বুধবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ১০:৫৬ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
কবরস্থান নিয়ে বিরোধ; হামলার ঘটনায় এক ব্যক্তি নিহত মিরপুর দি হোপ স্কুলে শিক্ষার মানোন্নয়ন শীর্ষক সেমিনার গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষাকে বাস্তবায়নে বিশ্ব সম্প্রদায়ের সমর্থন চেয়েছেন ড. ইউনূস ধান ক্ষেত থেকে অটোরিকশা চালকের মরদেহ উদ্ধার জমি নিয়ে বিরোধ; দুই গ্রুপের সংঘর্ষে এক যুবক নিহত দোকান বাকীর টাকা আদায়কে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ : বৃদ্ধ নিহত হবিগঞ্জে হত্যা মামলা, আ.লীগ সভাপতিসহ ২শ জন আসামি গ্র্যান্ড সুলতান রিসোর্টে শামীম ওসমান লুকিয়ে থাকার গুঞ্জন, তাল্লাশি শেষে যা বলছে পুলিশ নগদ দুই লাখ টাকার বেশি তোলা যাবে না এ সপ্তাহে সার্বিক নিরাপত্তার জন্য সারাদেশের সেনাবাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগের নম্বর

বাহুবলে বলৎকারের অভিযোগে মাদ্রাসার মুহতামিমের বিরুদ্ধে মামলা

বাহুবল (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি: হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার মিরপুর ইউনিয়নের একটি মাদ্রাসায় মুহতামিম কর্তৃক ছাত্রকে ধর্ষণের (বলৎকার) অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। সোমবার (২৬ অক্টোবর) দিবাগত রাতে নির্যাতিত মাদ্রাসা ছাত্রের পিতা মোতাব্বির মিয়া বাদী হয়ে মাদ্রাসায়ে আনোয়ারে মদিনা ফদ্রখলা মাদ্রসার মুহতামিম মাওলানা নোমান কবীরকে প্রধান আসামী করে মামলাটি দায়ের করেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই ফুয়াদ আহমেদ জানান, মামলা দায়েরের পরপরই মাদ্রাসায় অভিযান চালিয়ে নোমান কবীরকে গ্রেফতারের চেষ্টা করা হয়েছে।

জানা যায়, গত মঙ্গলবার (২০ অক্টোবর) রাতে মাদ্রাসার মুহতামিম নোমান কবীর নাঈম নামের এক ছাত্রকে খেদমতের জন্য তার খাসকামড়ায় ডাকেন। খেদমতের নামে তিনি ওই ছাত্রকে বলৎকার করেন। পরের দিন বুধবার সকালে ফদ্রখলা গ্রামের মুরুব্বী শওকত, ছোবান, মর্তুজ আলী নির্যাতিত ছাত্রের বাড়ি চুনারুঘাট উপজেলার রামশ্রী গ্রামে উপস্থিত হয়ে বিষয়টির রফাদফার চেষ্ঠা চালান। সেখানে ওই পরিবারের কাছে শুক্রবারের মধ্যে মাদ্রাসা থেকে ওই মুহতামিমকে বহিষ্কার করা হবে ও উপযুক্ত বিচার পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে তারা আশ্বস্থ করেন। ওই বিষয়টি যাতে র‌্যাব পুলিশকে কেউ না জানায় সে বিষয়েও হুশিয়ারী দেন গ্রাম্য মাতব্বরা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মাদ্রাসার সাবেক এক শিক্ষক জানান, তার রুমে সবসময় ছেলেদের আড্ডা থাকে। মাদ্রাসার সাবেক ছাত্ররাও তার খেদমত করতে মাদ্রাসায় আসে। আমরা ছাত্রদের সাথে শারীরিক সম্পর্ক না রাখতে নিষেধ করার কারণেই আমাদের বেতন বন্ধ করে দেন মুহতামিম ও তার চাচাত ভাই মাদ্রাসার শিক্ষক আবু সাঈদ মিজবাহ। মুহতামিমের এমন আচরণে কোন শিক্ষক ওই মাদ্রাসায় থাকতে চায়না। এবিষয়ে কথা বললেই শিক্ষকদের উপর চাড়াও হন তিনি। নিজের বাড়িতে মাদ্রাসা হওয়ায় তিনি গ্রামের মুরুব্বীদের টাকার বিনিময়ে ম্যানেজ করে বীরদর্পে তার অবৈধ কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। গ্রামের মাতব্বর শওকত, ছুবহান, রেজাক, মর্তুজ আলী ও কোনাপাড়ার মাইল্লার ছেলে সাইফুল, রুবেল, আব্দুল আউয়াল মুহতামিমের অবৈধ কাজে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সহযোগিতা করে আসছে।

সাবেক শিক্ষক মাওলানা আফসার উদ্দিন বলেন, মাদ্রাসার পরিচালকের এমন আচরনেই আমিসহ ৪জন চলে আসছি। ইউনিয়ন অফিসে আমাদের ৪ জন শিক্ষকের মামলা রয়েছে, আমার ৭৪ হাজার টাকা বেতন পাওনা রয়ে গেছে। বাকী শিক্ষকদের মামলা চলছে। রায় পেলেই আমরা আদালতে যাব।

মাদ্রাসা ও মসজিদের সেক্রেটারী আকবর মিয়া বলেন, নোমানের আচরন এত খারাপ যে এলাকায় মুখ দেখানোর মত নয়। সে ছেলে ছাড়া কিছুই বুছে না। আমরা বহুনিষেধ করেছি, গ্রামের কয়েকটি লোকের কারনে সে মাথাছাড়া দিয়ে উঠছে।

নির্যাতিত ছাত্রের পিতা মোতাব মিয়া বলেন, মাদ্রাসা রসূলের বাগান, মাদ্রাসার বদনাম করতে ছাইছলাম না, নির্যাতিত হয়েছে আমার ছেলেই নির্যাতন হউক, আর কারও ছেলে যাহাতে নির্যাতনের স্বীকার না হয় সেজন্য নোমানকে মাদ্রাসা থেকে বহিষ্কারের কথা বলেছিলাম, তাকে বহিষ্কার না করার কারনেই বাধ্য হয়েই মামলা দায়ের করেছি।

বাহুবল মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ কামরুজ্জামান মামলা দায়েরের বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, তাকে গ্রেফতারে আমাদের জোড় প্রচেষ্ঠা চলছে।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন

ওয়েবসাইটের কোন কনটেন্ট অনুমতি ব্যতিত কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Design & Developed BY ThemesBazar.Com