শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৫৯ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :

একাদশ সংসদের যাত্রা শুরু, শপথ নেয়নি বিএনপি-ঐক্যফ্রন্ট

তরফ নিউজ ডেস্ক: নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যদের শপথ গ্রহণের মাধ্যমে যাত্রা শুরু করলো একাদশ জাতীয় সংসদ। তবে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নির্বাচিত সাত প্রার্থী শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন না।

বৃহস্পতিবার (৩ জানুয়ারি) সকাল সোয়া ১১টায় শেরে বাংলা নগরে সংসদ ভবনের পূর্ব ব্লকের প্রথম লেভেলের শপথ কক্ষে দশম সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যদের শপথ বাক্য পাঠ করান।

এর আগে, স্পিকার নিজে একাদশ সংসদ নির্বাচনে একটি সংসদীয় আসন থেকে বিজয়ী হওয়ায় বিধি অনুযায়ী তিনি নিজেই শপথ বাক্য পাঠ করেন।

বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা ৫ মিনিটে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী আসন গ্রহণের পর জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব জাফর আহমেদ শপথ গ্রহণের আনুষ্ঠানিকতা শুরু করেন। এই আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয় কোরআন তেলওয়াতের মাধ্যমে। পরে স্পিকার নিজে শপথবাক্য পাঠ করে অন্য সংসদ সদস্যদের শপথ বাক্য পাঠ করান।

জানা গেছে, শপথ শেষে আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের সভা অনুষ্ঠিত হবে। এই সভাতেই তারা নিজ দলের সংসদ নেতা নির্বাচন করবেন। সেক্ষেত্রে নির্বাচনে সর্বোচ্চ আসনপ্রাপ্ত আওয়ামী লীগের সংসদ নেতা হবেন নতুন সরকারের প্রধানমন্ত্রী। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন, এটা অনেকটাই নিশ্চিত।

নির্বাচনে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আসন পাওয়া জাতীয় পার্টির ভূমিকা সংসদে কী হবে, তা এখনও নির্ধারিত হয়নি। গতকাল বুধবার (২ জানুয়ারি) নির্বাচন পরবর্তী জাতীয় পার্টির প্রথম প্রেসিডিয়াম বৈঠকের পর জানানো হয়, আজ সংসদীয় দলের সভায় তারা সিদ্ধান্ত নেবেন এ প্রসঙ্গে। তবে বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, দশম জাতীয় সংসদের মতো একাদশ সংসদেও বিরোধী দলে থাকার পাশাপাশি নতুন মন্ত্রিসভাতেও দলীয় সংসদ সদস্যদের রাখার বিষয়ে আগ্রহী দলটি।

এর আগে, রোববার (৩০ ডিসেম্বর) একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। ওই দিন দিবাগত রাতে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব নির্বাচনের ফল ঘোষণা করেন। পরে মঙ্গলবার (১ জানুয়ারি) নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যদের ফল গেজেট আকারে প্রকাশ করা হয়।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৯৮টি আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগ ২৫৭টি, জাতীয় পার্টি ২২টি, বিএনপি পাঁচটি, ওয়ার্কার্স পার্টি তিনটি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) দুইটি, বিকল্পধারা বাংলাদেশ দুইটি, গণফোরাম দুইটি, জাতীয় পার্টি (জেপি) একটি এবং তরিকত ফেডারেশন একটি আসনে বিজয়ী হয়েছে। এছাড়া স্বতন্ত্র হিসেবে তিন জন নির্বাচিত হয়েছেন।

তবে জোট হিসেবে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট এই নির্বাচনে আসন পেয়েছে ২৮৮টি, অন্যদিকে বিএনপিসহ জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট পেয়েছে ৭টি আসন। বাকি তিনটি আসনে জয় পেয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা।

এদিকে, একজন প্রার্থীর মৃত্যুতে গাইবান্ধা-৩ আসনের ভোট গ্রহণ স্থগিত করা হয়। এছাড়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের তিনটি কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত করায় ওই আসনের ফলও স্থগিত করা হয়েছে।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন

ওয়েবসাইটের কোন কনটেন্ট অনুমতি ব্যতিত কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Design & Developed BY ThemesBazar.Com