বৃহস্পতিবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ০৭:২৩ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষাকে বাস্তবায়নে বিশ্ব সম্প্রদায়ের সমর্থন চেয়েছেন ড. ইউনূস ধান ক্ষেত থেকে অটোরিকশা চালকের মরদেহ উদ্ধার জমি নিয়ে বিরোধ; দুই গ্রুপের সংঘর্ষে এক যুবক নিহত দোকান বাকীর টাকা আদায়কে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ : বৃদ্ধ নিহত হবিগঞ্জে হত্যা মামলা, আ.লীগ সভাপতিসহ ২শ জন আসামি গ্র্যান্ড সুলতান রিসোর্টে শামীম ওসমান লুকিয়ে থাকার গুঞ্জন, তাল্লাশি শেষে যা বলছে পুলিশ নগদ দুই লাখ টাকার বেশি তোলা যাবে না এ সপ্তাহে সার্বিক নিরাপত্তার জন্য সারাদেশের সেনাবাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগের নম্বর গণভবনের মাছ-হাঁসও নিয়ে গেল জনতা, বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুর গণআন্দোলনে শেখ হাসিনার পতন, ছাড়লেন দেশ

পল্টনে জাল টাকার কারখানা

তরফ নিউজ ডেস্ক : ঢাকার পল্টনে একটি জাল টাকার কারখানার সন্ধান পেয়েছে মহানগর গোয়েন্দা সংস্থার (ডিবি) গুলশান টিম। আজ বিকালে ডিবির টিম ২৫/২ পুরানা পল্টন লেনের একটি ভবনের দুটি ফ্ল্যাটে অভিযান চালিয়ে ওই কারখানার সন্ধান পায়। পরে সেখান থেকে প্রায় ৫/৬ কোটি জাল টাকা তৈরি করার সামগ্রীসহ তৈরি ৫৭ লাখ টাকা জব্দ করেছে। এছাড়া জাল টাকা তৈরির বিশেষ কাপড়, প্রিন্টিংম্যান, ম্যানেজার এবং সরবরাহকারীসহ ৪ জন পুরুষ ও ১ জন নারীকে গ্রেপ্তারও করেছে ডিবি। বিশেষ ক্ষমতা আইনে গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে একটি মামলা করা হবে বলে জানিয়েছেন অভিযানিক দলের এক সদস্য।

ডিবির গুলশান টিমের উপ পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মশিউর রহমান বলেন, পুরানা পল্টন লেনের বিএনপি পার্টি অফিসের ঠিক দক্ষিণ দিকের একটি ভবনের পঞ্চম এবং ষষ্ঠ তলা ভাড়া নিয়ে এই চক্রটি ঈদের পর থেকেই ব্যবসা করে আসছিল। ঈদের আগে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সাঁড়াশি অভিযান চালাবে এই আশঙ্কায় তারা ঢাকা শহরের বাইরে বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান করে। ঈদের পরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদেরকে খুঁজবে না এই আশায় বড় আঙ্গিকে ব্যবসা করার উদ্দেশ্যে তারা পল্টনের মতো গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় বড় কারখানা স্থাপন করে। এই কারখানার অর্থদাতা শাহিন একাধিক মামলার আসামি।

ধরা পড়া অপর আসামিরাও আগে একাধিক মামলায় হাজতবাস করেছে।

গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে প্রিন্টম্যান হান্নান, বিশেষ কাগজ তৈরিকারক কাওসার, কারখানার ব্যবস্থাপকের দায়িত্বপ্রাপ্ত আরিফ আর টাকা বিভিন্ন জায়গায় সরবরাহকারী ইব্রাহিম রয়েছে। এছাড়া গ্রেপ্তারকৃত নারীর নাম খুশি।

ডিসি বলেন, এই চক্রের সদস্যরা গত দেড় মাস ধরে এই ফ্লাট  দুটিতে জাল টাকা উৎপাদন করে আসছিল। প্রতিদিন তারা সর্বোচ্চ ৫ লাখ টাকা থেকে শুরু করে সর্বনিম্ন ৩ লাখ জাল টাকা উৎপাদন করত। প্রতি বান্ডিলে ১ লাখ টাকা থাকতো। প্রতি ১ লাখ টাকার বাণ্ডিল তারা ৯ হাজার থেকে শুরু করে ১৩ হাজার টাকায় দেশের বিভিন্ন জেলায় পাইকারি দরে বিক্রি করতো। আর পাইকারদের কাছ থেকে খুচরা বিক্রেতারা কিনে নিয়ে সেগুলো ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে মার্কেটে ছেড়ে দিতো। ঈদের পরে আগামী পাঁচ ছয় মাস পর্যন্ত সেখান থেকে বড় রকমের ব্যবসা পরিচালনা করে দেশের অর্থনীতি ধ্বংস করার পাঁয়তারা লিপ্ত ছিল এই চক্রটির।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন

ওয়েবসাইটের কোন কনটেন্ট অনুমতি ব্যতিত কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Design & Developed BY ThemesBazar.Com