বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:৩৬ অপরাহ্ন
শফিকুল ইসলাম রুম্মন, মৌলভীবাজার: বর্তমান সরকারের উন্নয়নের ছোয়ায় মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে সর্বত্র রাস্তাঘাট বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মান হলেও আওয়ামী লীগের ঘাটি বলে পরিচিত শ্রীমঙ্গলের শাপলাবাগ আবাসিক এলাকায় তেমন উন্নয়নের ছোয়া লাগেনি। বিশেষ করে জনগুরুত্বপুর্ণ সিন্দুরখাঁন রোডের রেলক্রসিং এর রাস্তাটি দীর্ঘদিনেও সংস্কার না করায় জনদুর্ভোগ চরমে ওঠে। এ সড়কের সংস্কার কাজ শুরু না হওয়ায় এবং যাতায়াতে দুর্ভোগ চরম আকার ধারন করায় এলাকাবাসীর মধ্যে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।
দুর্ভোগ এত চরমে পৌছেছে যে উপজেলার একমাত্র শিশু সংগঠন শ্রীমঙ্গল ফুলকলি সোসাইটির উদ্যোগে বৃহস্পতিবার থেকে শনিবার পর্যন্ত রাস্তা সংস্কার কাজে ব্যক্তিগতভাবে আমেরিকা প্রবাসী হোটেল ইসাকী এমোস’র চেয়ারম্যান ইমদাদুল হক ইপুর আর্থিক সহায়তায় রাস্তা সংস্কার কাজ চলছে।
এলাকাবাসী জানান, সড়কটি মূলত পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের আওতাধীন। দীর্ঘদিন ধরে রাস্তার মেরামত না করায় রাস্তাটিতে বিভিন্ন অংশ ভেঙ্গে যায় এবং বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়। রাস্তা দিয়ে চলাচলকারী যানবাহনসহ যাত্রীদের পড়তে হয় চরম দুর্ভোগে। প্রতিনিয়তই ঘটছে দুর্ঘটনা। রাস্তার বেহাল অবস্থায় পৌর কর্তৃপক্ষের একাধিকবার মাপ যোগ করা হলেও তারা কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। ফলে জনগুরুত্বপূর্ণ এ সড়কে যাতায়াতে দুর্ভোগ সৃষ্টি হওয়ায় ইট, বালু, সিমেন্ট কিনে রাস্তা মেরামতের কাজে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয় শ্রীমঙ্গল ফুলকলি সোসাইটি।
এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা ছায়েম আহমেদ, আব্দুল লতীফ, মসুদ আহমেদ বলেন, শহরের সাথে উপজেলার সিন্দুরখাঁন ইউনিয়ন, আশিদ্রোন ইউনিয়ন, রাজঘাট ইউনিয়নসহ কয়েকটি ইউনিয়নের যাতায়াতের জন্য এই রাস্তাটি খুবই গুরুত্বপূর্ন। শ্রীমঙ্গল উপজেলার হাজার হাজার মানুষ এই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন যাতায়াত করেন। রাস্তার মধ্যে বড় বড় গর্ত থাকায় কার, লাইটেস, ডায়না, ইজিবাইক, ভ্যান, রিক্সাসহ সকল ধরনের যানবাহন চলাচলে খুবই সমস্যা হতো। মাঝে মধ্যে ঘটতো দুর্ঘটনা। পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের রাস্তার বেহাল দশা দেখে তাই আমরা এলাকার যুবকরা মিলে হোটেল ইসাকী এমোস’র অর্থায়নে ও প্রিয়া এন্টারপ্রাইজের সহযোগীতায় স্বেচ্ছায় রাস্তা মেরামতের কাজ শুরু করি।
এলাকার বাসিন্দা পলাশ উদ্দীন বলেন, রাস্তাটি অনেক দিন ধরেই ভেঙে গিয়েছে। রাস্তায় মধ্যে বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হওয়ায় যানবাহনসহ মানুষের চলাচলে মারাত্মক সমস্যা সৃষ্টি হতো। উক্ত ওয়ার্ডের কাউন্সলর মীর এম এ সালাম এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।