বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:৫১ অপরাহ্ন
বাহুবল (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি : বাহুবলে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে প্রতারণা করার সময় জনতা সাজু আহমেদ পায়েল নামে এক যুবককে আটক করে গণধোলাই দিয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার দুপুর দেড়টার দিকে উপজেলার ডুবাঐ বাজারে। আটককৃত প্রতারক পায়েল রংপুর জেলার কাউনিয়া উপজেলার রাজিসেটিবাড়ী গ্রামের আব্দুল আউয়ালের পুত্র।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, বুধবার (১লা এপ্রিল) দুপুর দেড়টায় সাজু আহমেদ পায়েল ডিবি পুলিশ কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে উপজেলার ডুবাঐ বাজারের খাঁজা রেস্টুরেন্টে প্রবেশ করে দোকান খোলা থাকার কারণ জানতে চায়। এসময় ব্যবসায়ী কোন ধরণের সদোত্তর দিতে না পারার সুযোগে বিশ হাজার টাকা জরিমানা দাবী করে ওই কথিত ডিবি পুলিশ কর্মকর্তা। কিন্তু এতো টাকা দেবার সাধ্য না থাকায় রেস্টুরেন্ট মালিক ওই কর্মকর্তা অনুকম্পা চেয়ে মিনতি করতে থাকেন। কথিত ওই কর্মকর্তা কিছুটা নমনীয় হলে রেস্টুরেন্ট মালিক সাতশত টাকা বের করে দেন। ওই টাকা নিয়েই কথিত ওই কর্মকর্তা তাড়াহুড়ো করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করতে চাইলে স্থানীয় লোকজনের সন্দেহ হয়। উপস্থিত লোকজন তার পরিচয়পত্র দেখতে চাইলে তিনি ব্যর্থ হন। এ অবস্থায় স্থানীয় লোকজন তাকে আটক করে গণধোলাই দেয়। খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট স্নিগ্ধা তালুকদার ও সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট খ্রিষ্টফার হিমেল রিছিল এবং সেনাবাহিনীর একটি টহল টিম ঘটনাস্থলে পৌছে। এ সময় স্থানীয় জনতা আটক প্রতারক সাজু আহমেদ পায়েলকে তাদের কাছে সোপর্দ করে। আটক প্রতারক পায়েল জানায়, সে পেশাদার প্রতারক। প্রতারণার মামলা গত মাসের শেষের দিকে জেল থেকে ছাড়া পায়। মঙ্গলবার সে শায়েস্তাগঞ্জ একটি হোটেলে রাত্রী যাপন করে। বুধবার সকালে শায়েস্তাগঞ্জ থেকে বাহুবল উপজেলা সদরের মৌচাক পয়েন্টে নামে। এ সময় মৌচাক পয়েন্টের একটি মুদি দোকান ও একটি স্টেশনারী দোকানে জরিমানার নামে মোট ২ হাজার ৩০০ টাকা আদায় করে। ওই স্থান থেকে প্রতারক পায়েল ডুবাঐ বাজারে যায়। সেখানে পৌঁছে খাজা রেস্টুরেন্টে প্রতারণা করতে গিয়ে জনতার হাতে ধরা পড়ে। সে জানায়, সে কোথাও নিজেকে ডিবি পুলিশ কর্মকর্তা, কোথাও পুলিশের এসআই, কোথাও সিআইডি পুলিশ, কোথাও সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা আবার কোথাও ভোক্তা অধিকার কর্মকর্তা দাবি করে প্রতারণা করে আসছে।
পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্নিগ্ধা তালুকদার তাকে বাহুবল মডেল থানা পুলিশে সোপর্দ করেন।
এ ব্যাপারে বাহুবল মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ কামরুজ্জামান জানান, আটককৃত সাজু আহমেদ-এর কাছে বিভিন্ন দেশের মুদ্রা, বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির ফোন ও মোবাইল নম্বর পাওয়া গেছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।