বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:০৭ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক : হবিগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক ৪ বারের চেয়ারম্যান সকলের নয়নমণি ‘পইলের সাব’ আলহাজ্ব সৈয়দ আহমদুল হক আর নেই! গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১ টা ৩০ মিনিটে পইল গ্রামে নিজ বাড়িতে তিনি ইন্তেকাল করেন। ইন্নালিল্লহি …….. রাজিউন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৩ বছর। তিনি স্ত্রী, ২ ছেলে ও ১ মেয়েসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
সৈয়দ আহমদুল হকের পারিবারিক সূত্র জানায়, বেশ কিছু দিন ধরে তিনি বার্ধক্যজনিত কারণে বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে তাঁর উন্নত চিকিৎসা করানো হয়। কিন্তু এতে কোন উন্নতি হয়নি। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে পইল গ্রামে নিজ বাড়িতে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
এদিকে, মাঝরাতে তিনি ইন্তেকাল করলেও সংবাদ পেয়ে জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে হাজার হাজার ভক্ত ও শুভাকাঙ্খিরা তার বাড়িতে ছুটে যান। এলাকার নারী-পুরুষসহ সকল বয়সী মানুষ কান্নায় ভেঙে পড়েন। এ সময় সেখানে এক হৃদয় বিধারক দৃশ্যের সৃষ্টি হয়। আজ শুক্রবার বিকেল ৩টায় পইল ঈদগাহ মাঠে তাঁর জানাযার নামাজ অনুষ্ঠিত হবে। পরে মা-বাবার কবরের পাশে তাঁকে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হবে।
আলহাজ্ব সৈয়দ আহমদুল হক এর মৃত্যুতে তরফ নিউজ পরিবার গভীর শোক প্রকাশ করছে এবং শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানানো হয়েছে।
আলহাজ্ব সৈয়দ আহমদুল হক ছিলেন সারা জেলাবাসীর এক পরিচিত মূখ। সাদা মনের মানুষ হিসেবে তিনি সর্বমহলের আস্থা অর্জন করেছেন। সালিশ বৈঠকের ন্যায় বিচারক হিসেবেও তার রয়েছে বিশেষ খ্যাতি।
১৯৪৯ সালের ৩১শে জানুয়ারি হবিগঞ্জ সদর উপজেলার পইল গ্রামের সাহেব বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন সৈয়দ আহমদুল হক। বাবা সৈয়দ জাহেদুল হক ছিলেন পইল ইউনিয়নের বারবার নির্বাচিত চেয়ারম্যান। আহমদুল হক ১৯৬৮ সালে বৃন্দাবন সরকারি কলেজ থেকে বি.কম ডিগ্রী লাভ করেন। এরপর কয়েক বছর একটি স্কুলে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেন। পরে সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে চাকরিতে যোগদান করেন। একপর্যায়ে জনগণের চাওয়ার মূল্যায়ন করতে তিনি সরকারি চাকরি ছেড়ে নির্বাচন করে কয়েক টার্ম পইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। দীর্ঘ প্রায় ২৪ বছর তিনি সেখানে চেয়ারম্যান হিসেবে সততার সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন। ১৯৮৫ সালে প্রথম সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে নির্বাচিত হন। এরপর সবক’টি উপজেলা নির্বাচনে তিনি বিপুল ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হন। সেখানেও তিনি ৪ বার সাবেক চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্বপালন করেন।