শুক্রবার, ২২ অগাস্ট ২০২৫, ০৬:১৯ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
নবিগঞ্জে সিএনজি রিফুয়েলিং স্টেশনে ভয়াবহ আগুন, ১০ গাড়ি ভস্মীভূত একাদশে ভর্তি : প্রথম ধাপের ফলে কলেজবঞ্চিত ২৫ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী চুনারুঘাট সীমান্তে আটক ৩ বাংলাদেশি নাগরিককে ফেরত দিল বিএসএফ চুনারুঘাটে পৃথক অভিযানে ৫৬ কেজি গাঁজাসহ চারজন আটক ক্ষমতায় গেলে পাঁচ বছরে ২৫ কোটি গাছ লাগাবে বিএনপি: তারেক রহমান সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে অপপ্রচার: সেনাপ্রধানের সতর্কবার্তা আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ ছাত্রদল নেতা হামিমের বিরুদ্ধে চলতি সপ্তাহেই ভোটের কর্মপরিকল্পনার খসড়া চূড়ান্ত করবে ইসি জেলার শ্রেষ্ঠ অফিসার ইনচার্জ নির্বাচিত চুনারুঘাট থানার ওসি নুর আলম চুনারুঘাটে গৃহবধূ হত্যার অভিযোগ স্বামী পলাতক, দুই নারী আটক

বানিয়াচংয়ের বিজয়পুরে ঘরের ভিতর বানের পানি, বিড়ম্বনায় গ্রামবাসী

নিজস্ব প্রতিবেদক: হবিগঞ্জ জেলার বনিয়াচং উপজেলার ১৫ নং পৈলারকান্দি ইউনিয়নের বিজয়পুর গ্রাম বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে। ফলে গ্রামের পানিবন্দী মানুষ পড়েছেন চরম দুর্ভোগে। আবার অনেক পরিবার নিজগৃহ ছেড়ে আশ্রয় নিয়েছেন অন্যত্র। এ বন্যার কারণে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে গ্রামবাসীর। তবুও কোন জনপ্রতিনিধি বা রাজনৈতিক নেতার দেখা পাননি গ্রামবাসী।

দেখা গেছে, উপজেলার বিজয়পুর বাজার এবং বাজারের পূর্ব হাটিসহ অধিকাংশ বাড়ি ঘরে প্রবেশ করেছে বানের পানি। বসত ঘর পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় রান্নাবান্না করতে পারছে না কেউ । চুলায় আগুন না জ্বলায় চরম দুর্ভোগের মুখে পড়েছেন পানিবন্দী মানুষ । এই অবস্থায় সাভাবিক জীবন যাপন ব্যাহত হচ্ছে এ গ্রামে।

বানের অতিরিক্ত পানির কারণে অনেক মুল্যবান ফসলি মরে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। গরু ছাগলসহ গবাদি পশু নিয়ে বিড়ম্বনায় পড়ছেন গ্রামের লোকজন।
এছাড়া অনেকর ঘরে কোমর পানি হওয়ায় মানুষ ঘর বাড়ি ছেড়ে চলে গেছেন নিরাপদ আশ্রয়ে ।
অনেকে আবার কোথায় যাওয়ার জায়গা না পেয়ে গরু- ছাগল, হাস-,মুরগী ও আসবাবপত্র নিয়ে বিপাকে পড়েছেন।

গ্রামের কাচা ঘরবাড়ি ও মৌসুমী ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে রাস্তাঘাটের। তবে সবচেয়ে বেশী বিড়ম্বনায় পড়েছেন নারী ও শিশুরা। বানের পানি কমার সাথে সাথে পানিবাহিত রোগের আশঙ্কা করছেন গ্রামবাসী। ডায়রিয়া, চর্ম রোগ প্রতিরোধে স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে এখনই কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহনের জন্য দাবি জানিয়েছেন বানবাসী মানুষ।

বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ওই গ্রামের বাসিন্দা নাজির হোসেন জানান, করোনার কারণে প্রায় তিন/চার মাস ধরে তার রুজি রোজগার বন্ধ হয়ে গেছে। যার কারণে সংসার চালাতে তার অনক কষ্ট হচ্ছে। এই অবস্থায় তিনি এখন পর্যন্ত কোন সরকারি অনুদান পাননি।

তিনি আরও জানান, বন্যায় গৃহবন্দী হয়ে পড়ায় কোথাও বের হতে পারছেন না। যার কারনে তিনি বাজার সওদাও করতে পারছেন না। বন্যার এই করুন অবস্থায় এখন পর্যন্ত কোন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি দেখতে আসেননি। যার কারনে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের মাঝে ক্ষোভ ও হতাশা বিরাজ করছে।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন

ওয়েবসাইটের কোন কনটেন্ট অনুমতি ব্যতিত কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Design & Developed BY ThemesBazar.Com