রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৩৯ অপরাহ্ন
তরফ নিউজ ডেস্ক: দিনে দিনে বাড়ছে দেশে করোনার টিকা নেয়া মানুষের সংখ্যা। এই ধারাবাহিকতায় সোমবার একদিনেই দুই লাখেরও বেশি মানুষ টিকা নিয়েছেন বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
সংস্থাটির পক্ষ থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সোমবার সারাদেশে করোনাভাইরাস টিকা নিয়েছেন দুই লাখ ২৬ হাজার ৬৭৮ জন। গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে টিকাদান কার্যক্রম শুরুর পর থেকে একদিনে এটিই সর্বোচ্চ সংখ্যা।
নির্ধারিত সময়ে এদিন এক লাখ ৪৭ হাজার ১৫৫ জন পুরুষ ও ৭৯ হাজার ৫২৩ জন নারী টিকা নিয়েছেন। এই সময়ে ২৯ জন বিরূপ প্রতিক্রিয়ার উপসর্গ বা অ্যাডভার্স ইভেন্ট ফলোইং ইমিউনাইজেশন (এইএফআই) রিপোর্ট করেছেন বলে জানানো হয়েছে।
সবমিলিয়ে দেশে টিকা গ্রহীতার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১১ লাখ ৩২ হাজার ৭১১ জন। এর মধ্যে পুরুষ সাত লাখ ৭৩ হাজার ৬২৪ জন; নারী তিন লাখ ৫৯ হাজার ৮৭ জন।
টিকাগ্রহীতার সঙ্গে যোগ হবে আরও ৫৬৭ জন, যাদেরকে গণটিকার আগে গত ২৭ ও ২৮ জানুয়ারি পরীক্ষামূলকভাবে টিকা দেয়া হয়েছিল।
এদিকে দেশব্যাপী চলমান টিকাদান কার্যক্রমে টিকাগ্রহীতার সংখ্যা ১১ লাখ ৩২ হাজার ৭১১ জনে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে পুরুষ সাত লাখ ৭৩ হাজার ৬২৪ জন ও তিন লাখ ৫৯ হাজার ৮৭ জন নারী।
গত ২৪ ঘণ্টায় টিকাগ্রহণকারীদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ৬২ হাজার ৭৩৩ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে নয় হাজার ৪৫৫, চট্টগ্রাম বিভাগে ৫২ হাজার ৭৪৪, রাজশাহী বিভাগে ২৪ হাজার ৬০জন, রংপুর বিভাগে ২১ হাজার ৬১৮ জন, খুলনা বিভাগে ২৭ হাজার ৭১০ জন, বরিশাল বিভাগে ১২ হাজার ১৩১ এবং সিলেট বিভাগে ১৬ হাজার ২২৭ জন।
বিভাগীয় পরিসংখ্যান অনুযায়ী মোট টিকাগ্রহণকারী ১১ লাখ ৩২ হাজার ৭১১ জনের মধ্যে- ঢাকায় তিন লাখ দুই হাজার ৭০৫ জন, ময়মনসিংহে ৫০ হাজার ৭৩০, চট্টগ্রামে দুই লাখ ৭০ হাজার ৯৫৯, রাজশাহীতে এক লাখ ২৮ হাজার ৭৬৩, রংপুরে এক লাখ ছয় হাজার ৬৩৪, খুলনায় এক লাখ ২৮ হাজার ১৫৯ জন, বরিশালে ৫১ হাজার ৫২৩ এবং সিলেট বিভাগে ৯৩ হাজার ২৩৮ জন টিকা নেন।
গত ২৭ জানুয়ারি কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের একজন নার্সকে টিকা দিয়ে দেশে টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রটোকল অনুযায়ী তাদের পর্যবেক্ষণ করার পর ৭ ফেব্রুয়ারি শুরু হয় সারাদেশে গণ টিকাদান। বাংলাদেশে দেয়া হচ্ছে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনাভাইরাসের টিকা। প্রত্যেককে এই টিকার দুটি ডোজ দিতে হবে। প্রথম টিকা গ্রহণের আট সপ্তাহ পর দেয়া হবে দ্বিতীয় ডোজ।