সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭:১৯ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষাকে বাস্তবায়নে বিশ্ব সম্প্রদায়ের সমর্থন চেয়েছেন ড. ইউনূস ধান ক্ষেত থেকে অটোরিকশা চালকের মরদেহ উদ্ধার জমি নিয়ে বিরোধ; দুই গ্রুপের সংঘর্ষে এক যুবক নিহত দোকান বাকীর টাকা আদায়কে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ : বৃদ্ধ নিহত হবিগঞ্জে হত্যা মামলা, আ.লীগ সভাপতিসহ ২শ জন আসামি গ্র্যান্ড সুলতান রিসোর্টে শামীম ওসমান লুকিয়ে থাকার গুঞ্জন, তাল্লাশি শেষে যা বলছে পুলিশ নগদ দুই লাখ টাকার বেশি তোলা যাবে না এ সপ্তাহে সার্বিক নিরাপত্তার জন্য সারাদেশের সেনাবাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগের নম্বর গণভবনের মাছ-হাঁসও নিয়ে গেল জনতা, বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুর গণআন্দোলনে শেখ হাসিনার পতন, ছাড়লেন দেশ

কাদেরকে বেফাঁস কথা বলে শুধরে নিলেন একরাম

তরফ নিউজ ডেস্ক: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে রাজাকার পরিবারের সদস্য বলে আবার শুধরে নিলেন নোয়াখালী-৪ (সদর ও সুবর্ণচর) আসনের সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী। তিনি নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকেরও দায়িত্ব পালন করছেন।

বৃহস্পতিবার (২১ জানুয়ারি) রাতে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে দেওয়া এক লাইভে সাংসদ একরামুল করিম চৌধুরী বলেন, “দেশের মানুষ, স্লামালাইকুম। আমি কথা বললে তো আর মির্জা কাদেরের বিরুদ্ধে কথা বলব না, আমি কথা বলব ওবায়দুল কাদেরের বিরুদ্ধে। একটা রাজাকার ফ্যামিলির লোক এই পর্যায়ে আসছে, তার ভাইকে শাসন করতে পারে না। এগুলো নিয়ে আমি আগামী কয়েক দিনের মধ্যে কথা বলব। আমার যদি জেলা আওয়ামী লীগের কমিটি না আসে তাহলে আমি এটা নিয়ে শুরু করব।”

তবে ২৭ সেকেন্ডের ভিডিও বার্তাটি কিছুক্ষণের মধ্যেই সরিয়ে নেন তিনি। কিন্তু ততক্ষণে ভিডিও বার্তাটি ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়।

এদিকে শুক্রবার (২২ জানুয়ারি) দুপুরের দিকে ফের আরেকটি ফেসবুক লাইভ করেন সাংসদ একরাম। ২ মিনিট ৬ সেকেন্ডের সেই ভিডিওতে তিনি বলেন, “প্রিয় নোয়াখালীবাসী, স্লামালাইকুম। আমি কাল রাতে একটা স্ট্যাটাস দিয়েছিলাম। তবে আমি সেটা মির্জা কাদেরকে বুঝিয়েছি। কারণ ওবায়দুল কাদের ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা। আর মির্জা কাদেরের ফ্যামিলিটা হলো মুক্তিযুদ্ধবিরোধী ফ্যামিলি।”

একরামুল করিম চৌধুরী আরো বলেন, “আজকে আমি আমার নোয়াখালী আওয়ামী লীগের সকল নেতা-কর্মীকে বলব, আপনারা কালকে দুর্বৃত্তায়নের রাজনীতি মির্জা সাহেব আমার বিরুদ্ধে যা করেছেন, আমার গালে গালে উনি জুতা মেরেছেন। আমার গত ১৮ বছরের কষ্টের সাধনায় আমি নোয়াখালী আওয়ামী লীগকে এ পর্যায়ে এনেছি। সে আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি হিসেবে আমার গালের মধ্যে উনি জুতা মেরেছেন।”

নোয়াখালী-৪ আসনের সাংসদ আরো বলেন, “এটার প্রতিবাদে কালকে আপনারা যেভাবে রাস্তাঘাটে নোয়াখালী আওয়ামী লীগ জেগে উঠেছিলেন, সারা নোয়াখালী আওয়ামী লীগ যেভাবে উত্তপ্ত হয়ে গিয়েছিলেন, আমি আজকে আপনাদের নির্দেশনা দিচ্ছি, দয়া করে পার্টির প্রধানকে যদি ভালোবাসেন, যদি ওবায়দুল কাদেরকে ভালোবাসেন, আমি অনুরোধ করব, কেউ আজকে কোন প্রতিবাদ সভা করবেন না, কোনো জমায়েত করবেন না। এটা আমার নির্দেশ। কারণ এগুলো করলে আমরা দলের বিরুদ্ধে দলে এসবগুলো করলে আমাদের দলের ক্ষতি হয়ে যাবে।”

নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরো বলেন, “শেখ হাসিনার উন্নয়ন যদি ধরে রাখতে হয়, প্লিজ গুতাগুতি আর না। মির্জা সাহেব এমন কোনো ব্যক্তিত্বও না যে ওনার সাথে ফাইট করতে হবে। উনি কী বলছেন আমাদের দলের বিরুদ্ধে, আমাদের যদি কোথাও গ্যাপ থাকে আমাদের নেতারা ডেকে এটা মীমাংসা করে দেবেন, এটাই আমার আশা। আপনাদের সকলকে ধন্যবাদ। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।”

এর আগে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট পৌরসভা নির্বাচনকে ঘিরে আলোচনায় আসেন ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই আবদুল কাদের মির্জা। মেয়র পদে নির্বাচন করা কাদের মির্জা তার বিভিন্ন নির্বাচনী সমাবেশে একরামুল করিম চৌধুরী ও ফেনী-২ আসনের সাংসদ নিজাম উদ্দিন হাজারীসহ বিভিন্ন ব্যক্তির বিরুদ্ধে কথা বলেন। এমনকি তিনি খোদ নিজ দল আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধেও বিভিন্ন মন্তব্য করেন। যার কারণে নির্বাচনের সময়জুড়ে ছিলেন তুমুল আলোচনায়।

মির্জা কাদেরের এমন ক্ষুব্ধ হন দলের নেতা-কর্মীরা। ফরিদপুর-৪ আসনের সাংসদ মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সনসহ অনেকে বিভিন্ন সময় তার বিরুদ্ধে বক্তব্য দেন। সেই রেশ ধরেই এবার বক্তব্য দিলেন সাংসদ একরামুল করিম চৌধুরী।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন

ওয়েবসাইটের কোন কনটেন্ট অনুমতি ব্যতিত কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Design & Developed BY ThemesBazar.Com