বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:০৩ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :

বানরের দেহে করোনা ভ্যাকসিন পরীক্ষায় শতভাগ সাফল্য

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : করোনাভাইরাস মহামারির প্রতিরোধে প্রতিনিয়ত অনুসন্ধান চলছে কার্যকর ভ্যাকসিন উদ্ভাবনের লক্ষে। একাধিক রাষ্ট্রের বিজ্ঞানীরা এই ভাইরাস মোকাবিলার মোক্ষম অস্ত্রের উদ্ভাবনে চালিয়ে যাচ্ছেন নিরন্তর প্রচেষ্টা। এই পরিস্থিতির মাঝে নতুন এক আশার বাণি শোনালো চীন। জানা গেছে, বানরের দেহে নিজেদের উদ্ভাবিত একটি নতুন কোভিড-১৯ প্রয়োগের পরীক্ষায় শতভাগ সাফল্য অর্জনে সক্ষম হুয়েছেন দেশটির এক দল গবেষক।

শুক্রবার (৮ মে) আন্তর্জাতিক সংবাদ্মাধ্যম সিজিটিএন প্রকাশিত এক প্রতিবেদনের তথ্য মতে জানা যায়, পিকোভ্যাক নামে একটি নতুন কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন তৈরির কাজে অনেকদূর এগিয়েছে চীনা বিজ্ঞানীরা। এটি তৈরি করেছে বেইজিংভিত্তিক প্রতিষ্ঠান সিনোভ্যাক বায়োটেক। এতে প্রচলিত ভাইরাসপ্রতিরোধী প্রক্রিয়াই অনুসরণ করা হয়েছে। অর্থাৎ কোনও প্রাণীর শরীরে এটি প্রয়োগ করলে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়, যা ভাইরাস ধ্বংস করতে সহায়তা করে।

বিজ্ঞানভিত্তিক গবেষণামূলক প্রতিবেদন প্রকাশক দ্য সায়েন্স ম্যাগাজিনে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, চলতি বছর ৬ মার্চ রিসাস ম্যাকাকিউস প্রজাতির একদল বানরের শরীরে নতুন ভ্যাকসিনটি প্রয়োগ করেন চীনা গবেষকরা।এর তিন সপ্তাহ পরে বানরগুলোকে করোনাভাইরাসের সংস্পর্শে নেয়া হয়।

এক সপ্তাহব্যাপী পর্যবেক্ষণে রাখার পর দেখা যায়, যেসব বানরের শরীরে বেশি মাত্রায় ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হয়েছিল তাদের ফুসফুসে করোনার উপস্থিতি নেই, অর্থাৎ ভ্যাকসিনটি ভাইরাস প্রতিরোধে সক্ষম হয়েছে। আর যেসব বানরকে ভ্যাকসিন দেয়া হয়নি তারা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে এবং তাদের শরীরে নিউমোনিয়ার উপসর্গ দেখা দিয়েছে। গত এপ্রিলের মাঝামাঝি মানবদেহেও পিকোভ্যাকের ট্রায়াল শুরু হয়েছে।

এদিকে, করোনা মোকাবিলায় পিকোভ্যাকই একমাত্র ভরসা নয়। একই প্রক্রিয়া অনুসরণ করে প্রায় একই ধরনের আরেকটি ভ্যাকসিন তৈরি করেছে চীনা সেনাবাহিনী। এরইমধ্যেই হিউম্যান ট্রায়ালের দ্বিতীয় ধাপে প্রবেশ করেছে সেটি।

তবে ভ্যাকসিন তৈরিতে একটি সমস্যার মুখে পড়তে পারেন চীনা গবেষকরা। দেশটিতে ইতোমধ্যেই করোনার সংক্রমণ অনেক কমে এসেছে, বর্তমানে মাত্র কয়েকশ’ রোগী রয়েছেন সেখানে। ফলে কিছুদিনের মধ্যেই মানবদেহে ভ্যাকসিনের পরীক্ষামূলক প্রয়োগের জন্য স্বেচ্ছাসেবক খুঁজে পাওয়া কঠিন হয়ে যাবে তাদের জন্য। ২০০৩ সালে সার্স (সিভিয়ার অ্যাকিউট রেসপিরেটরি সিন্ড্রোম) ভাইরাসের ভ্যাকসিন তৈরি বন্ধ হয়ে গিয়েছিল এই কারণেই।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন

ওয়েবসাইটের কোন কনটেন্ট অনুমতি ব্যতিত কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Design & Developed BY ThemesBazar.Com