মঙ্গলবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ১০:৪৬ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
মিরপুর দি হোপ স্কুলে শিক্ষার মানোন্নয়ন শীর্ষক সেমিনার গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষাকে বাস্তবায়নে বিশ্ব সম্প্রদায়ের সমর্থন চেয়েছেন ড. ইউনূস ধান ক্ষেত থেকে অটোরিকশা চালকের মরদেহ উদ্ধার জমি নিয়ে বিরোধ; দুই গ্রুপের সংঘর্ষে এক যুবক নিহত দোকান বাকীর টাকা আদায়কে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ : বৃদ্ধ নিহত হবিগঞ্জে হত্যা মামলা, আ.লীগ সভাপতিসহ ২শ জন আসামি গ্র্যান্ড সুলতান রিসোর্টে শামীম ওসমান লুকিয়ে থাকার গুঞ্জন, তাল্লাশি শেষে যা বলছে পুলিশ নগদ দুই লাখ টাকার বেশি তোলা যাবে না এ সপ্তাহে সার্বিক নিরাপত্তার জন্য সারাদেশের সেনাবাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগের নম্বর গণভবনের মাছ-হাঁসও নিয়ে গেল জনতা, বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুর

লিবিয়ায় হবিগঞ্জের যুবক হত্যার দায়ে মানব পাচারকারী গ্রেফতার

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি: হবিগঞ্জের যুবককে লিবিয়ায় হত্যার দায়ে আন্তজার্তিক মানবপাচারকারী চক্রের এক সদস্যকে গ্রেফতার করেছে সিআইডি পুলিশ। গ্রেফতারকৃত মানবপাচারকারী মোশারফ হোসেন (৪২) ফরিদপুর জেলার নগরকান্দা থানার পুরাইল গ্রামের বাসিন্দা।

বৃহস্পতিবার (৯ জুলাই) দুপুরে হবিগঞ্জ সিআইডি পুলিশ কার্যালয়ে এক প্রেসব্রিফিংয়ের মাধ্যমে সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার শাহ মামুন জানান, হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার দূর্গাপুর গ্রামের বাসিন্দা হাজী মোতালেব হোসেনের পূত্র তানিম মাহমুদ তোফাজ্জল (২২) গত বছরের ২৬ মে ভ্রমন ভিসায় দুবাই যায়। সেখানে যাবার কিছুদিন পর তোফাজ্জলকে ইতালি পাঠানোর নামে আন্তজার্তিক মানবপাচারকারী দলের সদস্যরা তাকে প্রলোভন দেয়। এক পর্যায়ে দাদা নামের এক দালালের কাছে বানিয়াচং উপজেলার কুমরী গ্রামের আব্দুল হালিমের পূত্র শামীম ভিকটিম তোফাজ্জল ছাড়াও দুবাই প্রবাসী মোঃ সজীব ও মোঃ ডালিমকে তুলে দেয়। পরে লিবিয়া সীমান্তে উল্লেখিত ৩ দুবাই প্রবাসীকে জিম্মি করে মুক্তিপণ হিসাবে সাড়ে ৭ লাখ টাকা দাবী করে মানবপাচারকারীরা। জিম্মি অবস্থায় মানবপাচারকারীরা বানিয়াচংয়ের তোফাজ্জলকে দিয়ে মোবাইল ফোনে বাড়িতে তার স্বজনদের কাছে আড়াই লাখ টাকা দাবী করে।

তোফাজ্জলের স্বজনরা এ তথ্য জানতে পেরে উদ্বেগ- উৎকন্ঠায় পড়েন। এক পর্যায়ে তোফাজ্জলের ভাই কাওসার আলী বাদি হয়ে গত ৭ জুন বানিয়াচং থানায় আব্দুল্লাহ (৪২), পিতা, গ্রাম ও থানা অজ্ঞাত রংপুর, জনৈক দাদা (৪৫) সিলেট, মোঃ শামীম (৩৫), পিতা আব্দুল হালিম, গ্রাম দূর্গাপুর, বানিয়াচংকে আসামী করে মানবপাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলাটি ওই দিনই থানায় মামলাটি রের্কডভুক্ত করা হয়।

পরবর্তীতে আদালত মামলাটি তদন্তের জন্য হবিগঞ্জ সিআইডি পুলিশকে নির্দেশ দেন। এ প্রেক্ষিতে সিআইডির ইনপেক্টর মুন্সী আব্দুল কুদ্দুস প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার রহস্য উদঘাটন করতে সক্ষম হন। তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে হবিগঞ্জের সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার শাহ মামুনের নেতৃত্বে গত ২৫ জুন মানবপাচারকারী চক্রের অন্যতম সহযোগী মোশারফ হোসেনকে ফরিদপুরের নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়।

প্রেসব্রিফিং এ তথ্য নিশ্চিত করে তদন্ত কর্মকর্তা ইনপেক্টর মুন্সী আব্দুল কুদ্দুস জানান, এ ঘটনার সাথে আরো অনেকেই জড়িত রয়েছে এবং গ্রেফতারকৃত মোশারফ হোসেন মুক্তিপনের সাথে জড়িত থাকার বিষয়ে আদালতে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দী দিয়েছেন। তিনি অচিরেই অন্যন্যা আসামীদের গ্রেফতারে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন

ওয়েবসাইটের কোন কনটেন্ট অনুমতি ব্যতিত কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Design & Developed BY ThemesBazar.Com