও চলাচলে বাধা দিতে দেখা যায় শ্রমিকদের। প্রাইভেটকার, অ্যাম্বুলেন্স, রিকশা ও লেগুনা চলাচল করতে দেখা যায়।
নারায়ণগঞ্জ জেলার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার মনিরুল ইসলাম জানান, পরিবহন শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে শান্তিপূর্ণভাবে তাদের অবরোধ তুলে দেয়া হয়েছে। কোথাও কোনও ভাঙচুর বা অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। দুটি মহাসড়ক সচল আছে। তবে পুলিশ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।