সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৪০ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক : মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার দেওরাছড়া চা বাগান এলাকায় দুই নারী যাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে সিএনজি অটোরিকশা চালকদের বিরুদ্ধে। শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) রাত ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় রাতেই অভিযোগ পেয়ে পুলিশ অভিযান চালিয়ে শনিবার দুপুর পর্যন্ত তিনটি সিএনজিসহ সাতজনকে আটক করেছে।
ধর্ষণের শিকার দুই নারী বর্তমানে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তাদের একজনের বয়স আনুমানিক বয়স ২৮ এবং অন্যজনের ২৪।
ওই দুই নারী জানান, শুক্রবার রাত ৮টার দিকে তারা মৌলভীবাজার শহরের পৌর পার্ক থেকে কমলঞ্জের মুন্সিবাজার যাওয়ার উদ্দেশ্যে সিএনজিচালিত অটোরিকশা রিজার্ভ করেন। তাদের সঙ্গে তিন বছরের একটি শিশু সন্তান ছিল। অটোরিকশাটি নিয়ে কিছু দূর যাওয়ার পর দুইজন যাত্রী তোলেন চালক। তখন দুই নারী বাধা দিলে চালক জানান- এরা তার পরিচিত, বিপদে পড়ছে সামনেই নেমে যাবে। পরে কমলগঞ্জ যাওয়ার পথে দেওরাছড়া চা বাগানের নির্জন যায়গায় তাদের সঙ্গে আরও ৭/৮ জন যোগ দেয়। এ সময় এক নারীকে সাতজন মিলে এবং অন্য নারীকে দুইজন মিলে ধর্ষণ করে।
এরপর দুই নারী কৌশলের আশ্রয় নেন। তারা চালককে বলেন- ‘যা হবার হয়েছে এবার আমাদের দিয়ে আসেন।’ চালক তাদেরকে নিয়ে আবার কমলগঞ্জের মুন্সিবাজারের উদ্দেশে রওয়ানা হলে পথে রহিমপুর ইউনিয়নের সাবেক মেম্বার আব্দুল মজিদ খানের দোকানে সামনে পৌঁছানোর আগে এক নারী জানান তার একটু জরুরি কাজ আছে, এই দোকানে একটু থামতে হবে। দোকানের সামনে সিএনজি থামানো মাত্র তারা চিৎকার শুরু করেন। এ সময় চালক সিএনজি রেখে পালিয়ে যান। পরে পুলিশ এসে তাদেরকে চিকিৎসার জন্য মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে পাঠায়।
রহিমপুর ইউনিয়নের সাবেক মেম্বার আব্দুল মজিদ খান বলেন, আমার দোকানে ঢুকে তারা অভিযোগ দেয়। এ সময় চালক পালিয়ে যায়। জেনেছি তার নাম ইউসুফ মিয়া, বাড়ি মৌলভীবাজার সদর উপজেলার বনশ্রী এলাকায়। পরে আমি পুলিশে খবর দেই।
কমলগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আরিফুর রহমান জানান, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত সাতজন অভিযুক্তকে তিনটি সিএনজিসহ আটক করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে যাদের নাম আসবে তাদের আটক করা হবে। মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। মামলার পর আটকদের গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হবে।