শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:০৯ পূর্বাহ্ন
তরফ নিউজ ডেস্ক : গত ২৪ ঘণ্টা দেশে মারা গেছেন আরও ৩০ জন। এর মধ্যে ২৩ জন পুরুষ ও ৭ জন নারী। এ নিয়ে মোট প্রাণহানির সংখ্যা বেড়ে গিয়ে দাঁড়াল ৮১১ জনে।
গত ২৪ ঘণ্টায় (বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে শুক্রবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) দেশে নতুন করে ২ হাজার ৮২৮ জনের দেহে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে মোট শনাক্ত হলেন ৬০ হাজার ৩৯১ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৬৪৩ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন ১২ হাজার ৮০৪ জন।
৯০তম দিনে এসে দেশের করোনা পরিস্থিতির চিত্র এমনটাই ফুঁটে উঠেছে। যা বলা হচ্ছে এটা সবার জন্য খুবই আশঙ্কাজনক। এদিন সর্বাধিক শনাক্ত হয়েছে দেশে।
শুক্রবার (৫ জুন) দুপুরে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রান্ত নিয়মিত অনলাইন ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য তুলে ধরেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।
ঢাকা এবং ঢাকার বাইরে মোট ৫০টি ল্যাব থেকে গত ২৪ ঘন্টায় মোট ১৪ হাজার ৬৪৫ টি নমুনা সংগ্রহ হয়েছে। এখান থেকে ১৪ হাজার ৮৮ টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
সব মিলিয়ে এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৩ লাখ ৭১২ হাজার ৩৬৫ টি।
নমুনা বিবেচনায় গত ২৪ ঘন্টায় শনাক্তের হার ২০ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ২১ দশমিক শূন্য ২ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৩৪ শতাংশ।
বৃহস্পতিবার (৪ জুন) শনাক্ত হয় ২ হাজার ৪২৩ ও মারা যায় ৩৫ জন।
গত ২ ফেব্রুয়ারি থেকে দেশে করোনাভাইরাস শনাক্তের পরীক্ষা শুরু করে। ৮ মার্চ দেশে প্রথম রোগী শনাক্ত হয়। ১৮ মার্চ প্রথম কোনও করোনা রোগী মারা যায়।
দেশে গত ২৮ এপ্রিল করোনা রোগী শনাক্ত হয় ৫৪৯ জন। এর পর ধারবাহিকভাবে শনাক্তের সংখ্যা বাড়তে থাকে। ১ জুন ২,৩৮১, ২ জুন ২,৯১১, ৩ জুন ২৬৯৫ ও ৪ জুন ২৪২৩ জন শনাক্ত হয়।
দিন দিন করোনা রোগী শনাক্ত ও মৃতের সংখ্যা বাড়ায় নড়েচড়ে বসে সরকার। ভাইরাসটি যেন ছড়িয়ে পড়তে না পারে সেজন্য ২৬ মার্চ থেকে বন্ধ ঘোষণা করা হয় সব সরকারি-বেসরকারি অফিস। কয়েক দফা বাড়ানো হয় সেই ছুটি। এ ছুটি আরেক দফা বাড়িয়ে ৩০ মে পর্যন্ত করা হয়।
বিশ্বে মৃতের সংখ্যা চার লাখের কাছাকাছি। সংক্রমিত ৬৭ লাখের মতো। ২৪ ঘণ্টায় আরও সাড়ে পাঁচ হাজারের মতো মানুষ মারা গেছেন। একদিনে নতুনভাবে শনাক্তের রেকর্ড এক লাখ ২৯ হাজার ছাড়ালো।
যুক্তরাষ্ট্রেই গত তিনদিন যাবৎ হাজারের বেশি মানুষ প্রাণ হারাচ্ছেন। দেশটিতে নতুনভাবে শনাক্ত আরও ২২ হাজার রোগী। এ পরিস্থিতিতে, বিক্ষোভকারীদের অবশ্যেই করোনা পরীক্ষার নির্দেশ দিলেন নিউ ইয়র্ক গর্ভনর।
গেলো তিনদিন ধরে হাজারের ওপর প্রাণহানি দেখছে ব্রাজিলও। ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ রোগী শনাক্ত হচ্ছে লাতিন দেশটিতে।
ইউরোপের দেশগুলোয় লকডাউন শিথিলের পর হঠাৎই বেড়েছে করোনায় মৃত্যু আর সংক্রমণ। ব্রিটেন ১৫ জুন থেকে কড়াকড়ি শিথিল করলেও, গণপরিবহনে বাধ্যতামূলক মাস্ক ব্যবহারের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
ভাইরাসের প্রকোপ ঠেকাতে ১৫ শহরে ছুটির দিনে লকডাউনের ঘোষণা দিয়েছে তুরস্ক।