বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:০৭ পূর্বাহ্ন
কাজী মাহমুদুল হক সুজন: হবিগঞ্জের বাহুবল ও চুনারুঘাট উপজেলার মধ্যেবর্তী ঐতিহ্যবাহী সাটিয়াজুরী রেল স্টেশনটি বন্ধ ঘোষণার পর থেকে এলাকার জনদুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে। নষ্ট হচ্ছে সরকারের লক্ষ লক্ষ টাকার সম্পদ। একসময় আশে পাশের শতাধিক গ্রামের লোকজন এ স্টেশন থেকে বিভিন্ন জায়গায় যাতায়াত করতেন। একমাত্র যোগাযোগ মাধ্যমই ছিল সাটিয়াজুরী রেল ষ্টেশন। সে সুবাদে যাত্রীর পদভারে মুখর থাকত এ স্টেশনটি। দিনভর থাকত কর্মব্যস্ততা।
এলাকাবাসী জানান, ব্রিটিশ আমলে এ রেল স্টেশনটি চালু হয়। সে সময় একাধিক ট্রেন থামত। পরবর্তীতে আস্তে আস্তে এ স্টেশনে ট্রেনের সংখ্যা কমতে থাকে। বর্তমানে করোনা ভাইরাসে কারণে লোকাল ট্রেন গুলো বন্ধ থাকার কারণে এ স্টেশনে কোন ট্রেনই থামছে না। এতে এ রেল স্টেশনি একটি পরিত্যক্ত রেল স্টেশন পরিণত হচ্ছে। তাছাড়া এ রেল স্টেশনে এক যুগেরও বেশি সময় ধরে স্টেশন মাষ্টার না থাকায় নষ্ট হচ্ছে এ স্টেশনেরর সরকারি সম্পত্তি।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, রেল স্টেশন বলতে শুধু ব্রিটিশ আমলের সেই পাকা ভবনটিই আছে তাও আবার পশুপাখির আবাসস্থলে পরিণত হয়েছে। অফিস কক্ষের দরজা জানালা গুলো ও ভেঙে গেছে। ভেতরে তাকালেে দেখা যায় অনেক জিনিস ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে নষ্ট হচ্ছে অনেক মূল্যবান জিনিস।
সাটিয়াজুরী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এডভোকেট সরকার মোঃ শহীদ ও ভাদেশ্বর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুল হাশিম জানান, এ রেল স্টেশনটি একসময় খুবই জনপ্রিয় রেলওয়ে স্টেশন ছিল। ১৯৯৮/৯৯ সনে সরকার ষ্টেশনটিকে বন্ধ ঘোষণা করলে এলাকার মানুষ রেল লাইন অবরোধসহ বিভিন্ন কূমসুচি পালন করলে কতৃপক্ষ স্টেশন মাষ্টার আপ ও ডাউন ট্রেন স্টপিজ দিত। কিন্তু কয়েক বছর যেতে না যেতেই আবারও সরকার স্টেশনটিকে বন্ধ ঘোষণা করে। ফলে এলকার প্রায় শতাধিক গ্রামের জনদুর্ভোগ বেড়ে যায়। এ স্টেশন থেকে আশেপাশের কয়েকটি গ্রামের মৃৎশিল্পীরা তারদের পণ্য গুলো বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করতেন তাছাড়া ঐ এলাকার কৃষকরা খুব উপকৃত হতেন এ স্টেশনের কারণে।
এলাকাবাসীর দাবি এ সাটিয়াজুরী রেল ষ্টেশনটি চালু করে ট্রেন স্টপিজ দিলে আবারও প্রান চাঞ্চল্য পাবে ষ্টেশনটি। দুর্ভোগ লাগব হবে এলাকার শতাধিক গ্রামের।