তরফ স্পোর্টস ডেস্ক : বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে দেড়শো রানের আগেই গুটিয়ে গেলো ওয়েস্ট ইন্ডিজ। রোভম্যান পাওয়েলের ৪১ রানে ভর করে সিরিজ নির্ধারনী ম্যাচে বাংলাদেশকে ১৪৯ রানের টার্গেট দিলো সফরকারীরা।
দিনের শুরুতে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক জেসন মোহাম্মদ। ব্যাটিং বিপর্যয় ঠেকাতে মন্থর গতির ইনিংস খেলছিলো ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তবে দ্বিতীয় ম্যাচেও ব্যর্থ সুনীল অ্যামব্রিস। ফের মোস্তাফিজের শিকারে পরিণত হলেন তিনি। পঞ্চম ওভারে দলীয় দশ রানেই প্রথম উইকেট হারায় ক্যারিবীয়রা। মাঠ ছাড়ার আগে ১৫ বলে ৬ রান করেন এই ওপেনার।
পাওয়ার প্লে’র পর রানের গতি বাড়ানোর চেষ্টা করেন চেমার হোল্ডারের পরিবর্তে নামা কেজর্ন অটলি।
কিন্তু বেশিদূর বেশিদূর যেতে দিলেন না মেহেদী হাসান মিরাজ। মিরাজের বল খেলতে গিয়ে তামিম ইকবালের তালুবন্দি হন অটলি। একই ওভারে দ্বিতীয় উইকেট হিসেবে জশুয়া ডি সিলভাকে ফেরান মিরাজ। ২২ বলে ৫ রান করেন এই ওপেনার।
নিজের প্রথম ওভারেই উইকেটের স্বাদ পেলেন সাকিব আল হাসান। আন্দ্রে ম্যাকার্থিকে ফেরান ক্লিন বোল্ডে। ৭ বলে ৩ রান করেন ম্যাকার্থি।
প্রথম ১০ ওভারে রান বেশি না এলেও উইকেট ধরে খেলছিলো ওয়েস্ট ইন্ডিজ। কিন্তু পরের ৫ ওভারে ৪ উইকেট হারায় সফরকারীরা। বিপর্যয়ের মধ্যে বিপদ বাড়িয়ে রান আউট হন কাইল মেয়ার্স। আগের ম্যাচের সর্বোচ্চ স্কোরার ফিরেন বিনা রানে। বাংলাদেশি বোলারদের সামনে অসহায় ক্যারিবীয় ব্যাটসম্যানরা অবশেষে ২০.২ ওভারে দলীয় ফিফটি স্পর্শ করে।
জেসন মোহাম্মদ ও এনক্রুমাহ বনার জুটি গড়তে চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু তাদের প্রচেষ্টা দীর্ঘায়িত হতে দিলেন না সাকিব। লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলে উইন্ডিজ অধিনায়ক জেসনকে ফেরান তিনি। ভাঙল ৩৯ বলে ২৬ রানের জুটি। ২৬ বলে ১১ রান করেন জেসন।
নবাগত হাসান মাহমুদের শিকার হলেন এনক্রুমাহ বনার। হাসানের পেস খেলতে গিয়ে ইনসাইডেস বোল্ড হন তিনি। ফেরার আগে বনারের সংগ্রহ ২৫ বলে ২০ রান। নতুন স্পেলে ফিরে প্রথম ওভারেই নিজের দ্বিতীয় উইকেটের দেখা পেলেন মিরাজ। এলবিডব্লিউ’তে ফেরান রেইফারকে।
উইন্ডিজদের পক্ষে সর্বোচ্চ রান করেন রোভম্যান পাওয়েল। তার ব্যাটে ভর করেই ১৪৮ রানের পুঁজি সংগ্রহ করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। মিরাজের বলে ফেরার আগে ৬৬ বলে ১ ছয় ও ২ চারে ৪১ রানের ইনিংস খেলেন তিনি।
বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ উইকেট নেন মিরাজ। ৯.৪ ওভারে ২৫ রানের খরচায় ৪ উইকেট নেন এই স্পিনার। এছাড়া মোস্তাফিজ ২/১৫, হাসান মাহমুদ ১/৫৪, সাকিব ২/৩০ উইকেট নেন।