শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:১৭ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :

বাহুবলে স্কুল ভবনের ছাদ ঢালাইয়ের পর ঝুকিপূর্ণ অংশ ভরাটের চেষ্টা

নিজস্ব প্রতিবেদক: হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার পশ্চিম জয়পুর প্রাইমারি স্কুলের নবনির্মিত ভবনের ছাদ ঢালাইয়ের পর ঝুলে থাকা অংশ না ভেঙে ভরাটের মাধ্যমে দায় এড়ানোর চেষ্টা করছেন সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার। এনিয়ে স্কুল পরিচালনা কমিটিসহ অভিভাবকদের কোন অভিযোগই আমলে নিচ্ছেন না উপজেলা প্রকৌশলী। এতে অভিভাবক মহল সহ এলাকাবাসীর মধ্যে বিরাজ করছে ক্ষোভ।

জানা গেছে, বাহুবল উপজেলার পশ্চিম জয়পুর প্রাইমারি স্কুলের দ্বিতল ভবন নির্মাণের জন্য কার্যাদেশ পান জুয়েল নামের জনৈক ঠিকাদার। শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের অর্থায়নে নির্মিতব্য ভবনের ছাদ ঢালাইয়ের পর একাংশ ধ্বসে পড়ার উপক্রম হয়। এমতাবস্থায় ২৬ ফেব্রুয়ারী সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার তার শ্রমিক দিয়ে ঝুলে থাকা অংশ নীচের দিক কেটে এবং উপর ভরাটের মাধ্যমে অনিয়ম আড়ালের চেষ্টা করেন।

এসময় ম্যানেজিং কমিটির নেতৃবৃন্দ সহ স্থানীয় লোকজন তাদের কাজ বন্ধ করে দেন। তারা বলেন প্রকৌশলীর পরামর্শ ছাড়া ভবনের ঝুকিপূর্ণ অংশ না ভেঙে ভরাট করা ঠিক হবে না।

এব্যাপারে, ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি বিশ্বজিৎ ভট্রাচার্য্য বলেন, কাজের অনিয়মের বিষয়ে উপজেলা ও জেলা প্রকৌশলীকে অবগত করেছেন। এরপরও তারা কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি। আর এ সুযোগে ঠিকাদার তার মনগড়াভাবেই কাজ চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। তিনি অভিযোগ করে বলেন কত টাকা বরাদ্দ এসেছে এ তথ্যও দিতে নারাজ ঠিকাদার জুয়েল। তবে ৭৩ লাখ টাকা বরাদ্দের কথা শুনেছেন বলে জানান প্রধান শিক্ষিকা।

স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা খাদিজা আক্তার বলেন, ঢালাই করার পরপরই ছাদ ঝুলে পড়ার উপক্রম হওয়ায় উপজেলা প্রকৌশলীকে বিষয়টি অবগত করি। তিনি সাটারিং খোলার পর সরজমিন দেখে করণীয় নির্ধারণ করবেন বলে জানান।

ছাত্র অভিভাবক আব্দুল ওয়াহিদ জানান, ঠিকাদার শুরু থেকেই অনিয়ম করে চলছেন। তাকে সহযোগিতা করছেন প্রকৌশলী। ঝুকিপুর্ণ অংশ না ভেঙে জোড়াতালি দিয়ে দায় এড়ানোর চেষ্টাই অনিয়মের প্রমাণ। তিনি এর কারণ উদঘাটন করে যথাযথভাবে ছাদ নির্মাণের দাবি জানান।

অপরদিকে, বাহুবল উপজেলা প্রকৌশলীকে বারবার মোবাইল ফোনে কথা বলার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন

ওয়েবসাইটের কোন কনটেন্ট অনুমতি ব্যতিত কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Design & Developed BY ThemesBazar.Com