শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৫৩ অপরাহ্ন
তরফ নিউজ ডেস্ক : রাজশাহীর পদ্মায় নৌকাডুবিতে নিখোঁজ ৯ জনের মধ্যে আটজনের মরদেহ পাওয়া গেছে আগেই। পাওয়া যাচ্ছিলো না কেবল নববধূ সুইটি খাতুন পূর্ণিমাকে। নৌকাডুবির প্রায় ৭২ ঘণ্টা পর ভেসে উঠলেন কনে। গা ভর্তি গয়না, পরণে লাল বেনারসি সবই ঠিক আছে, শুধু প্রাণটাই নেই।
সোমবার সকাল ৬টার দিকে নগরীর কাটাখালি থানার শাহাপুর এলাকা থেকে ওই মরদেহ উদ্ধার করেন ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকারীরা।
সর্বশেষ রোববার বিকেল ৩টার দিকে চারঘাট উপজেলার টাঙন পূর্বপাড়া এলাকার পদ্মা নদী থেকে পূর্ণিমার খালা আঁখি খাতুনের (২৫) ভাসমান মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এরপর থেকে কেবল নিখোঁজ ছিলেন নববধূ।
রাজশাহী সদর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার আবদুর রউফ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। শেষ মরদেহটি উদ্ধারের পর উদ্ধার অভিযান সমাপ্ত ঘোষণার কথাও জানান তিনি।
দুর্ঘটনার পর শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে রোববার দুপুর পর্যন্ত নারী ও শিশুসহ সাত জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এরা হলেন- পূর্ণিমার চাচা শামীম (৪০), চাচি মনি বেগম (৩৫), তাদের মেয়ে রশ্মি (১০), পূর্ণিমার দুলাভাই রতন আলী (২৮), ভাগনি মরিয়ম (৮), খালাতো ভাই এখলাস (২৮) ও ফুফাতো বোনের মেয়ে রুবাইয়া (১০)।
মর্মান্তিক এ দুর্ঘটনা থেকে ভাগ্যক্রমে বেঁচে ফিরেছেন বর আসাদুজ্জামান রুমনসহ ৩২ যাত্রী। তারা সবাই নববধূ পূর্ণিমার পরিবারের।
স্থানীয় সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার (৫ মার্চ) পদ্মার ওপারের পবা উপজেলার চরখিদিরপুর এলাকার ইনসার আলীর ছেলে আসাদুজ্জামান রুমনের সঙ্গে একই উপজেলার ডাঙেরহাট এলাকার শাহীন আলীর মেয়ে সুইটি খাতুন পূর্ণিমার বিয়ে হয়। শুক্রবার (৬ মার্চ) বরের বাড়ি থেকে দুটি নৌকায় বর-কনেকে নিয়ে আসছিল কনেপক্ষ। সন্ধ্যা ৭টার দিকে নৌকা দুটি রাজশাহী নগরীর শ্রীরামপুর ডিসির বাংলো এলাকায় পদ্মা নদীতে ডুবে যায়। এতে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে।