শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:০৮ পূর্বাহ্ন
তরফ নিউজ ডেস্ক : বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় যুবলীগের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি শেখ ফজলুল হক মণির বড় ছেলে শেখ ফজলে শামস পরশ। সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন মাইনুল ইসলাম খান নিখিল। আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন যুবলীগের কেন্দ্রীয় সম্মেলন ৭ম জাতীয় কংগ্রেসে চেয়ারম্যান ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে এ দুজনের নাম ঘোষণা করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ।
এর আগে যুবলীগের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক চয়ন ইসলাম শেখ ফজলে শামস পরশের নাম চেয়ারম্যান পদে প্রস্তাব করেন। সংগঠনের সম্মেলন প্রস্তুতি সদস্য সচিব ও সংগঠনের বিদায়ী কমিটির সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ তা সমর্থন করেন।
পঁচাত্তর ট্রাজেডিতে বাবা-মাকে হারানো পরশ ধানমণ্ডি সরকারি বালক বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক, ঢাকা কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নেন। এরপর যুক্তরাষ্ট্রের কলোরাডো ইউনিভার্সিটি থেকে পিএইচডি ডিগ্রি নেয়ার পর দেশে ফিরে তিনি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করে আসছিলেন।
রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান হলেও রাজনীতির মাঠে দেখা যেত না তাকে। এমনকী ছোটভাই তাপসের নির্বাচনি প্রচারেও তাকে খুব-একটা নামতে দেখা যায়নি। তবে ভাবমূর্তি সংকটে থাকা যুবলীগকে উদ্ধারে ফুপু শেখ হাসিনার নির্দেশে পরশ এবার রাজনীতিতে সক্রিয় হলেন বলে আওয়ামী লীগ নেতারা জানিয়েছেন।
সম্মেলন প্রস্তুতির জন্য যুবলীগের যে কমিটি হয়েছে, তাতে আকস্মিকভাবে পরশের যুক্ত হওয়া দেখে সবার আলোচনায় আসে তার নামটি।
সম্মেলন প্রস্তুতি দেখতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের শুক্রবার যখন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গিয়েছিলেন, তখন তার সঙ্গে পরশ ছিলেন। এরপর সম্মেলনের অভ্যর্থনা উপ-কমিটির বৈঠকে যোগ দিতে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের কার্যালয়ে তিনি গেলে কর্মীরা করতালি দিয়ে তাকে ‘পরবর্তী চেয়ারম্যান’ হিসেবে শুভেচ্ছা জানায়।
মাইনুল হোসেন খান নিখিল ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের সভাপতি ছিলেন। তিনি এবার কেন্দ্রীয় যুবলীগের নেতা নির্বাচিত হলেন। সাধারণ সম্পদক পদে ৭ জনের নাম প্রস্তাব করা হয়। পরে নিজেদের মধ্যে সমঝোতা করে সাধারণ সম্পাদকের নাম চূড়ান্ত করার জন্য ২০ মিনিট সময় দেয়া হয়। তবে সমঝোতা না হওয়ায় উপস্থিত আওয়ামী লীগ নেতারা শেখ হাসিনার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তার মতামত অনুসারে নিখিলকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ঘোষণা করেন ওবায়দুল কাদের।
যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক পদ প্রত্যাশী ৭ জন হলেন- সংগঠনের বিদায়ী কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন মহি, ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি মাঈনুল হাসান খান নিখিল, যুবলীগের বিদায়ী কমিটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট বেলাল হোসেন, সুব্রত পাল, মনজুর আলম শাহিন ও সংগঠনের প্রচার সম্পাদক ইকবাল মাহমুদ বাবলু এবং বদিউল আলম।