সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৪০ অপরাহ্ন
তরফ নিউজ ডেস্ক : শৈত্যপ্রবাহ না থাকলেও রাজধানীসহ দেশের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে বিরাজ করছে তীব্র শীতের অনুভূতি।
সূর্যের দেখা না মেলায় এবং জলীয় বাষ্পভরা আর্দ্র বাতাসে ঘন কুয়াশা শীতের অনুভূতি বাড়িয়ে দিচ্ছে।
আবহাওয়াবিদ আফতাব উদ্দিন জানান, রোববার সকাল ৯টায় যশোরে তাপমাত্রা ছিল দেশের সর্বনিম্ন ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর ঢাকায় ছিল ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
শীত মৌসুমে ঠাণ্ডা থাকবে, সেটাই স্বাভাবিক। তবে গত কয়েক দিনের তীব্র শীতে যারা দুর্ভোগে পড়েছেন, তাদের আশা দিচ্ছে আবহাওয়া অফিস।
আফতাব উদ্দিন বলেন, “বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাপমাত্রা কিছুটা বাড়বে। যশোর আর চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে থাকলেও দেশে এখন শৈত্যপ্রবাহ নেই। এরপর শীতের তীব্রতা একটু কমবে বলে আশা করা যায়।”
২৫ থেকে ২৭ ডিসেম্বর দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকলেও তাতে শীতের প্রকোপ খুব বেশি বাড়বে না বলেই মনে করছেন এই আবহাওয়াবিদ।
শনিবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ফরিদপুরে ১০.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দেশের সব বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ থেকে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ছিল।
দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল টেকনাফে ২৬ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ১৭.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
জ্যেষ্ঠ আবহাওয়াবিদ রুহুল কুদ্দুস বলেন, বাংলাদেশে সাধারণত জানুয়ারির শুরুতে কুয়াশা বাড়ে। এবার একটু আগেই কুয়াশাচ্ছন্ন হিমেল আবহাওয়া এসেছে।
“টানা কয়েক দিন আমরা ঘন কুয়াশার সঙ্গে মেঘলা আকাশ দেখছি। আসলে বাতাসে জলীয়বাষ্প বেশি, তাই আর্দ্রতাও বেশি। এদিকে উত্তুরে হাওয়া বইছে। দিনের তাপমাত্রা যেখানে স্বাভাবিকভাবে ২৫-২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকার কথা, সেখানে সূর্যের দেখা না মেলায় ১০-১১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমেছে তাপমাত্রা।
“ফলে শৈত্যপ্রবাহ না থাকলেও ঠাণ্ডার অনুভূতি বেশি হচ্ছে। দিনে-রাতে তাপমাত্রার পার্থক্য কম থাকায় বেশি শীত লাগছে। দিনের বেলায় তাই স্বাভাবিক নাগরিক জীবনেও প্রভাব পড়ছে।”
তবে রোববার থেকেই দেশের অনেক জায়গায় সূর্যের দেখা মিলতে পারে আভাস দিয়ে এ আবহাওয়াবিদ বলেন, “রোদ পাওয়া গেলে সার্ফেস টেম্পারেচার বাড়বে। দুয়েক দিন পর তাপমাত্রা আরও বাড়বে। তাতে শীতের তীব্রতা কমে আসবে।”
তীব্র শীতের মধ্যে ঘন কুয়াশায় ফেরি পারাপারের পাশাপাশি বিমান ওঠানামায় সমস্যা হচ্ছে গত কয়েক দিন ধরে।
সেই সঙ্গে শীতজনিত রোগ নিয়ে দেশের হাসপাতালগুলোতে রোগীর ভিড় বাড়ছে। তাদের মধ্যে শিশু আর বয়স্কদের সংখ্যাই বেশি।
হাইওয়ে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স বলেছে, বর্তমানে জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কে ঘন কুয়াশার কারণে দৃষ্টি সীমা অনেকাংশে কমে আসছে। এর কারণে সামনের পথচারী ও বিপরীত দিক থেকে আসা যানবাহন সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায় না। ফলে দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকে।